কনকনে শীত উপেক্ষা করে বগুড়ার শেরপুরে বোরো রোপণ শুরু হয়েছে। এখন ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। পুরো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ জুড়ে থাকবে কৃষকদের বোরো চাষের এই ব্যস্ততা। একদিকে ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলন করছে। অন্যদিকে সেই খেতে বোরো চাষের জন্য প্রস্তুতি চলছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর শেরপুর উপজেলায় ২০ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায় বিভিন্ন জাতের ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে বিআর-২৮ জাতের ৩০ হেক্টর, বিআর-২৯ জাতের ৩০ হেক্টর, ৮১ জাতের ২০ হেক্টর, ৮৮ জাতের ৫০ হেক্টর, ৮৯ জাতের ১১০ হেক্টর, ৯২ জাতের ৫০ হেক্টর, ১০০ জাতের ১৫০ হেক্টর, ১০২ জাতের ৫ হেক্টর, ১০৪ জাতের ৫ হেক্টর, কাটারিভোগ ৯০ হেক্টর, মিনিকেট ২৫০ হেক্টর, কাজললতা ৩০ হেক্টর, সুবললতা ৩৬০ হেক্টর এবং হাইব্রিড ১৪০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ধান রোপণ দু’সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা ধানের জমিতে হালচাষসহ রোপণ কার্যক্রম পুরোদমেই চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ করছেন, আবার কেউ জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করছেন।
খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বোরো আবাদের প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছি, খুব দ্রুতই মাঠে নেমে পড়ব। আমাদের এলাকার চাষিরা শুরুতেই ধান রোপণ করে থাকেন। বোরো চাষাবাদের উপযুক্ত সময় এখন। ঘনকুয়াশা ও প্রচ- শীতের মধ্যেও ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত কাদাপানির মধ্যে খেতে কাজ করতে হয়। সাগরপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক পরেশ চন্দ্র বলেন, আমার ১০ বিঘা জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করেছি, অল্পদিনের মধ্যেই পানি দেওয়া, হালচাষসহ রোপণের জন্য উপযুক্ত করা হবে। পৌষ মাসের শেষ থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত বোরো চাষাবাদে ব্যস্ত থাকেন কৃষকরা ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, এখন পুরোপুরি ধান রোপণ শুরু হয়েছে। যারা আগাম চাষে অভ্যস্ত তারা রোপণ শুরু করেছেন। ধানের দাম ভালো থাকায় এ বছর দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে মাঠে নেমেছে কৃষকরা।
আবহাওয়া ঠিক থাকলে কৃষকরা যে আশা নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছেন সেটি পূরণ হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানান, এবার জেলায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হযেছে। তা থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে (চাল আকারে) ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৭ মেট্রিক টন । কৃষি বিভাগ আশা করছে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে। তিনি আরো জানান, গতবছর ১ লাখ ৮৭ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন পাওয়া গিয়েছিল (চাল আকারে) ৭ লাখ ৭৪ হাজার লাখ ১২ হাজার ৮০৮ মেট্রিক টন।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
কনকনে শীত উপেক্ষা করে বগুড়ার শেরপুরে বোরো রোপণ শুরু হয়েছে। এখন ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। পুরো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ জুড়ে থাকবে কৃষকদের বোরো চাষের এই ব্যস্ততা। একদিকে ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলন করছে। অন্যদিকে সেই খেতে বোরো চাষের জন্য প্রস্তুতি চলছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর শেরপুর উপজেলায় ২০ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায় বিভিন্ন জাতের ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে বিআর-২৮ জাতের ৩০ হেক্টর, বিআর-২৯ জাতের ৩০ হেক্টর, ৮১ জাতের ২০ হেক্টর, ৮৮ জাতের ৫০ হেক্টর, ৮৯ জাতের ১১০ হেক্টর, ৯২ জাতের ৫০ হেক্টর, ১০০ জাতের ১৫০ হেক্টর, ১০২ জাতের ৫ হেক্টর, ১০৪ জাতের ৫ হেক্টর, কাটারিভোগ ৯০ হেক্টর, মিনিকেট ২৫০ হেক্টর, কাজললতা ৩০ হেক্টর, সুবললতা ৩৬০ হেক্টর এবং হাইব্রিড ১৪০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ধান রোপণ দু’সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা ধানের জমিতে হালচাষসহ রোপণ কার্যক্রম পুরোদমেই চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ করছেন, আবার কেউ জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করছেন।
খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বোরো আবাদের প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছি, খুব দ্রুতই মাঠে নেমে পড়ব। আমাদের এলাকার চাষিরা শুরুতেই ধান রোপণ করে থাকেন। বোরো চাষাবাদের উপযুক্ত সময় এখন। ঘনকুয়াশা ও প্রচ- শীতের মধ্যেও ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত কাদাপানির মধ্যে খেতে কাজ করতে হয়। সাগরপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক পরেশ চন্দ্র বলেন, আমার ১০ বিঘা জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করেছি, অল্পদিনের মধ্যেই পানি দেওয়া, হালচাষসহ রোপণের জন্য উপযুক্ত করা হবে। পৌষ মাসের শেষ থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত বোরো চাষাবাদে ব্যস্ত থাকেন কৃষকরা ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, এখন পুরোপুরি ধান রোপণ শুরু হয়েছে। যারা আগাম চাষে অভ্যস্ত তারা রোপণ শুরু করেছেন। ধানের দাম ভালো থাকায় এ বছর দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে মাঠে নেমেছে কৃষকরা।
আবহাওয়া ঠিক থাকলে কৃষকরা যে আশা নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছেন সেটি পূরণ হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানান, এবার জেলায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হযেছে। তা থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে (চাল আকারে) ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৭ মেট্রিক টন । কৃষি বিভাগ আশা করছে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে। তিনি আরো জানান, গতবছর ১ লাখ ৮৭ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন পাওয়া গিয়েছিল (চাল আকারে) ৭ লাখ ৭৪ হাজার লাখ ১২ হাজার ৮০৮ মেট্রিক টন।