নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই দাঁতের ডাক্তার ও ডেন্টাল মেশিন। ফলে দাঁতের চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবে কাক্সিক্ষত সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। অন্যদিকে ডেন্টাল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এর পদ দীর্ঘদিন শূন্য থাকার পর গত বছরের ৭ অক্টোবরে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পেয়েছে এই হাসপাতালটি। আবার দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সার্জারি, অ্যানেস্থেসিয়া লজিস্ট, ডেন্টাল সার্জন ও মেডিকেল অফিসারসহ মোট ২৯টি পদ শূন্য রয়েছে। এতে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে ৩১ শয্যা নিয়ে হাসপাতালটি যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০২২ সালের আগস্টে হাসপাতালটির নতুন ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ করা হয়। কিন্তু তবুও এখন পর্যন্ত ডেন্টাল মেশিন বরাদ্দ পায়নি এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বছর দুয়েক আগে একজন ডেন্টাল সার্জনের পদায়ন হলেও চলতি বছরে বদলী জনিত কারণে তার পদও শূন্য হয়েছে। ফলে সরকারি হাসপাতালে কাক্সিক্ষত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বাইরের চিকিৎসকের কাছে। অন্যদিকে তীব্র জনবল সংকটের মাঝেও দীর্ঘদিন জেলা সিভিল সার্জন অফিসে ডেপুটেশনে আছেন মো. আশরাফুল ইসলাম নামের হাসপাতালের একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর।
গত সোমবার সকালে দাঁতের চিকিৎসা নিতে আসা রিপন সরদারের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি জানান, তার বামদিকের মাড়ির অংশের দাঁতের পাশে কিছু অতিরিক্ত মাংস বৃদ্ধি হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন থেকে ওই অংশে ব্যথা হয় তার। ডাক্তার দেখাতে এসে দেখেন ডাক্তার নেই। একজন সহকারী শুধু বসে আছেন দাঁতের ডাক্তারের কক্ষে। ওই সহকারী তাকে পরামর্শ দেন অন্য কোথাও গিয়ে সার্জারি করাতে, এখানে সার্জারি করার মেশিন ও ডাক্তার নেই। তিনি আরও জানান, মাঠে কাজ করে সংসার চালান। প্রতিদিনের আয়ের টাকা প্রতিদিন ব্যয় হয়ে যায়। অন্য কোথাও চিকিৎসা নিতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডেন্টাল ইউনিটের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. রুবেল হোসেন জানান, ‘তিনি এ হাসপাতালে গতবছরের ৭ অক্টোবর যোগদান করেছেন। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে কোনো ডেন্টাল মেশিন নেই। দাঁতের চিকিৎসা সার্জারিনির্ভর তাই মেশিনটি অতি জরুরি। দীর্ঘদিন ডেন্টাল মেশিন ও ডেন্টাল সার্জন না থাকায় রোগীদের পরিপূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক দৈনিক সংবাদকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাসপাতালটিতে ডেন্টাল মেশিন নেই। এতে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এখানে দাঁতের চিকিৎসা পরিপূর্ণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। একাধিক বার ডেন্টাল মেশিনের জন্য চাহিদা দিয়েও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।’
অন্যদিকে এ সম্পর্কে অবগত নন নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফীন। তিনি জানান, সেবার মান বাড়াতে অতিদ্রুত ডেন্টাল মেশিন বরাদ্দ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই দাঁতের ডাক্তার ও ডেন্টাল মেশিন। ফলে দাঁতের চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবে কাক্সিক্ষত সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। অন্যদিকে ডেন্টাল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এর পদ দীর্ঘদিন শূন্য থাকার পর গত বছরের ৭ অক্টোবরে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পেয়েছে এই হাসপাতালটি। আবার দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সার্জারি, অ্যানেস্থেসিয়া লজিস্ট, ডেন্টাল সার্জন ও মেডিকেল অফিসারসহ মোট ২৯টি পদ শূন্য রয়েছে। এতে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে ৩১ শয্যা নিয়ে হাসপাতালটি যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০২২ সালের আগস্টে হাসপাতালটির নতুন ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ করা হয়। কিন্তু তবুও এখন পর্যন্ত ডেন্টাল মেশিন বরাদ্দ পায়নি এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বছর দুয়েক আগে একজন ডেন্টাল সার্জনের পদায়ন হলেও চলতি বছরে বদলী জনিত কারণে তার পদও শূন্য হয়েছে। ফলে সরকারি হাসপাতালে কাক্সিক্ষত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বাইরের চিকিৎসকের কাছে। অন্যদিকে তীব্র জনবল সংকটের মাঝেও দীর্ঘদিন জেলা সিভিল সার্জন অফিসে ডেপুটেশনে আছেন মো. আশরাফুল ইসলাম নামের হাসপাতালের একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর।
গত সোমবার সকালে দাঁতের চিকিৎসা নিতে আসা রিপন সরদারের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি জানান, তার বামদিকের মাড়ির অংশের দাঁতের পাশে কিছু অতিরিক্ত মাংস বৃদ্ধি হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন থেকে ওই অংশে ব্যথা হয় তার। ডাক্তার দেখাতে এসে দেখেন ডাক্তার নেই। একজন সহকারী শুধু বসে আছেন দাঁতের ডাক্তারের কক্ষে। ওই সহকারী তাকে পরামর্শ দেন অন্য কোথাও গিয়ে সার্জারি করাতে, এখানে সার্জারি করার মেশিন ও ডাক্তার নেই। তিনি আরও জানান, মাঠে কাজ করে সংসার চালান। প্রতিদিনের আয়ের টাকা প্রতিদিন ব্যয় হয়ে যায়। অন্য কোথাও চিকিৎসা নিতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডেন্টাল ইউনিটের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. রুবেল হোসেন জানান, ‘তিনি এ হাসপাতালে গতবছরের ৭ অক্টোবর যোগদান করেছেন। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে কোনো ডেন্টাল মেশিন নেই। দাঁতের চিকিৎসা সার্জারিনির্ভর তাই মেশিনটি অতি জরুরি। দীর্ঘদিন ডেন্টাল মেশিন ও ডেন্টাল সার্জন না থাকায় রোগীদের পরিপূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক দৈনিক সংবাদকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাসপাতালটিতে ডেন্টাল মেশিন নেই। এতে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এখানে দাঁতের চিকিৎসা পরিপূর্ণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। একাধিক বার ডেন্টাল মেশিনের জন্য চাহিদা দিয়েও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।’
অন্যদিকে এ সম্পর্কে অবগত নন নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফীন। তিনি জানান, সেবার মান বাড়াতে অতিদ্রুত ডেন্টাল মেশিন বরাদ্দ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।