রাজশাহী নাটোর ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ অঞ্চলের খেজুরের গুড়ের খ্যাতি দেশব্যাপী। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাটালি গুড়ের চাহিদা বেড়ে যায়। শীত মৌসুমে দুধের পিঠা তেলের পিঠা, ভাপা পিঠাসহ রকমারি পিঠা খাবার ধুম পড়ে যায়।
শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে সকল পেশাজীবী পরিবারের মাঝে ঐতিহ্যের প্রথা দুধের পিঠা ঘরে ঘরে তৈরি করা হয়। শীত এলেই জামাই-ঝি, আত্বীয় স্বজনদের নবান্নের পিঠায় আতিথিয়তার পূর্ণতা পায়। এই জন্য পিঠা তৈরির প্রধান উৎস পাটালি গুড়ের কদর সর্বজনীন। শীত মৌসুমে রমরমা থাকে খেজুরের গুড়ের বাজার। খেজুরের রসের পাটালি গুড় খুবই সুস্বাদু হওয়ায় এই গুড়ের জনপ্রিয়তা সব মানুষের মাঝে। খেজুরের গুড় উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেশি হওয়ায় ব্যবসায়িরা ভেজাল করতে নানা প্রদ্ধতিতে কৌশল অবলম্বন করেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় খেজুরের রসের পরিবর্তে চিনি আখের রসের সঙ্গে বিভিন্ন উপকরন মিশিয়ে ভেজাল পাটালি তৈরীর অভিযোগ পাওয়া গেছে । সিরাজগঞ্জের সদরে খেজুর গাছ চোখে না পড়লেও ভেজাল খেজুরের গুড়ের কমতি নেই। বিভিন্ন কোম্পানির টিনজাত চিনির সঙ্গে আখের সঙ্গে আখের রস মিশ্রিত করে ফিটকিরি সোডা হাইড্রোজ ও আটা বা সুজিসহ কেমিক্যাল মিশিয়ে পাটালি গুড় তৈরি করে চড়া দামে বিক্রি করায় ভোক্তারা প্রতারণা হচ্ছে।
সুস্বাদু পাটালি গুড়ের পরিবর্তে টিনজাত চিনির সঙ্গে আখের রসে মিশ্রিত পাটালি গুড় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আখের রসে পাটালি গুড় চেনার কোন উপায় নেই। ওই সকল কেমিক্যাল মেশানো পাটালি গুড় খেয়ে একদিকে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে অন্যদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ভেজাল পাটালি গুড় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়িরা।
সরজমিনে দেখা যায়, তাড়াশের প্রত্যান্ত অঞ্চল ও সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচঠাকুরী ও পারপাচিল ব্রাহ্মণবয়ড়া গ্রামে আখের রস ও ভারতীয় টিনজাত চিনি জ্বাল করে ঘন করার আটা ও পরিষ্কার করার জন্য ফিটকিরি হাইডোস সোডা সুজিসহ কেমিক্যাল মিশিয়ে দর্শনদারি হুবহু পাটালি তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ সদর, মেছড়া, কাওয়াকোলা কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়া নলিন রুপসার চরসহ ভুয়াপুরের চরাঞ্চলের হাট বাজারে ব্যবসায়ীরা ওই সকল গুড় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতি সপ্তাহে ছোনগাছা ও পাঁচ চাকরি বাজারে এলাকায় ভেজাল পাটালি গুড় তৈরি করে বাজারজাত করছে। প্রতি কেজি ৯৬ টাকা দরে ২৫ কেজির চিনির টিন বাজারে ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে আমদানি করা হয় বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
সিরাজগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মাহমুদ হাসান জানান, ভেজালের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে । গুড়সহ বিভিন্ন পণ্যের ভেজাল স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে ।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকিকুন নাহার বলেন, কেমিক্যাল মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতি করে। কেমিক্যাল সেবনে ডায়রিয়া, আলসার, বমি কিডনি হার্ট লিভার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
