পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দর ধানহাটে বিএনপির দুপক্ষের সংঘষের্র ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে মো. আবু তাহেরকে (২৭) আফজাল হোসেন (৫০), উজ্জল হোসেন (৩৮), সোহরাব প্যাদাসহ সহ অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবু তাহেরকে (২৭) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে ঘটনায় বন্দর ধানহাট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গত শনিবার ও রোববার ট্রাক ষ্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
গত রোববার সকালে বিএনপি নেতা আলী আজমের লোকজন ওই কার্যালয় ও স্ট্যান্ড দখল করে নেয়। দখল হটাতে যুবদল নেতা আরিফ সন্ধ্যা ৬টার দিকে দলবল নিয়ে স্ট্যান্ডের দিকে গেলে তাদের ওপর হামলা করে আলী আজমের লোকজন।
এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে দুপক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এর আগের দিন শনিবার বেলা ১১টার দিকে দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম চৌধুরীর লোকজন দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে কালাইয়া বন্দর হাটের ওই কার্যালয় ও স্ট্যান্ড দখল করতে গেলে এ সময় আরিফ ও তার লোকজন বাধা দেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন (ট্রাক, পিকআপ, লড়ি) ও পটুয়াখালী পায়রা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড হতে গত বছরের ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর তিন বছর মেয়াদে উপজেলার কালাইয়া বন্দর ধান হাট ট্রাক স্ট্যান্ড এজেন্সি কার্যালয় দেয়া হয়। ২৬ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটির সভাপতি হলেন আশরাফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন।
স্টান্ড পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে মো. আরিফ হোসেন বলেন, বিএনপি নেতা আলী আজমের পক্ষে কোনো কাগজপত্র নাই। তিনি গায়ের জোরে ষ্ট্যান্ড দখল করে নেয়। তারা সেখানে গেলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের লোকজনদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছি।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম চৌধুরী বলেন, তার লোকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। যিনি (আরিফ) অভিযোগ দিয়েছেন তিনি বিএনপির কেউ না। বিগত দিনে তিনি যুবলীগ নেতার দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন। এখন বিএনপিতে সুকৌশলে অনুপ্রবেশ করে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাকে ও বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছেন।
এ ঘটনায় কালাইয়া ইউনিয়ন যুবদল সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন শনিবার রাতে ২১ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জন উল্লেখ করে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আরিফ ট্রাক স্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা তাসনিন তানজিলা ইসলাম বলেন, তার ডান হাতের তিনটি আঙুলে কোপ রয়েছে। এর মধ্যে রিং আঙুলটি কেটে চামড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এক পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দর ধানহাটে বিএনপির দুপক্ষের সংঘষের্র ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে মো. আবু তাহেরকে (২৭) আফজাল হোসেন (৫০), উজ্জল হোসেন (৩৮), সোহরাব প্যাদাসহ সহ অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবু তাহেরকে (২৭) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে ঘটনায় বন্দর ধানহাট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গত শনিবার ও রোববার ট্রাক ষ্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
গত রোববার সকালে বিএনপি নেতা আলী আজমের লোকজন ওই কার্যালয় ও স্ট্যান্ড দখল করে নেয়। দখল হটাতে যুবদল নেতা আরিফ সন্ধ্যা ৬টার দিকে দলবল নিয়ে স্ট্যান্ডের দিকে গেলে তাদের ওপর হামলা করে আলী আজমের লোকজন।
এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে দুপক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এর আগের দিন শনিবার বেলা ১১টার দিকে দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম চৌধুরীর লোকজন দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে কালাইয়া বন্দর হাটের ওই কার্যালয় ও স্ট্যান্ড দখল করতে গেলে এ সময় আরিফ ও তার লোকজন বাধা দেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন (ট্রাক, পিকআপ, লড়ি) ও পটুয়াখালী পায়রা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড হতে গত বছরের ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর তিন বছর মেয়াদে উপজেলার কালাইয়া বন্দর ধান হাট ট্রাক স্ট্যান্ড এজেন্সি কার্যালয় দেয়া হয়। ২৬ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটির সভাপতি হলেন আশরাফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন।
স্টান্ড পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে মো. আরিফ হোসেন বলেন, বিএনপি নেতা আলী আজমের পক্ষে কোনো কাগজপত্র নাই। তিনি গায়ের জোরে ষ্ট্যান্ড দখল করে নেয়। তারা সেখানে গেলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের লোকজনদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছি।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম চৌধুরী বলেন, তার লোকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। যিনি (আরিফ) অভিযোগ দিয়েছেন তিনি বিএনপির কেউ না। বিগত দিনে তিনি যুবলীগ নেতার দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন। এখন বিএনপিতে সুকৌশলে অনুপ্রবেশ করে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাকে ও বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছেন।
এ ঘটনায় কালাইয়া ইউনিয়ন যুবদল সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন শনিবার রাতে ২১ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জন উল্লেখ করে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আরিফ ট্রাক স্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা তাসনিন তানজিলা ইসলাম বলেন, তার ডান হাতের তিনটি আঙুলে কোপ রয়েছে। এর মধ্যে রিং আঙুলটি কেটে চামড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এক পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।