৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১৯ আসামি খালাস
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার একটি চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষী ফল ব্যবসায়ী বাবুল হাওলাদারকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আদালত বুধবার বিকালে এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৪ সালে একটি চাঁদাবাজি মামলায় সাক্ষী হওয়ায় ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বাবুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুইদিন পর নিহতের বড় ছেলে ইমরান হাওলাদার রাজৈর থানায় ৪২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শুরু হলে আসামিপক্ষ বিভিন্ন সময় ইমরান হাওলাদারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করেন নিহতের ছোট ছেলে আসাদুল হাওলাদার।
বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তবে, তিন আসামির মৃত্যু হলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল হয়।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সাহেবালী মুন্সি, খোকন মুন্সি, সাহাবুদ্দিন মুন্সি, লাবলু মুন্সি ও হান্নান মুন্সি। রায় ঘোষণার সময় হান্নান মুন্সি ছাড়া বাকি চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উভয়পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে। নিহতের ছোট ছেলে আসাদুল হাওলাদার এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমারত হোসেন রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানিয়েছেন। আসামিপক্ষও তাদের অপরাধী না হওয়া দাবি করে আপিল করবেন।
৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১৯ আসামি খালাস
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার একটি চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষী ফল ব্যবসায়ী বাবুল হাওলাদারকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আদালত বুধবার বিকালে এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৪ সালে একটি চাঁদাবাজি মামলায় সাক্ষী হওয়ায় ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বাবুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুইদিন পর নিহতের বড় ছেলে ইমরান হাওলাদার রাজৈর থানায় ৪২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শুরু হলে আসামিপক্ষ বিভিন্ন সময় ইমরান হাওলাদারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করেন নিহতের ছোট ছেলে আসাদুল হাওলাদার।
বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তবে, তিন আসামির মৃত্যু হলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল হয়।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সাহেবালী মুন্সি, খোকন মুন্সি, সাহাবুদ্দিন মুন্সি, লাবলু মুন্সি ও হান্নান মুন্সি। রায় ঘোষণার সময় হান্নান মুন্সি ছাড়া বাকি চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উভয়পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে। নিহতের ছোট ছেলে আসাদুল হাওলাদার এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমারত হোসেন রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানিয়েছেন। আসামিপক্ষও তাদের অপরাধী না হওয়া দাবি করে আপিল করবেন।