alt

সারাদেশ

ডুমুরিয়ায় কাজে আসছে না ছয় কোটি টাকার সেতু

প্রতিনিধি, ডুমুরিয়া (খুলনা) : বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ডুমুরিয়ায় ভদ্রা নদীর ওপর ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কোনো কাজে লাগছে না। সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতায় সংযোগ সড়কের কাজ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এতে যানবাহন ছাড়াও এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দে ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর উলা ও গজেন্দ্রপুর গ্রামের মধ্যে ভদ্রা নদীর উপর ৮৪ মিটার সেতু নির্মাণ শুরু করে সামছুদোহা কনস্টাশন। কাজের সময়সীমা ধরা হয় ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর। ২০২২ সালের প্রথম দিকে সংযোগ সড়কের ৭০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ ও জমির মূল্য বাবদ ২৮ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো এবং জমি অধিগ্রহণসহ সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থছাড় পাওয়া যায়নি। ২০২৩ সালের জুন মাসে সেতুর কাজ শেষ হলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে আছে। ভদ্রা নদীর ওপর পাঁচ বছর আগে সেতুর কাজ শুরু হলে ওই সময় থেকেই এই সড়ক পথে যান চলাচল প্রায় বন্ধ আছে। শুস্ক মৌসুমে সেতুর পাশ ঘেঁষে মাটির একটি সরু রাস্তা দিয়ে কোনো রকমে একটি দুটি ভ্যানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। তবে বর্ষায় দুর্ভোগ চরমে উঠে। ডুমুরিয়া সদর, শরাফপুর, সাহস, ভা-ারপাড়া ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষকে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়ত করতে হয়। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের টাকাও চলে যাচ্ছে। দ্রুত সংযোগ সড়কের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ইতোমধ্যে অনেক বাড়ির ছেলে মেয়েদের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। সেতু ঘিরে একটি ডিগ্রি কলেজ, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি প্রথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা, ২টি হাসপাতাল, ও ১টি পুলিশ ক্যাম্প। এ রাস্তায় চলাচলে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের যাতায়তে দুর্ভোগের অন্ত নেই। এ রিপোর্ট লেখার আগে সেতু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাজ ফেলে চলে গেছে ঠিকাদারের লোকজন। কাপালিডাঙ্গা গ্রামের স্কুল শিক্ষক গাজী আব্দুস সোবাহান জানান, আগে এখানে একটা কাঠের সেতু ছিল। তার ওপর দিয়ে লোকজন যাতায়াত করত। সেতুটি বেশ মজবুত ছিল। ভ্যানগাড়িসহ ছোট ছোট যানবাহন সেতু পার হয়ে যেতে পারতো। কাজ শুরু হলে সেটি অকেজো হয়ে গেছে। তার উপর দিয়ে লোকজন যাতায়াত করতে পারে না।

জানতে চাইলে ঠিকাদার আবু হানিফ বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণে সেতুর দুই পাশে জমি ছিল না। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা নিরসন ও অর্থ বরাদ্দ না পেলে অবশিষ্ট কাজ শেষ করা যাচ্ছে না।

উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার চিঠিও দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে। এদিকে ডুমুরিয়াতে আরও একটি সেতু কাজ শুরুর ছয় বছর পার হলেও এখনও অর্ধেক কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উপজেলার সিংগা নদীর ওপর একটি সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু আর টিপনা-সিংগা সড়কের ৯৫০ মিটার কাজের ব্যায় ধরা ছিল ৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আকন ট্রেডিং এবং মাহফুজ খান যৌথভাবে (জেভি) কাজটি পায়। কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা ছিল এক বছর। অথচ ছয় বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটি তৈরি করতে নদীতে কিছু পাইলিং ও উত্তর-দক্ষিণ পাশে কিছু অংশে ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, অনেক আগে কাজ ফেলে ঠিকাদারের লোকজন চলে গেছে। তবে এই সেতুটি নির্মিত হলে উপজেলার ছয় ইউনিয়নের বাসিন্দারা উপকৃত হতো।

ছবি

বেক্সিমকোর কারখানা খোলার দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহনে আগুন

ছবি

জামালপুরে জমি দখল,হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ছবি

লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ সমাবেশ

ছবি

জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতেই প্রধান মনোযোগ নির্বাচন কমিশনের: ইসি মাছউদ

তিন জেলায় অগ্নিকান্ডে দোকান ও মন্দির পুড়ে ছাই

খালের পাড় কেটে জমি ভরাট ও মাটি বিক্রির অপরাধে জরিমানা

ছবি

গাজীপুরে বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের অবরোধ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রশাসনের অভিযান

পাকুন্দিয়ায় গাছ কাটা নিয়ে একজন খুন

সুন্দরগঞ্জে বিষপানে কৃষকের আত্মহত্যা

ভালুকায় ডায়িং ফ্যাক্টরির বর্জ্যে খীরুর পানি বিষাক্ত, বিপন্ন জীববৈচিত্র্য

বড়াল নদী এখন আবাদি মাঠ

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে জনবল সংকট, স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

ছবি

লামাকাজী সেতুর টোল আদায়ের ইজারা: কম দামে ‘সমঝোতার’ অভিযোগ

ছবি

মাদারীপুরের রাজৈরে চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষী খুন, ৫ আসামির যাবজ্জীবন

