কুষ্টিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে নুরজাহান খাতুন নামে এক ভিক্ষুকের ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে এক প্রতারক। প্রকাশ্যে ব্যাংকের ভেতরেই এ ঘটনা ঘটে। আর সর্বস্ব খুইয়ে এখন পাগলপ্রায় ওই ভিক্ষুক।
গত রোববার বেলা ১২টার দিকে শহরের বড়বাজার অগ্রণী ব্যাংক শাখায় গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা নারী। ভুক্তভোগী নুরজাহান খাতুন শহরের মিলপাড়া চাউলের বর্ডার এলাকার মৃত কফিল উদ্দিন শেখের স্ত্রী। তিনি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করেন।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সকালের দিকে নুরজাহান খাতুন ও তার মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শাবানা খাতুন ব্যাংকের ভেতরে গিয়ে টাকাগুলো জমা দিতে নতুন ব্যাংক হিসাব খুলতে যান। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে কয়েকটি টিপসই নেন। এক পর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে ব্যাংকের কাস্টমার সেজে আসা এক প্রতারক তার টাকা জমা দিবে বলে নুরজাহান নামে ওই বৃদ্ধার কাছ থেকে ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় কালো রঙের সোয়েটার, নীল প্যান্ট ও কালো জুতা পরা ছিল ওই প্রতারক।
ভুক্তভোগী নুরজাহান খাতুন বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই মা মেয়ে একসঙ্গেই থাকি শহরের মিলপাড়া চাউলের বর্ডার এলাকায়। অনেকদিন ধরে ভিক্ষাবৃত্তি করে এই টাকাগুলো গুছিয়ে ছিলাম। নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সেই টাকাগুলো রাখার জন্যই মা মেয়ে সকালে ব্যাংকে আসি। এরপর ব্যাংক কর্মকর্তারা কয়েকটি টিপসই নেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওই প্রতারক টাকা জমা দিতে বলে আমার কাছ থেকে ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তিনি আরও বলেন, শেষ সম্বল ওই জমানো টাকাও নিয়ে গেল প্রতারক। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি মানুষের কাছ থেকে নেওয়া ভিক্ষাবৃত্তি করে আমার এই গচ্ছিত টাকাগুলো উদ্ধারে কাজ করবেন। এই টাকাগুলো পেলে আমি আমার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে জীবনযাপন করতে পারব। তাই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে টাকাগুলো উদ্ধারে সহযোগিতা চাই।
অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়ার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো, আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ভুক্তভোগী নুরজাহান খাতুন থানায় জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্তসহ চোরকে ধরতে পুলিশের টিম মাঠে কাজ করছে।
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
কুষ্টিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে নুরজাহান খাতুন নামে এক ভিক্ষুকের ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে এক প্রতারক। প্রকাশ্যে ব্যাংকের ভেতরেই এ ঘটনা ঘটে। আর সর্বস্ব খুইয়ে এখন পাগলপ্রায় ওই ভিক্ষুক।
গত রোববার বেলা ১২টার দিকে শহরের বড়বাজার অগ্রণী ব্যাংক শাখায় গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা নারী। ভুক্তভোগী নুরজাহান খাতুন শহরের মিলপাড়া চাউলের বর্ডার এলাকার মৃত কফিল উদ্দিন শেখের স্ত্রী। তিনি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করেন।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সকালের দিকে নুরজাহান খাতুন ও তার মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শাবানা খাতুন ব্যাংকের ভেতরে গিয়ে টাকাগুলো জমা দিতে নতুন ব্যাংক হিসাব খুলতে যান। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে কয়েকটি টিপসই নেন। এক পর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে ব্যাংকের কাস্টমার সেজে আসা এক প্রতারক তার টাকা জমা দিবে বলে নুরজাহান নামে ওই বৃদ্ধার কাছ থেকে ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় কালো রঙের সোয়েটার, নীল প্যান্ট ও কালো জুতা পরা ছিল ওই প্রতারক।
ভুক্তভোগী নুরজাহান খাতুন বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই মা মেয়ে একসঙ্গেই থাকি শহরের মিলপাড়া চাউলের বর্ডার এলাকায়। অনেকদিন ধরে ভিক্ষাবৃত্তি করে এই টাকাগুলো গুছিয়ে ছিলাম। নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সেই টাকাগুলো রাখার জন্যই মা মেয়ে সকালে ব্যাংকে আসি। এরপর ব্যাংক কর্মকর্তারা কয়েকটি টিপসই নেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওই প্রতারক টাকা জমা দিতে বলে আমার কাছ থেকে ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তিনি আরও বলেন, শেষ সম্বল ওই জমানো টাকাও নিয়ে গেল প্রতারক। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি মানুষের কাছ থেকে নেওয়া ভিক্ষাবৃত্তি করে আমার এই গচ্ছিত টাকাগুলো উদ্ধারে কাজ করবেন। এই টাকাগুলো পেলে আমি আমার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে জীবনযাপন করতে পারব। তাই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে টাকাগুলো উদ্ধারে সহযোগিতা চাই।
অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়ার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো, আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ভুক্তভোগী নুরজাহান খাতুন থানায় জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্তসহ চোরকে ধরতে পুলিশের টিম মাঠে কাজ করছে।