রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির জেরে মঙ্গলবার ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটির চালক ট্রেনটি রেখে পালিয়ে যান। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খানকে অবরুদ্ধ করেন।
ট্রেনটি ময়মনসিংহ পৌঁছানোর পর ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা থাকলেও চালক সেখান থেকে চলে যান। প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী স্টেশনে আটকা পড়ে। তাদের দাবি, যদি ট্রেনটি ঢাকা না যায়, তবে মোহনগঞ্জ থেকে ট্রেন ছাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খান বলেন, “চালক ট্রেন ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। যাত্রীরা আমাকে অবরুদ্ধ করেছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।”
যাত্রী জুবায়ের আহমেদ বলেন, “আমার অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে খুব বিপদে পড়েছি। ট্রেন চলবে না জানলে আগে থেকেই বিকল্প ব্যবস্থা নিতাম।”
আরেক যাত্রী হাসানুল হক জানান, “যদি ট্রেন চলার পরিকল্পনা না থাকে, তবে কেন মোহনগঞ্জ থেকে ট্রেন ছাড়ানো হলো? আমরা টিকিটের টাকাও ফেরত পাচ্ছি না।”
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি আকতার হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থায় ঢাকায় পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা চলছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রানিং স্টাফদের পেনশনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির জেরে মঙ্গলবার ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটির চালক ট্রেনটি রেখে পালিয়ে যান। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খানকে অবরুদ্ধ করেন।
ট্রেনটি ময়মনসিংহ পৌঁছানোর পর ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা থাকলেও চালক সেখান থেকে চলে যান। প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী স্টেশনে আটকা পড়ে। তাদের দাবি, যদি ট্রেনটি ঢাকা না যায়, তবে মোহনগঞ্জ থেকে ট্রেন ছাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খান বলেন, “চালক ট্রেন ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। যাত্রীরা আমাকে অবরুদ্ধ করেছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।”
যাত্রী জুবায়ের আহমেদ বলেন, “আমার অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে খুব বিপদে পড়েছি। ট্রেন চলবে না জানলে আগে থেকেই বিকল্প ব্যবস্থা নিতাম।”
আরেক যাত্রী হাসানুল হক জানান, “যদি ট্রেন চলার পরিকল্পনা না থাকে, তবে কেন মোহনগঞ্জ থেকে ট্রেন ছাড়ানো হলো? আমরা টিকিটের টাকাও ফেরত পাচ্ছি না।”
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি আকতার হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থায় ঢাকায় পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা চলছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রানিং স্টাফদের পেনশনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।