খুলনা পাউবোর যান্ত্রিক ওয়ার্কশপে ৩৩ লাখ টাকার প্রকল্পে ২৬ লাখেরই কাজ হয়নি

সিদ্ধিরগঞ্জে ভোটার তথ্য সংগ্রহকারীকে মারধর, থানায় অভিযোগ

ফরিদপুরে ডিবি পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৩

সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক আহত

হবিগঞ্জ মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের ২২ অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস থেকে ছিটকে পড়ে হেল্পার নিহত

ছবি

রাউজানে বৈষম্যবিরোধী সভায় হামলা: ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার

ছবি

ময়মনসিংহে ছাত্রদল নেতার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা, এসআই আহত

ছবি

নাটোরে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে তিন বন্ধুর মৃত্যু

ছবি

টুঙ্গিপাড়ায় ইয়াবাসহ আটক ছাত্রদল নেতা পদ হারালেন

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ছবি

২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে শীতে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন

ছবি

সিরাজদিখানে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ৬

ছবি

আরজি কর ধর্ষণ ও খুন মামলায় আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কাছে ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, জরিমানা আদায়

ছবি

আটক কার্গো জাহাজ ৩টি ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি

ছবি

সাইফকে ছুরিকাঘাত: গ্রেপ্তার শাহজাদ ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

চার শিক্ষা বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান

ছবি

কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যা: ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

tab

সারাদেশ

ডুমুরিয়ায় কাজে আসছে না ছয় কোটি টাকার সেতু

প্রতিনিধি, ডুমুরিয়া (খুলনা)

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ডুমুরিয়ায় ভদ্রা নদীর ওপর ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কোনো কাজে লাগছে না। সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতায় সংযোগ সড়কের কাজ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এতে যানবাহন ছাড়াও এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দে ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর উলা ও গজেন্দ্রপুর গ্রামের মধ্যে ভদ্রা নদীর উপর ৮৪ মিটার সেতু নির্মাণ শুরু করে সামছুদোহা কনস্টাশন। কাজের সময়সীমা ধরা হয় ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর। ২০২২ সালের প্রথম দিকে সংযোগ সড়কের ৭০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ ও জমির মূল্য বাবদ ২৮ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো এবং জমি অধিগ্রহণসহ সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থছাড় পাওয়া যায়নি। ২০২৩ সালের জুন মাসে সেতুর কাজ শেষ হলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে আছে। ভদ্রা নদীর ওপর পাঁচ বছর আগে সেতুর কাজ শুরু হলে ওই সময় থেকেই এই সড়ক পথে যান চলাচল প্রায় বন্ধ আছে। শুস্ক মৌসুমে সেতুর পাশ ঘেঁষে মাটির একটি সরু রাস্তা দিয়ে কোনো রকমে একটি দুটি ভ্যানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। তবে বর্ষায় দুর্ভোগ চরমে উঠে। ডুমুরিয়া সদর, শরাফপুর, সাহস, ভা-ারপাড়া ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষকে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়ত করতে হয়। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের টাকাও চলে যাচ্ছে। দ্রুত সংযোগ সড়কের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ইতোমধ্যে অনেক বাড়ির ছেলে মেয়েদের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। সেতু ঘিরে একটি ডিগ্রি কলেজ, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি প্রথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা, ২টি হাসপাতাল, ও ১টি পুলিশ ক্যাম্প। এ রাস্তায় চলাচলে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের যাতায়তে দুর্ভোগের অন্ত নেই। এ রিপোর্ট লেখার আগে সেতু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাজ ফেলে চলে গেছে ঠিকাদারের লোকজন। কাপালিডাঙ্গা গ্রামের স্কুল শিক্ষক গাজী আব্দুস সোবাহান জানান, আগে এখানে একটা কাঠের সেতু ছিল। তার ওপর দিয়ে লোকজন যাতায়াত করত। সেতুটি বেশ মজবুত ছিল। ভ্যানগাড়িসহ ছোট ছোট যানবাহন সেতু পার হয়ে যেতে পারতো। কাজ শুরু হলে সেটি অকেজো হয়ে গেছে। তার উপর দিয়ে লোকজন যাতায়াত করতে পারে না।

জানতে চাইলে ঠিকাদার আবু হানিফ বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণে সেতুর দুই পাশে জমি ছিল না। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা নিরসন ও অর্থ বরাদ্দ না পেলে অবশিষ্ট কাজ শেষ করা যাচ্ছে না।

উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার চিঠিও দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে। এদিকে ডুমুরিয়াতে আরও একটি সেতু কাজ শুরুর ছয় বছর পার হলেও এখনও অর্ধেক কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উপজেলার সিংগা নদীর ওপর একটি সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু আর টিপনা-সিংগা সড়কের ৯৫০ মিটার কাজের ব্যায় ধরা ছিল ৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আকন ট্রেডিং এবং মাহফুজ খান যৌথভাবে (জেভি) কাজটি পায়। কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা ছিল এক বছর। অথচ ছয় বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটি তৈরি করতে নদীতে কিছু পাইলিং ও উত্তর-দক্ষিণ পাশে কিছু অংশে ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, অনেক আগে কাজ ফেলে ঠিকাদারের লোকজন চলে গেছে। তবে এই সেতুটি নির্মিত হলে উপজেলার ছয় ইউনিয়নের বাসিন্দারা উপকৃত হতো।

back to top