নওগাঁর বদলগাছীতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মো. ইন্তেখাফ আলমের বিভিন্ন তালবাহানায় এখন পর্যন্ত চাঁপাইনগরের গভীর নলকূপটি চালু হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন কৃষকরা। এ কারণে কৃষকরা ইরি-বোরো চাষাবাদ করতে পারচ্ছে না।
অপরেটর নিয়োগ হওয়ার পরও গভীর নলকূপের সংযোগ না পাওয়ায় নব নির্বাচিত অপারেট জোহানুর ইসলামকে বহাল রেখে গভীর নলকূপটি চালুর জন্য বদলগাছী উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বরাবর গত ২১ জানুয়ারি একটি আবেদন করেছে এলাকার কৃষকরা। তার অনুলিপি দিয়েছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক, জোনাল অফিস বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নওগাঁ-১, বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বদলগাছী প্রেসক্লাবকে।
জানা যায়, ২ নং মথরাপুর ইউনিয়নের চাঁপাইনগর মৌজার জেএল নং-২৫, দাগ নং-২৯৪ স্থাপনকৃত বরেন্দ্রের গভীর নলকূপটি পরিচালনার জন্য গত ৩১ ডিসেম্বর ওই গ্রামের জোহানুর ইসলামকে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অপারেটর হিসাবে নির্বাচিত করে তালিকা প্রকাশ করেন। অপারেটর জোহানুর ইসলামকে বহাল রাখতে এলাকার ৭২ জন কৃষক স্বাক্ষর প্রদান করে।
চাঁপাইনগর এলাকায় গেলে প্রায় ২৫-৩০ জন কৃষক বলেন, স্বৈরাচার সরকারের সময় আমরা কথা বলতে পারিনি। প্রশাসনে অভিযোগ করার পরেও অপারেটর বদলাতে পারিনি। সরকার পতনের পর আমরা এলাকার কৃষকরা অপারেটর পরিবর্তন জন্য আবেদন করি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ ডিসেম্বর আমাদের সবার পছন্দের কৃষক জোহানুর ইসলামকে বরন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অপারেটর হিসাবে নিয়োগ দেয়। এর মাঝে শামিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সাবেক মাথুরাপুর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপু সহযোগিতায় আবারও এই নলকূপের অপারেটর বদলাতে চেষ্টা করছে স্বার্থ হাসিলের জন্য। আর এই টিপু চৌধুরীর কথা মতো চলছে বদলগাছী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মো. ইন্তেখাফ আলম। চাঁপাইনগর গভীর নলকূপটি চালুর জন্য আমরা সব কৃষক গত ১৫ জানুয়ারি একটি সভার আয়োজন করি। সে সভায় সবার সম্মতিক্রমে আমরা আক্কাস আলীকে সভাপতি করে মোট ১৬ জনের একটি কমিটি করি এবং সেটি বদলগাছী বরেন্দ্র অফিসে জমা দেই। আমরা জাহানুর ইসলামকে নিয়োগের দাবি করি।
চাঁপাইনগর গভীর নলকূপের কৃষক ও বর্তমান মথুরাপুর ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, আমার ওইখানে ৭ বিঘা জমি রয়েছে। ওই নলকূপে এখনও কোনো সংযোগ পায়নি। তাই পনি না পাওয়ায় চাষাবাদ করতে পারিনি।
কমিটির সভাপতি আক্কাস আলীসহ কৃষক নজরুল, তোফাজ্জল ও এনামুল বলেন, এই নলকূপে বর্তমানে ১৬০ বিঘা জমি রয়েছে।
সংযোগ না পাওয়ায় ইরি-বোরো চাষাবাদ নিয়ে আমরা কৃষকরা হতাশার মধ্যে রয়েছি। অপারেটরসহ আমরা কমিটির লোকজন ও এলাকার কৃষকরা সংযোগের জন্য কয়েকবার বরেন্দ্র অফিসের সহকারী প্রকৌশলীর কাছে গেলেও তিনি অপারেটর ঠিক রেখে টিপু চৌধুরীর পছন্দের ব্যক্তি শামিউলকে গভীর নলকূপটি পরিচালনার জন্য দ্বায়িত্ব দিতে বলেন। তাতে আমরা রাজি হয়নি তাই সংযোগের কাগজ দিচ্ছেনা।
শামিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আপনি বোঝেন না। আমার পিছনেকে আছে। আপনার ওই নলকূপে নাকি ৫ কাঠা জমি রয়েছে বলে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে পরে কথা বলবো। কোনো কৃষকতো আপনাকে চাচ্ছে না বলে অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা সময়ে দেখা যাবে।
বিষয়গুলো নিয়ে মথুরাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কারো পক্ষে সুপারিশ করিনি। তবে আমি উভয়কে মিলেমিশে গভীর নলকূপটি চালাতে বলেছি।
চাঁপাইনগর গভীর নলকূপের সংযোগের কাগজটি কেন অপারেটরকে দিচ্ছেন না বলে জানতে চাইলে সেচ কমিটির সদস্য সচিব বদলগাছী উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী ইন্তেখাফ আলম (অ.দা.) দাম্ভিকতার সুরে এই প্রতিবেদক কে বলেন, মথুরাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান টিপু চৌধুরী বলেছিলেন তাই। তার কথা মতোই কি আপনাদের অপারেটর নিয়োগ বা গভীর নলকূপের সংযোগের কাগজ দেয়া হচ্ছে বলে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আপনি আমাকে চার্জ করতে পারেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখবো।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
