বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন, মেডিকেল অফিসার, একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার একজন অফিস সহায়ক, একজন মিডওয়াইফেরি নার্স ও একজন ফার্মাসিস্ট থাকার কথা থাকলেও সেখানে শুধুমাত্র একজন অফিস সহায়ক দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পদায়ন থাকলেও সেখানে যান না চিকিৎসকরা। সহকারী মেডিকেল অফিসারের পদায়ন থাকলেও নানা অজুহাতে সেখানে যান না অনেকে। সেখানেই সেবা দিচ্ছেন অফিস সহায়ক একজনে তবে চাহিদা অনুযায়ী সেবা পাচ্ছেন না সেবাপ্রত্যাশীরা। নিয়োগ নেই বেশিরভাগ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই। যেখানে আছে সেখানেও যান না চিকিৎসকরা। কাগজে-কলমে বছরের পর বছর পদায়ন থাকলেও, তাদেরকে চেনেন না ওই এলাকার মানুষ। এভাবেই দিনে পর দিন চলছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। যার কারণে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলো। এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন একশ থেকে দেড়শ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। কিন্তু ডাক্তার না থাকার কারণে সেবা নিতে তাদের ছুটতে হয় গ্রাম থেকে উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার পদায়ন থাকলেও সেখানে যান না চিকিৎসক। সহকারী মেডিকেল অফিসারের পদায়ন থাকলেও নানা অজুহাতে সেখানে যান না অনেকে।
সম্প্রতি সরেজমিনে বাইশারী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একজন অফিস সহায়ক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। সেখানে দেখা মেলেনি সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারেরও। ঠান্ডা জ্বরের ওষুধ দিচ্ছেন অফিস সহায়ক হাবিবুর রহমান অনেক রোগীকে দেখা গেছে চিকিৎসা না নিয়েই ফেরত যেতে। বুধবার ২২ জানুয়ারি সরেজমিনে গিয়ে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখা যায়, সেখানেও কোনো মেডিকেল অফিসার নেই। এক মাস পূর্বে অস্থায়ীভাবে আরিফা বেগম নামে একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নামমাত্র দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। সেবা নিতে আসা হাজেরা খাতুন নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, আমরা এর আগে এখানে একজন বড় ডাক্তার দেখেছি। তিনি মাঝে মাঝে এসে আমাদেরকে চিকিৎসা সেবা দিতেন। অনেক অনেক দিন হয়ে গেল তিনি চলে গেছেন। এরপর আর কাউকেই তো এখানে দেখি না। খালেদা আক্তার নামে এক রোগী বলেন, এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলে শুধু জ্বর আর ঠাণ্ডার ওষুধ পাই আমরা। এত বড় একটা হাসপাতাল করছে সরকার। শুনেছি নাকি এখানে বড় ডাক্তারের নিয়োগও আছে। কিন্তু তাকে তো কখনোই পাই না। আমরা চাই, এখানে একজন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হোক। যিনি নিয়মিত আমাদের সেবা দেবেন।
এই ব্যাপারে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল মঞ্জুরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বান্দরবান জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, আমি সবেমাত্র এখানে যোগদান করেছি। তারপরও বাইশারী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি দেখেছি আমি। সেখানে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। বিষয়টি জেলা পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে উপস্থাপন করে খুব শীঘ্রই সেখানে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। আশাকরি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হলে এই সমস্যার সমাধান হবে। বান্দরবান সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার দেবনাথ বলেন, সারাদেশেই বর্তমানে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এই সমস্যার সমাধান করতে, খুব শীঘ্রই যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন, মেডিকেল অফিসার, একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার একজন অফিস সহায়ক, একজন মিডওয়াইফেরি নার্স ও একজন ফার্মাসিস্ট থাকার কথা থাকলেও সেখানে শুধুমাত্র একজন অফিস সহায়ক দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পদায়ন থাকলেও সেখানে যান না চিকিৎসকরা। সহকারী মেডিকেল অফিসারের পদায়ন থাকলেও নানা অজুহাতে সেখানে যান না অনেকে। সেখানেই সেবা দিচ্ছেন অফিস সহায়ক একজনে তবে চাহিদা অনুযায়ী সেবা পাচ্ছেন না সেবাপ্রত্যাশীরা। নিয়োগ নেই বেশিরভাগ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই। যেখানে আছে সেখানেও যান না চিকিৎসকরা। কাগজে-কলমে বছরের পর বছর পদায়ন থাকলেও, তাদেরকে চেনেন না ওই এলাকার মানুষ। এভাবেই দিনে পর দিন চলছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। যার কারণে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলো। এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন একশ থেকে দেড়শ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। কিন্তু ডাক্তার না থাকার কারণে সেবা নিতে তাদের ছুটতে হয় গ্রাম থেকে উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার পদায়ন থাকলেও সেখানে যান না চিকিৎসক। সহকারী মেডিকেল অফিসারের পদায়ন থাকলেও নানা অজুহাতে সেখানে যান না অনেকে।
সম্প্রতি সরেজমিনে বাইশারী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একজন অফিস সহায়ক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। সেখানে দেখা মেলেনি সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারেরও। ঠান্ডা জ্বরের ওষুধ দিচ্ছেন অফিস সহায়ক হাবিবুর রহমান অনেক রোগীকে দেখা গেছে চিকিৎসা না নিয়েই ফেরত যেতে। বুধবার ২২ জানুয়ারি সরেজমিনে গিয়ে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখা যায়, সেখানেও কোনো মেডিকেল অফিসার নেই। এক মাস পূর্বে অস্থায়ীভাবে আরিফা বেগম নামে একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নামমাত্র দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। সেবা নিতে আসা হাজেরা খাতুন নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, আমরা এর আগে এখানে একজন বড় ডাক্তার দেখেছি। তিনি মাঝে মাঝে এসে আমাদেরকে চিকিৎসা সেবা দিতেন। অনেক অনেক দিন হয়ে গেল তিনি চলে গেছেন। এরপর আর কাউকেই তো এখানে দেখি না। খালেদা আক্তার নামে এক রোগী বলেন, এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলে শুধু জ্বর আর ঠাণ্ডার ওষুধ পাই আমরা। এত বড় একটা হাসপাতাল করছে সরকার। শুনেছি নাকি এখানে বড় ডাক্তারের নিয়োগও আছে। কিন্তু তাকে তো কখনোই পাই না। আমরা চাই, এখানে একজন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হোক। যিনি নিয়মিত আমাদের সেবা দেবেন।
এই ব্যাপারে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল মঞ্জুরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বান্দরবান জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, আমি সবেমাত্র এখানে যোগদান করেছি। তারপরও বাইশারী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি দেখেছি আমি। সেখানে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। বিষয়টি জেলা পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে উপস্থাপন করে খুব শীঘ্রই সেখানে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। আশাকরি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হলে এই সমস্যার সমাধান হবে। বান্দরবান সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার দেবনাথ বলেন, সারাদেশেই বর্তমানে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এই সমস্যার সমাধান করতে, খুব শীঘ্রই যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।