জনসাধারণের মরণফাঁদ
বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকনবাড়ির লোহার সেতু এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। যে কোনো সময় সেতু ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছে এলাকাবাসী। অ্যাম্বুলেন্সে কোনো অসুস্থ রোগী কিংবা জরুরি প্রয়োজনে পণ্যবাহী কোনো যান চলাচল করতে পারছে না ওই সেতু দিয়ে। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে এলাকার হাজার মানুষ। জানা গেছে, উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর বাজারসংলগ্ন লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকনবাড়ি লোহার সেতুটি ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ১০ বছর পরে ২০১৮ সালে ১৬ মে বেলা ১১টায় এ সেতুর মধ্যভাগের লোহার অ্যাঙ্গেল ও সিমেন্টের স্লাব ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। এরপর খেয়ার নৌকা দিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের চলতে হয়েছে দুই সপ্তাহ। পরে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সেতুর মধ্যভাগে ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দিয়ে মেরামত করা হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত পুনর্র্নির্মাণ কিংবা সংস্কার করা হয়নি। সেতুর মধ্যভাগের লোহার কাঠামোর মেইন পোস্ট হেলে গিয়ে টপ স্লাব দেবে গেছে।
নড়বড়ে এ সেতু দিয়ে পারাপার নিয়ে দুই উপজেলার মানুষ হুমকিতে রয়েছে। সেতুসংলগ্ন বাসিন্দা সুবিদখালী সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হামিদ সিকদার বলেন, ‘সেতুর মধ্যভাগ ভেঙে পড়ার পরে পুনঃসস্কার করা হয়নি। কাঠের পাটাতন দিয়ে মানুষ ও হালকা রিকশা, অটোরিকশা যেতে পারে। ভারি কোনো যান চলাচল করতে পারে না। এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবে জরুরি সেতুটি পুনঃসংস্কার করা দরকার।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, হালকা পণ্যবাহী কোনো যানবাহন চলাচল করলে দোলনার মতো দুলতে থাকে। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় কাজে সদর ইউনিয়ন পরিষদে আসে। বেতাগী পৌরসভা, পার্শ্ববর্তী উপজেলা মির্জাগঞ্জের শ্রীনগর, চৈতা এবং মহিষকাটা এলাকায় যাতায়াত করে। ২০১৮ সালের ১৬ মে ভেঙে পড়ার আগে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন সপ্রতিনিধি, বেতাগী (বরগুনা)
বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকনবাড়ির লোহার সেতু এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। যে কোনো সময় সেতু ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছে এলাকাবাসী। অ্যাম্বুলেন্সে কোনো অসুস্থ রোগী কিংবা জরুরি প্রয়োজনে পণ্যবাহী কোনো যান চলাচল করতে পারছে না ওই সেতু দিয়ে। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে এলাকার হাজার মানুষ। জানা গেছে, উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর বাজারসংলগ্ন লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকনবাড়ি লোহার সেতুটি ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ১০ বছর পরে ২০১৮ সালে ১৬ মে বেলা ১১টায় এ সেতুর মধ্যভাগের লোহার অ্যাঙ্গেল ও সিমেন্টের স্লাব ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। এরপর খেয়ার নৌকা দিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের চলতে হয়েছে দুই সপ্তাহ। পরে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সেতুর মধ্যভাগে ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দিয়ে মেরামত করা হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত পুনর্র্নির্মাণ কিংবা সংস্কার করা হয়নি। সেতুর মধ্যভাগের লোহার কাঠামোর মেইন পোস্ট হেলে গিয়ে টপ স্লাব দেবে গেছে।
নড়বড়ে এ সেতু দিয়ে পারাপার নিয়ে দুই উপজেলার মানুষ হুমকিতে রয়েছে। সেতুসংলগ্ন বাসিন্দা সুবিদখালী সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হামিদ সিকদার বলেন, ‘সেতুর মধ্যভাগ ভেঙে পড়ার পরে পুনঃসস্কার করা হয়নি। কাঠের পাটাতন দিয়ে মানুষ ও হালকা রিকশা, অটোরিকশা যেতে পারে। ভারি কোনো যান চলাচল করতে পারে না। এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবে জরুরি সেতুটি পুনঃসংস্কার করা দরকার।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, হালকা পণ্যবাহী কোনো যানবাহন চলাচল করলে দোলনার মতো দুলতে থাকে। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় কাজে সদর ইউনিয়ন পরিষদে আসে। বেতাগী পৌরসভা, পার্শ্ববর্তী উপজেলা মির্জাগঞ্জের শ্রীনগর, চৈতা এবং মহিষকাটা এলাকায় যাতায়াত করে। ২০১৮ সালের ১৬ মে ভেঙে পড়ার আগে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন সহগ্রাধিক মোটরবাইক, মাহিন্দ্রা, প্রাইভেট কার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, ট্রাক ও পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করতো। এতে দিন দিন সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একপর্যায় সেতুটির মধ্যভাগ অংশ ভেঙে পড়ে নদীতে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌফিক আজিজ বলেন, এই সেতু পুনর্র্নির্মাণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এরই মধ্যে নকশা প্রনয়ণ করে পাঠানো হয়েছে। সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হলেই প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করা হবে।হগ্রাধিক মোটরবাইক, মাহিন্দ্রা, প্রাইভেট কার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, ট্রাক ও পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করতো। এতে দিন দিন সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একপর্যায় সেতুটির মধ্যভাগ অংশ ভেঙে পড়ে নদীতে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌফিক আজিজ বলেন, এই সেতু পুনর্র্নির্মাণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এরই মধ্যে নকশা প্রনয়ণ করে পাঠানো হয়েছে। সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হলেই প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করা হবে।
