রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার রোগীদের রেডিও থেরাপির এক মাত্র মেশিনটি আছে। ফলে নিম্ন পরিবারের রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বার বার উর্ধতন কতপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। মাত্র ৯ মাস আগে বিয়ে হয়েছিলো নীলফামারী জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম গ্রামের হতদরিদ্র আশরাফ আলীর মেয়ে রিক্তা বেগমের। বিয়ের কিছুদিন পর গলায় ক্যানসার ধরা পড়ে তার। এরপর জমি জমা বিক্রি করে ৫ বার কেমো থেরাপি দেয়া হয়েছে রিক্তা বেগমের। এখন তার রেডিও থোরাপি দেয়া দরকার। এই জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছেন তিনি। কিন্তু হাসপাতালের এক মাত্র কোবাল মেশিন বিকল খাকার কারনে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন হয় তাকে ঢাকায় যেতে হবে। কিন্তু সেখানে সরকারি ক্যানসার হাসপাতালে থেরাপি দিতে ৪ থেকে ৫ মাস অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু ১ মাসের মধ্যে থেরাপি না দিলে তাকে বাঁচানো যাবেনা বলে চিকিৎসকরদের আশঙ্কা। কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তার পক্ষে থেরাপি দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। রিক্তা বেগমের মতো পীরগাছার আবেদ আলী, লালমনিরহাটের আফজাল হোসেনসহ অনেকেই রেডিও থেরাপি দিতে না পারায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। অন্যদিকে প্রতিদিনই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও, থেরাপি দেওয়ার কোনো বিকল্প ব্যাবস্থা না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে।
কোবাল মেশিনের বিষয়ে কথা বলতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগের বিভাগীয় অধ্যাপক স্বপন কুমার সঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মূলত ১৯৯৭ সালে এই হাসপাতালে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোবাল মেশিনটি স্থাপন করা হলেও ৪ বছর অকেজো হয়েই পড়ে ছিল মেশিনটি। এই নিয়ে গনমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ২০০১ সালে মেশিনটি চালু করা হয়। এরপর ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। মেশিনটি ৫ বছর পর পর সোসিং করার কথা থাকলেও সর্বশেষ ২০০৮ সালের পর তা করা হয়নি। ফলে মেশিনটিকে আর সচল করা সম্ভব নয়। তাই হাসপাতালে নতুন একটি কোবাল মেশিন জরুরিভিত্তিতে স্থাপন করা না হলে অনেক ক্যানসার আক্রান্ত রোগী রেডিও থোরাপির অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন। ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. আক্কাছ আলী জানান, রংপুর বিভাগে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক বাড়ছে। বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত নারী রোগীরা থেরাপি দিতে পারছেনা। বেশির ভাগ রোগীদের আর্থিক সঙ্গতি নেই ফলে রংপুরে একটি মেশিন স্থাপন করা গেলে রোগীদের চিকিৎসা করা সম্ভব। সেই জন্য মেশিন স্থাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় স্থাপনাও রয়েছে। তবে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নতুন একটি কোবাল মেশিন স্থাপন করে, আক্রান্ত রোগীদের বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার এমনটাই দাবি ক্যানসার আক্রান্ত রোগী এবং তাদের স্বজনদের।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার রোগীদের রেডিও থেরাপির এক মাত্র মেশিনটি আছে। ফলে নিম্ন পরিবারের রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বার বার উর্ধতন কতপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। মাত্র ৯ মাস আগে বিয়ে হয়েছিলো নীলফামারী জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম গ্রামের হতদরিদ্র আশরাফ আলীর মেয়ে রিক্তা বেগমের। বিয়ের কিছুদিন পর গলায় ক্যানসার ধরা পড়ে তার। এরপর জমি জমা বিক্রি করে ৫ বার কেমো থেরাপি দেয়া হয়েছে রিক্তা বেগমের। এখন তার রেডিও থোরাপি দেয়া দরকার। এই জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছেন তিনি। কিন্তু হাসপাতালের এক মাত্র কোবাল মেশিন বিকল খাকার কারনে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন হয় তাকে ঢাকায় যেতে হবে। কিন্তু সেখানে সরকারি ক্যানসার হাসপাতালে থেরাপি দিতে ৪ থেকে ৫ মাস অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু ১ মাসের মধ্যে থেরাপি না দিলে তাকে বাঁচানো যাবেনা বলে চিকিৎসকরদের আশঙ্কা। কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তার পক্ষে থেরাপি দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। রিক্তা বেগমের মতো পীরগাছার আবেদ আলী, লালমনিরহাটের আফজাল হোসেনসহ অনেকেই রেডিও থেরাপি দিতে না পারায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। অন্যদিকে প্রতিদিনই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও, থেরাপি দেওয়ার কোনো বিকল্প ব্যাবস্থা না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে।
কোবাল মেশিনের বিষয়ে কথা বলতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগের বিভাগীয় অধ্যাপক স্বপন কুমার সঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মূলত ১৯৯৭ সালে এই হাসপাতালে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোবাল মেশিনটি স্থাপন করা হলেও ৪ বছর অকেজো হয়েই পড়ে ছিল মেশিনটি। এই নিয়ে গনমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ২০০১ সালে মেশিনটি চালু করা হয়। এরপর ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। মেশিনটি ৫ বছর পর পর সোসিং করার কথা থাকলেও সর্বশেষ ২০০৮ সালের পর তা করা হয়নি। ফলে মেশিনটিকে আর সচল করা সম্ভব নয়। তাই হাসপাতালে নতুন একটি কোবাল মেশিন জরুরিভিত্তিতে স্থাপন করা না হলে অনেক ক্যানসার আক্রান্ত রোগী রেডিও থোরাপির অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন। ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. আক্কাছ আলী জানান, রংপুর বিভাগে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক বাড়ছে। বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত নারী রোগীরা থেরাপি দিতে পারছেনা। বেশির ভাগ রোগীদের আর্থিক সঙ্গতি নেই ফলে রংপুরে একটি মেশিন স্থাপন করা গেলে রোগীদের চিকিৎসা করা সম্ভব। সেই জন্য মেশিন স্থাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় স্থাপনাও রয়েছে। তবে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নতুন একটি কোবাল মেশিন স্থাপন করে, আক্রান্ত রোগীদের বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার এমনটাই দাবি ক্যানসার আক্রান্ত রোগী এবং তাদের স্বজনদের।