নওগাঁর বদলগাছীতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মো. ইন্তেখাফ আলমের বিভিন্ন তালবাহানায় এখন পর্যন্ত চাঁপাইনগরের গভীর নলকূপটি চালু হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন কৃষকরা। এ কারণে কৃষকরা ইরি-বোরো চাষাবাদ করতে পারচ্ছে না।
অপরেটর নিয়োগ হওয়ার পরও গভীর নলকূপের সংযোগ না পাওয়ায় নব নির্বাচিত অপারেট জোহানুর ইসলামকে বহাল রেখে গভীর নলকূপটি চালুর জন্য বদলগাছী উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বরাবর গত ২১ জানুয়ারি একটি আবেদন করেছে এলাকার কৃষকরা। তার অনুলিপি দিয়েছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক, জোনাল অফিস বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নওগাঁ-১, বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বদলগাছী প্রেসক্লাবকে।
জানা যায়, ২ নং মথরাপুর ইউনিয়নের চাঁপাইনগর মৌজার জেএল নং-২৫, দাগ নং-২৯৪ স্থাপনকৃত বরেন্দ্রের গভীর নলকূপটি পরিচালনার জন্য গত ৩১ ডিসেম্বর ওই গ্রামের জোহানুর ইসলামকে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অপারেটর হিসাবে নির্বাচিত করে তালিকা প্রকাশ করেন। অপারেটর জোহানুর ইসলামকে বহাল রাখতে এলাকার ৭২ জন কৃষক স্বাক্ষর প্রদান করে।
চাঁপাইনগর এলাকায় গেলে প্রায় ২৫-৩০ জন কৃষক বলেন, স্বৈরাচার সরকারের সময় আমরা কথা বলতে পারিনি। প্রশাসনে অভিযোগ করার পরেও অপারেটর বদলাতে পারিনি। সরকার পতনের পর আমরা এলাকার কৃষকরা অপারেটর পরিবর্তন জন্য আবেদন করি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ ডিসেম্বর আমাদের সবার পছন্দের কৃষক জোহানুর ইসলামকে বরন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অপারেটর হিসাবে নিয়োগ দেয়। এর মাঝে শামিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সাবেক মাথুরাপুর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপু সহযোগিতায় আবারও এই নলকূপের অপারেটর বদলাতে চেষ্টা করছে স্বার্থ হাসিলের জন্য। আর এই টিপু চৌধুরীর কথা মতো চলছে বদলগাছী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মো. ইন্তেখাফ আলম। চাঁপাইনগর গভীর নলকূপটি চালুর জন্য আমরা সব কৃষক গত ১৫ জানুয়ারি একটি সভার আয়োজন করি। সে সভায় সবার সম্মতিক্রমে আমরা আক্কাস আলীকে সভাপতি করে মোট ১৬ জনের একটি কমিটি করি এবং সেটি বদলগাছী বরেন্দ্র অফিসে জমা দেই। আমরা জাহানুর ইসলামকে নিয়োগের দাবি করি।
চাঁপাইনগর গভীর নলকূপের কৃষক ও বর্তমান মথুরাপুর ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, আমার ওইখানে ৭ বিঘা জমি রয়েছে। ওই নলকূপে এখনও কোনো সংযোগ পায়নি। তাই পনি না পাওয়ায় চাষাবাদ করতে পারিনি।
কমিটির সভাপতি আক্কাস আলীসহ কৃষক নজরুল, তোফাজ্জল ও এনামুল বলেন, এই নলকূপে বর্তমানে ১৬০ বিঘা জমি রয়েছে।
সংযোগ না পাওয়ায় ইরি-বোরো চাষাবাদ নিয়ে আমরা কৃষকরা হতাশার মধ্যে রয়েছি। অপারেটরসহ আমরা কমিটির লোকজন ও এলাকার কৃষকরা সংযোগের জন্য কয়েকবার বরেন্দ্র অফিসের সহকারী প্রকৌশলীর কাছে গেলেও তিনি অপারেটর ঠিক রেখে টিপু চৌধুরীর পছন্দের ব্যক্তি শামিউলকে গভীর নলকূপটি পরিচালনার জন্য দ্বায়িত্ব দিতে বলেন। তাতে আমরা রাজি হয়নি তাই সংযোগের কাগজ দিচ্ছেনা।
শামিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আপনি বোঝেন না। আমার পিছনেকে আছে। আপনার ওই নলকূপে নাকি ৫ কাঠা জমি রয়েছে বলে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে পরে কথা বলবো। কোনো কৃষকতো আপনাকে চাচ্ছে না বলে অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা সময়ে দেখা যাবে।
বিষয়গুলো নিয়ে মথুরাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কারো পক্ষে সুপারিশ করিনি। তবে আমি উভয়কে মিলেমিশে গভীর নলকূপটি চালাতে বলেছি।
চাঁপাইনগর গভীর নলকূপের সংযোগের কাগজটি কেন অপারেটরকে দিচ্ছেন না বলে জানতে চাইলে সেচ কমিটির সদস্য সচিব বদলগাছী উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী ইন্তেখাফ আলম (অ.দা.) দাম্ভিকতার সুরে এই প্রতিবেদক কে বলেন, মথুরাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান টিপু চৌধুরী বলেছিলেন তাই। তার কথা মতোই কি আপনাদের অপারেটর নিয়োগ বা গভীর নলকূপের সংযোগের কাগজ দেয়া হচ্ছে বলে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আপনি আমাকে চার্জ করতে পারেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখবো।