বাড়ির কাজের দশ বছরের শিশু কন্যা সামছুন নাহারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার শান্তা মাঝগ্রামের মৃত রমজান আলীর পুত্র কাজী মতিয়র রহমান ও মতিয়র রহমানের স্ত্রী মোসা. রব্বানু বেগম। জামিনে গিয়ে মোসা. রব্বানু পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজাপরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি জারি করেছেন। আদালতে হাজির থাকা কাজী মতিয়র রহমানকে পুলিশ পাহারায় জয়পুরহাট কারাগারে পাঠানো হয়।
গত সোমবার দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের সরকারি কৌসুলী (এপিপি) এ টি এম মিজানুর রহমান।
আক্কেলপুর উপজেলার কেশবপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মামলার বাদি নিহত সামছুন নাহারের বড় বোন আফরোজা বেগম তার মামলায় অভিযোগ করেন, জেলার আক্কেলপুর উপজেলার শান্তা মাঝগ্রামের মতিয়র রহমান দম্পতির বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসেবে তার ছোট বোন সামছুন নাহার কাজ করতো। ১৯৯৮ সালের ২৫ মে রাতে মামলার বাদি আফরোজা বেগম লোক মুখে জানতে পারেন সামছুন নাহার বিষ (কীটনাশক) খেয়ে আক্কেলপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। রাতে সে মারা যায়। এমন খবর পান তার বড় বোন আফরোজা বেগম।
এ ঘটনায় আক্কেলপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি) হয়। আক্কেলুর থানা পুলিশ বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়ার জন্য শিশু সামছুন নাহারের ভিসেরার রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ঢাকার মহাখালি পরীক্ষক সি আই ডি বরাবর প্রেরণ করে। ২০০১ সালে ওই পরীক্ষার প্রতিবেদনে সামছুন নাহারকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সামছুন নাহারের বড় বোন মৃত আরাম আলীর কন্যা আফরোজা বেগম বাদি হয়ে ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি মতিয়র দম্পতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আক্কেলপুর থানার উপসহকারী (এসআই) পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম মাওলা মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৫ মার্চ মতিয়র দম্পতির রিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারে স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে দীর্ঘ ২৪ বছর পর এ মামলার রায় হয়।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
বাড়ির কাজের দশ বছরের শিশু কন্যা সামছুন নাহারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার শান্তা মাঝগ্রামের মৃত রমজান আলীর পুত্র কাজী মতিয়র রহমান ও মতিয়র রহমানের স্ত্রী মোসা. রব্বানু বেগম। জামিনে গিয়ে মোসা. রব্বানু পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজাপরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি জারি করেছেন। আদালতে হাজির থাকা কাজী মতিয়র রহমানকে পুলিশ পাহারায় জয়পুরহাট কারাগারে পাঠানো হয়।
গত সোমবার দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের সরকারি কৌসুলী (এপিপি) এ টি এম মিজানুর রহমান।
আক্কেলপুর উপজেলার কেশবপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মামলার বাদি নিহত সামছুন নাহারের বড় বোন আফরোজা বেগম তার মামলায় অভিযোগ করেন, জেলার আক্কেলপুর উপজেলার শান্তা মাঝগ্রামের মতিয়র রহমান দম্পতির বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসেবে তার ছোট বোন সামছুন নাহার কাজ করতো। ১৯৯৮ সালের ২৫ মে রাতে মামলার বাদি আফরোজা বেগম লোক মুখে জানতে পারেন সামছুন নাহার বিষ (কীটনাশক) খেয়ে আক্কেলপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। রাতে সে মারা যায়। এমন খবর পান তার বড় বোন আফরোজা বেগম।
এ ঘটনায় আক্কেলপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি) হয়। আক্কেলুর থানা পুলিশ বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়ার জন্য শিশু সামছুন নাহারের ভিসেরার রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ঢাকার মহাখালি পরীক্ষক সি আই ডি বরাবর প্রেরণ করে। ২০০১ সালে ওই পরীক্ষার প্রতিবেদনে সামছুন নাহারকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সামছুন নাহারের বড় বোন মৃত আরাম আলীর কন্যা আফরোজা বেগম বাদি হয়ে ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি মতিয়র দম্পতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আক্কেলপুর থানার উপসহকারী (এসআই) পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম মাওলা মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৫ মার্চ মতিয়র দম্পতির রিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারে স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে দীর্ঘ ২৪ বছর পর এ মামলার রায় হয়।