ইটভাটার নির্গত ধোঁয়ায় কৃষিজমিসহ চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে জীবন ও পরিবেশ। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের লাঙ্গলের হাট এলাকায় আবাদি জমিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও সংশ্লিষ্ট অনুমোদন ছাড়াই সব নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করেই চলছে এসএবি ইটভাটা। ওই ইটভাটার কালো ধোঁয়া বাতাসকে বিষাক্ত করে তুলছে, যা একদিকে গাছপালা ধ্বংস করছে, অন্যদিকে এলাকাবাসীর ফুসফুসে ঢুকছে ক্যান্সার ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি। উপজেলার ঘাঘটটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আধা কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ইটভাটাটি। ইট পোড়ানোর ধোঁয়ায় ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) ২০১৯ অনুযায়ী, বিশেষ কোনো স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা অনুরূপ কোনো স্থান বা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। সরেজমিনে জানা গেছে, ২০১৭ সালের পর এখন পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নবায়ন না করেই এসএবি ভাটাটি চালু রেখেছেন। ইটভাটার মালিক দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। পাশাপাশি ইট তৈরির মূল উপকরণ মাটি সংগ্রহে আবাদি জমির টপসয়েল কাটার মহাউৎসব শুরু করেছেন। ভাটার পাশেই আবাদি জমির টপ সয়েল কেটে যেন পাহাড় গড়ে তুলেছে। তাছাড়াও ইটভাটায় মাটি বহনকারী ট্রলি ও ইট পরিবহন কাজে ৫ টনের অধিক ওজনের ট্রাক ব্যবহার করায় এলজিইডির আওতাধীন গ্রামীণ রাস্তাগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা জানান, ভাটার ধোঁয়ার কারণে ঘটছে পরিবেশের বিপর্যয়। ফলে কৃষিজ উৎপাদনে পড়ছে বিরূপ প্রভাব। ভাটার পণ্য বহনকারী যানবাহন চলাচলে উড়ন্ত ধুলায় পথচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা অসুখ-বিসুখসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিভিন্ন বয়সি মানুষ এ ধুলার কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা দ্রুত ওই ইটভাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে ইট ভাটার মালিক নাজমুল হাসান মুঠোফোনে বলেন, বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রত্যয়ন নবায়ন বন্ধ রয়েছে। তাই আপডেট সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
ইটভাটার নির্গত ধোঁয়ায় কৃষিজমিসহ চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে জীবন ও পরিবেশ। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের লাঙ্গলের হাট এলাকায় আবাদি জমিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও সংশ্লিষ্ট অনুমোদন ছাড়াই সব নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করেই চলছে এসএবি ইটভাটা। ওই ইটভাটার কালো ধোঁয়া বাতাসকে বিষাক্ত করে তুলছে, যা একদিকে গাছপালা ধ্বংস করছে, অন্যদিকে এলাকাবাসীর ফুসফুসে ঢুকছে ক্যান্সার ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি। উপজেলার ঘাঘটটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আধা কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ইটভাটাটি। ইট পোড়ানোর ধোঁয়ায় ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) ২০১৯ অনুযায়ী, বিশেষ কোনো স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা অনুরূপ কোনো স্থান বা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। সরেজমিনে জানা গেছে, ২০১৭ সালের পর এখন পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নবায়ন না করেই এসএবি ভাটাটি চালু রেখেছেন। ইটভাটার মালিক দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। পাশাপাশি ইট তৈরির মূল উপকরণ মাটি সংগ্রহে আবাদি জমির টপসয়েল কাটার মহাউৎসব শুরু করেছেন। ভাটার পাশেই আবাদি জমির টপ সয়েল কেটে যেন পাহাড় গড়ে তুলেছে। তাছাড়াও ইটভাটায় মাটি বহনকারী ট্রলি ও ইট পরিবহন কাজে ৫ টনের অধিক ওজনের ট্রাক ব্যবহার করায় এলজিইডির আওতাধীন গ্রামীণ রাস্তাগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা জানান, ভাটার ধোঁয়ার কারণে ঘটছে পরিবেশের বিপর্যয়। ফলে কৃষিজ উৎপাদনে পড়ছে বিরূপ প্রভাব। ভাটার পণ্য বহনকারী যানবাহন চলাচলে উড়ন্ত ধুলায় পথচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা অসুখ-বিসুখসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিভিন্ন বয়সি মানুষ এ ধুলার কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা দ্রুত ওই ইটভাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে ইট ভাটার মালিক নাজমুল হাসান মুঠোফোনে বলেন, বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রত্যয়ন নবায়ন বন্ধ রয়েছে। তাই আপডেট সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।