জনসাধারণের মরণফাঁদ
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকনবাড়ির লোহার সেতু এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। যে কোনো সময় সেতু ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছে এলাকাবাসী। অ্যাম্বুলেন্সে কোনো অসুস্থ রোগী কিংবা জরুরি প্রয়োজনে পণ্যবাহী কোনো যান চলাচল করতে পারছে না ওই সেতু দিয়ে। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে এলাকার হাজার মানুষ। জানা গেছে, উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর বাজারসংলগ্ন লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকনবাড়ি লোহার সেতুটি ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ১০ বছর পরে ২০১৮ সালে ১৬ মে বেলা ১১টায় এ সেতুর মধ্যভাগের লোহার অ্যাঙ্গেল ও সিমেন্টের স্লাব ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। এরপর খেয়ার নৌকা দিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের চলতে হয়েছে দুই সপ্তাহ। পরে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সেতুর মধ্যভাগে ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দিয়ে মেরামত করা হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত পুনর্র্নির্মাণ কিংবা সংস্কার করা হয়নি। সেতুর মধ্যভাগের লোহার কাঠামোর মেইন পোস্ট হেলে গিয়ে টপ স্লাব দেবে গেছে।
নড়বড়ে এ সেতু দিয়ে পারাপার নিয়ে দুই উপজেলার মানুষ হুমকিতে রয়েছে। সেতুসংলগ্ন বাসিন্দা সুবিদখালী সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হামিদ সিকদার বলেন, ‘সেতুর মধ্যভাগ ভেঙে পড়ার পরে পুনঃসস্কার করা হয়নি। কাঠের পাটাতন দিয়ে মানুষ ও হালকা রিকশা, অটোরিকশা যেতে পারে। ভারি কোনো যান চলাচল করতে পারে না। এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবে জরুরি সেতুটি পুনঃসংস্কার করা দরকার।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, হালকা পণ্যবাহী কোনো যানবাহন চলাচল করলে দোলনার মতো দুলতে থাকে। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় কাজে সদর ইউনিয়ন পরিষদে আসে। বেতাগী পৌরসভা, পার্শ্ববর্তী উপজেলা মির্জাগঞ্জের শ্রীনগর, চৈতা এবং মহিষকাটা এলাকায় যাতায়াত করে। ২০১৮ সালের ১৬ মে ভেঙে পড়ার আগে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন সপ্রতিনিধি, বেতাগী (বরগুনা)
বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকনবাড়ির লোহার সেতু এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। যে কোনো সময় সেতু ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছে এলাকাবাসী। অ্যাম্বুলেন্সে কোনো অসুস্থ রোগী কিংবা জরুরি প্রয়োজনে পণ্যবাহী কোনো যান চলাচল করতে পারছে না ওই সেতু দিয়ে। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে এলাকার হাজার মানুষ। জানা গেছে, উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর বাজারসংলগ্ন লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকনবাড়ি লোহার সেতুটি ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ১০ বছর পরে ২০১৮ সালে ১৬ মে বেলা ১১টায় এ সেতুর মধ্যভাগের লোহার অ্যাঙ্গেল ও সিমেন্টের স্লাব ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। এরপর খেয়ার নৌকা দিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের চলতে হয়েছে দুই সপ্তাহ। পরে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সেতুর মধ্যভাগে ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দিয়ে মেরামত করা হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত পুনর্র্নির্মাণ কিংবা সংস্কার করা হয়নি। সেতুর মধ্যভাগের লোহার কাঠামোর মেইন পোস্ট হেলে গিয়ে টপ স্লাব দেবে গেছে।
নড়বড়ে এ সেতু দিয়ে পারাপার নিয়ে দুই উপজেলার মানুষ হুমকিতে রয়েছে। সেতুসংলগ্ন বাসিন্দা সুবিদখালী সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হামিদ সিকদার বলেন, ‘সেতুর মধ্যভাগ ভেঙে পড়ার পরে পুনঃসস্কার করা হয়নি। কাঠের পাটাতন দিয়ে মানুষ ও হালকা রিকশা, অটোরিকশা যেতে পারে। ভারি কোনো যান চলাচল করতে পারে না। এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবে জরুরি সেতুটি পুনঃসংস্কার করা দরকার।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, হালকা পণ্যবাহী কোনো যানবাহন চলাচল করলে দোলনার মতো দুলতে থাকে। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় কাজে সদর ইউনিয়ন পরিষদে আসে। বেতাগী পৌরসভা, পার্শ্ববর্তী উপজেলা মির্জাগঞ্জের শ্রীনগর, চৈতা এবং মহিষকাটা এলাকায় যাতায়াত করে। ২০১৮ সালের ১৬ মে ভেঙে পড়ার আগে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন সহগ্রাধিক মোটরবাইক, মাহিন্দ্রা, প্রাইভেট কার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, ট্রাক ও পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করতো। এতে দিন দিন সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একপর্যায় সেতুটির মধ্যভাগ অংশ ভেঙে পড়ে নদীতে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌফিক আজিজ বলেন, এই সেতু পুনর্র্নির্মাণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এরই মধ্যে নকশা প্রনয়ণ করে পাঠানো হয়েছে। সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হলেই প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করা হবে।হগ্রাধিক মোটরবাইক, মাহিন্দ্রা, প্রাইভেট কার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, ট্রাক ও পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করতো। এতে দিন দিন সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একপর্যায় সেতুটির মধ্যভাগ অংশ ভেঙে পড়ে নদীতে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌফিক আজিজ বলেন, এই সেতু পুনর্র্নির্মাণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এরই মধ্যে নকশা প্রনয়ণ করে পাঠানো হয়েছে। সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হলেই প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করা হবে।