alt

সারাদেশ

মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৪টি নদী মৃতপ্রায়, ধু-ধু বালু চর

রামপ্রসাদ সরকার দীপু, মানিকগঞ্জ : রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

মানিকগঞ্জ : নদীতে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল -সংবাদ

মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রমত্তা পদ্মা-যমুনা, কালীগঙ্গা-ধলেশ্বরী, ইছামতী নদীসহ ১৪টি নদী এখন মৃতপ্রায়। নদীরগুলো এখন শুধু ধু ধু বালু চর। ন্যাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে মানিকগঞ্জের নদীগুলো। নদীর বুকে কোথাও কোথাও আবাদ করা হচ্ছে ধান। বর্ষা মৌসুম ছাড়া বছরের প্রায় পুরো সময়টাই থাকে পানিশূন্য। কোথাও গরু চরানো কিংবা দূরন্ত কিশোর কিশোরীদের ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার দৃশ্য চোখে পড়ে। মানুষজন হেঁটে পার হয় ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা ইছামতী। ৪ যুগ আগেও এই নদীতে চলত বড় বড় ফেরি লঞ্চ ও জাহাজ। অনেক নদীতে হাঁটুর নিচে পানি দেখা যাচ্ছে। এখানে গরু মহিষ গোসল করানো হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষজন নদীগুলো শাসন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে জেলাতে কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতীসহ মোট ১৪টি নদী রয়েছে। মোট আয়তন ১ হাজার ৩৭৯ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ২৪১ কিলোমিটার নদী এলাকা। কালীগঙ্গার দৈর্ঘ্য ৭৮ কিলোমিটার প্রস্থ ২৪২ মিটার। নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দৌলতপুরে চরকাটারি এলাকায় যমুনা থেকে উৎপন্ন হয়ে কালীগঙ্গা ঘিওর উপজেলার আশাপুরের পাশ দিয়ে জাবরা, দুর্গাপুর ও তরা এলাকায় ধলেশ্বরীর সাথে মিশেছে। এখান থেকে গালিন্দা, নবগ্রাম, চরঘোসতা, আলীগর চর, শিমুলিয়ায় এসে পদ্মার সাথে মিশেছে। বর্তমানে এখান থেকে আরও খানিকটা এগিয়ে হাতিপাড়া, বালুখন্দ, পাতিলঝাপ, শলা হয়ে আলী নগরে এসে ধলেশ্বরীতে মিশেছে।

৮০ দশকের শুরুর দিকেও কালীগঙ্গা দিয়ে বড় বড় ফেরি-লঞ্চ চলতে দেখা গেছে। বর্তমানে কালিগঙ্গার বুকে পানির অস্তিত্ব নেই বলইে চলে। বৃহৎ এ নদীটির দূরাবস্থার কারণে শুধু নৌযান চলাচলই বন্ধ হয়নি, নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করা হাজার হাজার জেলে পরিবারেও চলছে দুর্দিন। নদীতে দেশীয় মাছ বিলুপ্তপ্রায়। অনেকেই মাছ ধরার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। যারা পেশা বদল করতে পারেননি তাদের জীবন কাটছে মানবেতরভাবে। নদী মরে যাওয়ার ফলে কৃষিনির্ভর এ এলাকার সেচ কাজও দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আরিচা পদ্মা নদীর অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। মাঝে মধ্যে আরিচা-দৌলতদিয়া, কাজরহাট নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে একটি বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে পদ্মা নদী বিভিন্ন স্পটে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

মানিকগঞ্জ সদরের বেউথা, বান্দুটিয়া, পৌলী এবং তরা, উত্তর তরা কালিগঙ্গায় বিশাল বিশাল চর পড়েছে। চরে আবাদ হচ্ছে ফসলের। অনেক জায়গায় চলছে নদী দখলের নানা কর্মযজ্ঞ। জয়নাল উদ্দিন, হাবিবব মিয়া আবুল হোসেনসহ বয়স্ক অনেকেই জানান, ঘিওর উপজেলার উত্তর তরা নদীর পাড়ে তাদের বাড়ি। ১৫-২০ বছর আগেও এত খারাপ অবস্থা ছিল না। নদীর পাশে তাদের বাড়ি ঘর ছিল। তারা এক সাথে মাছ ধরতেন, গোসল করতেন। এ ছাড়া ঘরের কাজ এবং কৃষিকাজ নদীর পানি দিয়েই করতেন। এখন নদীর বেশিরভাগ জায়গা ভরাট হয়ে ও দখল হয়ে গেছে। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেচ কাজে পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তরা কালীগঙ্গা নদী পাড়ের মির্জাপুর গ্রামের তাপশ রাজবংশী বলেন, আমার বাপ দাদার আমল থেকে এই নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালাতাম। বর্তমানে বর্ষাকাল ছাড়া নদীতে পানি থাকে না। নদীতে পানিতে মাছ নেই। বিগত ৭-৮ বছর যাবৎ তাই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানিই একমাত্র ভরসা। মাছ, জলজ প্রাণী, পাখিসহ অনেক প্রাণী নদীর ওপর নির্ভরশীল। নদী শুকিয়ে গেছে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সকল প্রকার মাছ। নদীগুলো খনন করা জরুরি দরকার ।

মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইউসুফ আলী জানান, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি হল নদী আর এর জন্যই এদেশের জমি যথেষ্ট উর্বল। প্রতিবছর নদী ভাঙনের ফলে মাটি ও পলিতে নদীটি ভরে যাচ্ছে। সেই সাথে অবৈধভাবে দখল, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নদী শাসনের ফলে নদীর এই দৈণ্যদশা।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ এর আওতায় কালীগঙ্গা খনন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও ঘিওরের পুরাতন ধলেশ্বরী দৌলতপুরের বাঘুটিয়া, হরিরামপুরের কাঞ্চনপুরে নদী ভাঙন রোধে ও স্বাভাবিক স্রোতধারা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে। মানিকগঞ্জে ১৪টি নদীতে স্থায়ভাবে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু

ছবি

পাবনায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৮

ছবি

সিলেটে পাথর কোয়ারী দখলে সবার স্বপ্ন এক

ছবি

মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ-ভিডিও কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও একজন 

সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে ন্যাড়া করল কর্মীরা

সৌদি আরবে দালালের হাতে জিম্মি সিলেটি যুবকের মৃত্যু

ছবি

ডেটা ক্লাসিফিকেশন থাকছে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

সাইবার সিকিউরিটি সল্যুশনস নিয়ে মাস্টারকার্ডের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্যক্তি স্বার্থের দ্বন্দ্বের সময় বোয়ালমারীর একান্নবর্তী পাল পরিবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

ছবি

বোয়ালখালীতে বস্তায় আদা চাষ বাড়ছে

ছবি

কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে লাইট হাউস

সংস্কৃতি ক্ষরায় শৈলজারঞ্জন সংস্কৃতি কেন্দ্র

ছবি

শালিকের কিচিরমিচিরে মুখরিত বেতাগী বাসস্ট্যান্ড

খোলা ট্রাক, পিকআপ ও ডাম্পারে ধুলাবালু বহন, জনদুর্ভোগ

তানোরে রাসেল ভাইপারের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

সরিষাবাড়ীতে যমুনা নদীর ভাঙন রোধে মানববন্ধন

নরসিংদীতে সেলাই মেশিন বিতরণ

‘দেশবাসী এখনও খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব আশা করে’

কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার

শরণখোলায় ৭ ফুট লম্বা দাড়াস সাপ উদ্ধার

ছবি

মধ্যপাড়া খনি শ্রমিকদের ধর্মঘট, উৎপাদন বন্ধ

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে জুস রপ্তানি

চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত বাবা-ছেলে

ছবি

হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়ক ভেঙে বেহাল, জনদুর্ভোগ

রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাকে ধরতে ভবনে তল্লাশি, ফোনে বললেন ‘খুঁজে লাভ নেই’

ধনবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি

ছবি

মাতামুহুরীর ভাঙন ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে জিওব্যাগ ডাম্পিং

ছবি

মোরেলগঞ্জে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের কৃষকরা পেলেন কৃষি উপকরণ

বরিশালে বোরো মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছে

দুমকিতে কৃষি উপকরণ বিতরণ

বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু

সিংড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান

পাকুন্দিয়ায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

পোরশা সীমান্তে বাংলাদেশি রাখালকে হত্যা করেছে বিএসএফ

চালককে অচেতন করে ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

মৌলভীবাজারের দুই উপজেলা দিয়ে ৭১ জনকে পুশইন

tab

সারাদেশ

মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৪টি নদী মৃতপ্রায়, ধু-ধু বালু চর

রামপ্রসাদ সরকার দীপু, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জ : নদীতে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল -সংবাদ

রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রমত্তা পদ্মা-যমুনা, কালীগঙ্গা-ধলেশ্বরী, ইছামতী নদীসহ ১৪টি নদী এখন মৃতপ্রায়। নদীরগুলো এখন শুধু ধু ধু বালু চর। ন্যাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে মানিকগঞ্জের নদীগুলো। নদীর বুকে কোথাও কোথাও আবাদ করা হচ্ছে ধান। বর্ষা মৌসুম ছাড়া বছরের প্রায় পুরো সময়টাই থাকে পানিশূন্য। কোথাও গরু চরানো কিংবা দূরন্ত কিশোর কিশোরীদের ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার দৃশ্য চোখে পড়ে। মানুষজন হেঁটে পার হয় ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা ইছামতী। ৪ যুগ আগেও এই নদীতে চলত বড় বড় ফেরি লঞ্চ ও জাহাজ। অনেক নদীতে হাঁটুর নিচে পানি দেখা যাচ্ছে। এখানে গরু মহিষ গোসল করানো হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষজন নদীগুলো শাসন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে জেলাতে কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতীসহ মোট ১৪টি নদী রয়েছে। মোট আয়তন ১ হাজার ৩৭৯ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ২৪১ কিলোমিটার নদী এলাকা। কালীগঙ্গার দৈর্ঘ্য ৭৮ কিলোমিটার প্রস্থ ২৪২ মিটার। নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দৌলতপুরে চরকাটারি এলাকায় যমুনা থেকে উৎপন্ন হয়ে কালীগঙ্গা ঘিওর উপজেলার আশাপুরের পাশ দিয়ে জাবরা, দুর্গাপুর ও তরা এলাকায় ধলেশ্বরীর সাথে মিশেছে। এখান থেকে গালিন্দা, নবগ্রাম, চরঘোসতা, আলীগর চর, শিমুলিয়ায় এসে পদ্মার সাথে মিশেছে। বর্তমানে এখান থেকে আরও খানিকটা এগিয়ে হাতিপাড়া, বালুখন্দ, পাতিলঝাপ, শলা হয়ে আলী নগরে এসে ধলেশ্বরীতে মিশেছে।

৮০ দশকের শুরুর দিকেও কালীগঙ্গা দিয়ে বড় বড় ফেরি-লঞ্চ চলতে দেখা গেছে। বর্তমানে কালিগঙ্গার বুকে পানির অস্তিত্ব নেই বলইে চলে। বৃহৎ এ নদীটির দূরাবস্থার কারণে শুধু নৌযান চলাচলই বন্ধ হয়নি, নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করা হাজার হাজার জেলে পরিবারেও চলছে দুর্দিন। নদীতে দেশীয় মাছ বিলুপ্তপ্রায়। অনেকেই মাছ ধরার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। যারা পেশা বদল করতে পারেননি তাদের জীবন কাটছে মানবেতরভাবে। নদী মরে যাওয়ার ফলে কৃষিনির্ভর এ এলাকার সেচ কাজও দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আরিচা পদ্মা নদীর অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। মাঝে মধ্যে আরিচা-দৌলতদিয়া, কাজরহাট নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে একটি বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে পদ্মা নদী বিভিন্ন স্পটে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

মানিকগঞ্জ সদরের বেউথা, বান্দুটিয়া, পৌলী এবং তরা, উত্তর তরা কালিগঙ্গায় বিশাল বিশাল চর পড়েছে। চরে আবাদ হচ্ছে ফসলের। অনেক জায়গায় চলছে নদী দখলের নানা কর্মযজ্ঞ। জয়নাল উদ্দিন, হাবিবব মিয়া আবুল হোসেনসহ বয়স্ক অনেকেই জানান, ঘিওর উপজেলার উত্তর তরা নদীর পাড়ে তাদের বাড়ি। ১৫-২০ বছর আগেও এত খারাপ অবস্থা ছিল না। নদীর পাশে তাদের বাড়ি ঘর ছিল। তারা এক সাথে মাছ ধরতেন, গোসল করতেন। এ ছাড়া ঘরের কাজ এবং কৃষিকাজ নদীর পানি দিয়েই করতেন। এখন নদীর বেশিরভাগ জায়গা ভরাট হয়ে ও দখল হয়ে গেছে। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেচ কাজে পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তরা কালীগঙ্গা নদী পাড়ের মির্জাপুর গ্রামের তাপশ রাজবংশী বলেন, আমার বাপ দাদার আমল থেকে এই নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালাতাম। বর্তমানে বর্ষাকাল ছাড়া নদীতে পানি থাকে না। নদীতে পানিতে মাছ নেই। বিগত ৭-৮ বছর যাবৎ তাই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানিই একমাত্র ভরসা। মাছ, জলজ প্রাণী, পাখিসহ অনেক প্রাণী নদীর ওপর নির্ভরশীল। নদী শুকিয়ে গেছে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সকল প্রকার মাছ। নদীগুলো খনন করা জরুরি দরকার ।

মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইউসুফ আলী জানান, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি হল নদী আর এর জন্যই এদেশের জমি যথেষ্ট উর্বল। প্রতিবছর নদী ভাঙনের ফলে মাটি ও পলিতে নদীটি ভরে যাচ্ছে। সেই সাথে অবৈধভাবে দখল, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নদী শাসনের ফলে নদীর এই দৈণ্যদশা।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ এর আওতায় কালীগঙ্গা খনন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও ঘিওরের পুরাতন ধলেশ্বরী দৌলতপুরের বাঘুটিয়া, হরিরামপুরের কাঞ্চনপুরে নদী ভাঙন রোধে ও স্বাভাবিক স্রোতধারা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে। মানিকগঞ্জে ১৪টি নদীতে স্থায়ভাবে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।

back to top