রাজশাহী নাটোর ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ অঞ্চলের খেজুরের গুড়ের খ্যাতি দেশব্যাপী। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাটালি গুড়ের চাহিদা বেড়ে যায়। শীত মৌসুমে দুধের পিঠা তেলের পিঠা, ভাপা পিঠাসহ রকমারি পিঠা খাবার ধুম পড়ে যায়।
শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে সকল পেশাজীবী পরিবারের মাঝে ঐতিহ্যের প্রথা দুধের পিঠা ঘরে ঘরে তৈরি করা হয়। শীত এলেই জামাই-ঝি, আত্বীয় স্বজনদের নবান্নের পিঠায় আতিথিয়তার পূর্ণতা পায়। এই জন্য পিঠা তৈরির প্রধান উৎস পাটালি গুড়ের কদর সর্বজনীন। শীত মৌসুমে রমরমা থাকে খেজুরের গুড়ের বাজার। খেজুরের রসের পাটালি গুড় খুবই সুস্বাদু হওয়ায় এই গুড়ের জনপ্রিয়তা সব মানুষের মাঝে। খেজুরের গুড় উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেশি হওয়ায় ব্যবসায়িরা ভেজাল করতে নানা প্রদ্ধতিতে কৌশল অবলম্বন করেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় খেজুরের রসের পরিবর্তে চিনি আখের রসের সঙ্গে বিভিন্ন উপকরন মিশিয়ে ভেজাল পাটালি তৈরীর অভিযোগ পাওয়া গেছে । সিরাজগঞ্জের সদরে খেজুর গাছ চোখে না পড়লেও ভেজাল খেজুরের গুড়ের কমতি নেই। বিভিন্ন কোম্পানির টিনজাত চিনির সঙ্গে আখের সঙ্গে আখের রস মিশ্রিত করে ফিটকিরি সোডা হাইড্রোজ ও আটা বা সুজিসহ কেমিক্যাল মিশিয়ে পাটালি গুড় তৈরি করে চড়া দামে বিক্রি করায় ভোক্তারা প্রতারণা হচ্ছে।
সুস্বাদু পাটালি গুড়ের পরিবর্তে টিনজাত চিনির সঙ্গে আখের রসে মিশ্রিত পাটালি গুড় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আখের রসে পাটালি গুড় চেনার কোন উপায় নেই। ওই সকল কেমিক্যাল মেশানো পাটালি গুড় খেয়ে একদিকে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে অন্যদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ভেজাল পাটালি গুড় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়িরা।
সরজমিনে দেখা যায়, তাড়াশের প্রত্যান্ত অঞ্চল ও সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচঠাকুরী ও পারপাচিল ব্রাহ্মণবয়ড়া গ্রামে আখের রস ও ভারতীয় টিনজাত চিনি জ্বাল করে ঘন করার আটা ও পরিষ্কার করার জন্য ফিটকিরি হাইডোস সোডা সুজিসহ কেমিক্যাল মিশিয়ে দর্শনদারি হুবহু পাটালি তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ সদর, মেছড়া, কাওয়াকোলা কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়া নলিন রুপসার চরসহ ভুয়াপুরের চরাঞ্চলের হাট বাজারে ব্যবসায়ীরা ওই সকল গুড় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতি সপ্তাহে ছোনগাছা ও পাঁচ চাকরি বাজারে এলাকায় ভেজাল পাটালি গুড় তৈরি করে বাজারজাত করছে। প্রতি কেজি ৯৬ টাকা দরে ২৫ কেজির চিনির টিন বাজারে ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে আমদানি করা হয় বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
সিরাজগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মাহমুদ হাসান জানান, ভেজালের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে । গুড়সহ বিভিন্ন পণ্যের ভেজাল স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে ।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকিকুন নাহার বলেন, কেমিক্যাল মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতি করে। কেমিক্যাল সেবনে ডায়রিয়া, আলসার, বমি কিডনি হার্ট লিভার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।