চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে সদর ইউনিয়নের পশ্চিমে থানার আশেপাশে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে হাজার বছরের পুরানা ঐতিহ্যবহণকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শিবমন্দির। এ যেনো নিপুন হাতের কারুকার্য খচিত নক্সার বহিঃপ্রকাশ। দেখে এগুলো মানুষের বলে বিশ্বাস করা কঠিন। মন্দিরগুলো জরাজীর্র্ণ হয়ে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। জরুরি ভিত্তিতে এগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। তা না হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে মন্দিরঘেঁষা বসবাসরত সাধারণের।
এই ভোলাহাট থেকেই ইতিহাসের ‘পাল’ আমলের তাম্র লিপি সর্বপ্রথম উদ্ধার করা হয়েছিল। নয্য, গুপ্ত, পাল, সেন, সূর, সুলতানী, মোঘল সর্বশেষ ইংরেজ আমলের স্বাক্ষী এবং সভ্যতার ধারক-বাহক ও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আম, রেশম, মাছ আর ধানের জন্য সুখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সর্বকনিষ্ঠ উপজেলা ভোলাহাট।
সূত্রমতে, ৩৬২৩ মতান্তরে ৪৭৬৪ বর্গমাইল তথা ৪৭.৬৯ অথবা ১২৩.৫২ বর্গকিলোমিটার আয়তনে সোয়া লাখ মানুষের বসবাস এ উপজেলাটিতে। ভৌগলিক বিভাজনে এককালে প্রাচীন পুনরোবর্ধন, দিনাজপুর, মালদহ, পূর্নিয়া, রাজশাহী এবং সর্বশেষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত হয় ভোলাহাট। ১৮২৩ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভোলাহাট উপজেলাটি ভারতের মালদহ জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে ভোলাহাটের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলা অবস্থিত।
এই উপজেলার প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই মনোমুগ্ধকর। সবুজ আর সবুজে ঢেঁকে আছে পুরাটা জনপদ। উপজেলার সর্বত্রই চলাচল করলে মনে হবে প্রাচীনত্বের একটা গন্ধ যেন কোথা থেকে ভেসে আসছে। দূর থেকে দেখে মনে হবে আধুনিক ভোলাহাটের মাটিতে রুগ্ন, অথচ তারা শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে শত শত বছরের পুরনো মন্দিরগুলো। তাদের শরীর থেকে প্রাচীন ‘গড়িয়া’ ইটগুলো যেনো খসে যেতে চাইছে। থানার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা শিব মন্দিরগুলোকে স্থানীয়রা ‘চামচিকা’ মন্দির বলে থাকে। এই প্রাচীন মন্দিরগুলোর প্রতি স্থানীয় মানুষের ও কর্তৃপক্ষের অযত্ন ও অবহেলার কারণে সকলেরই মনের ভেতর হতাশা পরিলক্ষিত হয়েছে।প্রত্নতত্ত্ব সম্পদের যোগ্য প্রাচীন ইতিহাসের শক্তিশালী নিদর্শন সভ্যতার বার্তাবাহক শত শত বছরের পুরনো এই মন্দিরগুলোর কাছে গিয়ে মনে হবে, যেনো আমরা কোন গরুর গোহাল ঘরের দৃশ্য অবলোকন করছি।
এলাকাবাসীর দাবি, ভোলাহাটের যেস্থানলোতে প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ বিদ্যমান রয়েছে, তার সংরক্ষণ ও যত্ন করা। সর্বোপরি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি দেয়া।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে সদর ইউনিয়নের পশ্চিমে থানার আশেপাশে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে হাজার বছরের পুরানা ঐতিহ্যবহণকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শিবমন্দির। এ যেনো নিপুন হাতের কারুকার্য খচিত নক্সার বহিঃপ্রকাশ। দেখে এগুলো মানুষের বলে বিশ্বাস করা কঠিন। মন্দিরগুলো জরাজীর্র্ণ হয়ে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। জরুরি ভিত্তিতে এগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। তা না হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে মন্দিরঘেঁষা বসবাসরত সাধারণের।
এই ভোলাহাট থেকেই ইতিহাসের ‘পাল’ আমলের তাম্র লিপি সর্বপ্রথম উদ্ধার করা হয়েছিল। নয্য, গুপ্ত, পাল, সেন, সূর, সুলতানী, মোঘল সর্বশেষ ইংরেজ আমলের স্বাক্ষী এবং সভ্যতার ধারক-বাহক ও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আম, রেশম, মাছ আর ধানের জন্য সুখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সর্বকনিষ্ঠ উপজেলা ভোলাহাট।
সূত্রমতে, ৩৬২৩ মতান্তরে ৪৭৬৪ বর্গমাইল তথা ৪৭.৬৯ অথবা ১২৩.৫২ বর্গকিলোমিটার আয়তনে সোয়া লাখ মানুষের বসবাস এ উপজেলাটিতে। ভৌগলিক বিভাজনে এককালে প্রাচীন পুনরোবর্ধন, দিনাজপুর, মালদহ, পূর্নিয়া, রাজশাহী এবং সর্বশেষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত হয় ভোলাহাট। ১৮২৩ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভোলাহাট উপজেলাটি ভারতের মালদহ জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে ভোলাহাটের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলা অবস্থিত।
এই উপজেলার প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই মনোমুগ্ধকর। সবুজ আর সবুজে ঢেঁকে আছে পুরাটা জনপদ। উপজেলার সর্বত্রই চলাচল করলে মনে হবে প্রাচীনত্বের একটা গন্ধ যেন কোথা থেকে ভেসে আসছে। দূর থেকে দেখে মনে হবে আধুনিক ভোলাহাটের মাটিতে রুগ্ন, অথচ তারা শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে শত শত বছরের পুরনো মন্দিরগুলো। তাদের শরীর থেকে প্রাচীন ‘গড়িয়া’ ইটগুলো যেনো খসে যেতে চাইছে। থানার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা শিব মন্দিরগুলোকে স্থানীয়রা ‘চামচিকা’ মন্দির বলে থাকে। এই প্রাচীন মন্দিরগুলোর প্রতি স্থানীয় মানুষের ও কর্তৃপক্ষের অযত্ন ও অবহেলার কারণে সকলেরই মনের ভেতর হতাশা পরিলক্ষিত হয়েছে।প্রত্নতত্ত্ব সম্পদের যোগ্য প্রাচীন ইতিহাসের শক্তিশালী নিদর্শন সভ্যতার বার্তাবাহক শত শত বছরের পুরনো এই মন্দিরগুলোর কাছে গিয়ে মনে হবে, যেনো আমরা কোন গরুর গোহাল ঘরের দৃশ্য অবলোকন করছি।
এলাকাবাসীর দাবি, ভোলাহাটের যেস্থানলোতে প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ বিদ্যমান রয়েছে, তার সংরক্ষণ ও যত্ন করা। সর্বোপরি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি দেয়া।