ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ১৫টি ভেকু দিয়ে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। এতে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা কৃষিজমি, পরিণত হচ্ছে জলাশয়ে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এভাবে মাটি কেটে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে মানচিত্র থেকে উধাও করে দিচ্ছে কৃষিজমি। যদিও কৃষিজমি রক্ষায় সরকারের কড়া নির্দেশ রয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভূইশ্বর, পাকশিমুল এবং তেলিকান্দি মৌজার তিতাস নদীর পাড়ে চতুর্দিক ১৫টি ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে এমন চিত্র চোখে পড়ে। ১০টি বাল্বহেড নৌকায় করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়। এছাড়া ২০টি মাহিন্দ্র ট্রাক্টর করে মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাটি কাটাচ্ছে কয়েকটি চক্র। ভেকু দিয়ে মাটির ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে অর্থের বিনিময়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন মাটিখেকোরা। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের অভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন উপজেলার মাটিখেকোরা।
স্থানীয়রা বলছেন, ফসলি জমি ধ্বংসের জন্য শুধু মাটি ব্যবসায়ীরাই দায়ী নয়, জমির মালিকরাও দায়ী। কারণ মাটিখেকোদের নগদ টাকার লোভে পড়ে থাকেন জমির মালিকরা। এই সুযোগে কৌশলে জমির মালিকদের নগদ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি কিনে নেন মাটি ব্যবসায়ীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের দুলাল মিয়া, নাজিম উদ্দীন, মুক্তার মিয়া, রমজান মিয়া, মাসুক মিয়া এবং জাকারিয়াসহ আরও অনেকই মিলে মাটি ব্যবসায়ী ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে অবাধে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফসলি জমির মাটি কাটার কথা স্বীকার করেন তারা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন জানান, পূর্বেও এই বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করে অর্থ ও কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। এখনও এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে রাতের আঁধারে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার দায়ে মফিজুল হক ও নাঈম ইসলাম নামে দুই ব্যক্তিকে কারাদ--জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিলে অভিযান চালিয়ে তাদের কারাদ- ও জরিমানা করেন। এদের মধ্যে সরাইল উপজেলার আঁখিতারা গ্রামের মফিজুল হককে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদ- এবং জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের নাঈম ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সম্প্রতি কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ও মালিকানাধীন কৃষিজমিতে ভেকু মেশিন লাগিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে আসছে। স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলেও প্রভাবশালীরা তাদের বাধা উপেক্ষা করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিলে অভিযান চালিয়ে তাদের কারাদ- ও জরিমানা করেন। এ সময় মাটি ভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, সম্প্রতি কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিলে কৃষিজমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার দায়ে অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একজনকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- এবং অন্যজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান কালে সেখান থেকে একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়। এ সময় সরাইল থানাপুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ১৫টি ভেকু দিয়ে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। এতে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা কৃষিজমি, পরিণত হচ্ছে জলাশয়ে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এভাবে মাটি কেটে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে মানচিত্র থেকে উধাও করে দিচ্ছে কৃষিজমি। যদিও কৃষিজমি রক্ষায় সরকারের কড়া নির্দেশ রয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভূইশ্বর, পাকশিমুল এবং তেলিকান্দি মৌজার তিতাস নদীর পাড়ে চতুর্দিক ১৫টি ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে এমন চিত্র চোখে পড়ে। ১০টি বাল্বহেড নৌকায় করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়। এছাড়া ২০টি মাহিন্দ্র ট্রাক্টর করে মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাটি কাটাচ্ছে কয়েকটি চক্র। ভেকু দিয়ে মাটির ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে অর্থের বিনিময়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন মাটিখেকোরা। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের অভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন উপজেলার মাটিখেকোরা।
স্থানীয়রা বলছেন, ফসলি জমি ধ্বংসের জন্য শুধু মাটি ব্যবসায়ীরাই দায়ী নয়, জমির মালিকরাও দায়ী। কারণ মাটিখেকোদের নগদ টাকার লোভে পড়ে থাকেন জমির মালিকরা। এই সুযোগে কৌশলে জমির মালিকদের নগদ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি কিনে নেন মাটি ব্যবসায়ীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের দুলাল মিয়া, নাজিম উদ্দীন, মুক্তার মিয়া, রমজান মিয়া, মাসুক মিয়া এবং জাকারিয়াসহ আরও অনেকই মিলে মাটি ব্যবসায়ী ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে অবাধে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফসলি জমির মাটি কাটার কথা স্বীকার করেন তারা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন জানান, পূর্বেও এই বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করে অর্থ ও কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। এখনও এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে রাতের আঁধারে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার দায়ে মফিজুল হক ও নাঈম ইসলাম নামে দুই ব্যক্তিকে কারাদ--জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিলে অভিযান চালিয়ে তাদের কারাদ- ও জরিমানা করেন। এদের মধ্যে সরাইল উপজেলার আঁখিতারা গ্রামের মফিজুল হককে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদ- এবং জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের নাঈম ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সম্প্রতি কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ও মালিকানাধীন কৃষিজমিতে ভেকু মেশিন লাগিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে আসছে। স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলেও প্রভাবশালীরা তাদের বাধা উপেক্ষা করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিলে অভিযান চালিয়ে তাদের কারাদ- ও জরিমানা করেন। এ সময় মাটি ভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, সম্প্রতি কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিলে কৃষিজমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার দায়ে অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একজনকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- এবং অন্যজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান কালে সেখান থেকে একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়। এ সময় সরাইল থানাপুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।