শীত থেকে বাঁচার মতো ন্যূনতম গরম কাপরও নেই তার। কখনও বিত্তবানদের কেউ আবার কোনো সংঘের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও কপালে জুটেনি একটি শীতবস্ত্র।
বলছিলাম ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাহেরা বেগমের (৭৫) কথা, ছেঁড়া কাঁথা মুড়িয়ে ভাঙা ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন তার।
ছাহেরার বাবা কোরবান আলীর কোনো জায়গা জমি নেই। আগে তারা অন্যের বাড়িতেই থাকতো। মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে ছাহেরা ও তার দুই বোন মিলে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি কিনে। ছাহেরার স্বামী, সন্তান কিছুই নেই। তার জীবনটাই কাটছে কষ্টে কষ্টে।
সাড়ে ৩ শতক জমিতেই ছাহেরাসহ আপন তিন সহোদর আছিয়া (৫৫) ও জামিলা (৪৫) খাতুনদের বসবাস। তন্মধ্যে ছাহেরার সহায়-সম্বল বলতে ছেড়া ঝুপড়ি দিয়ে তৈরি একটি খুপরি ঘর।
কথা বলতে চাইলে ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধা ছাহেরা বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘শীতের ঠ্যালাই বাইচত্যাছি না, শীতে মইরা যাইতাছি, তাও কেউ একটা কম্বল দেয় না। তুমি আইচ্যাও ফটো তুইলব্যার। ফটো তুইল্যা কী অইবো।’
অসহায় এ নারী তার সংসার চালাতে মানুষের বাড়ি বাড়ি পান, পাতা বিক্রির পামা পাশি করেন ভিক্ষাবৃত্তি। জীবনযুদ্ধে অনেকটা ক্লান্ত ছাহেরা বেগম আজ ভালো একটি বাসস্থানেই সুখের ছোঁয়া খুঁজে চলেছেন। মানুষ দেখলেই বলেন ঘর নির্মাণের আবদার। সরকারি কর্মকর্তাসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘর নির্মাণের আশ্বাস পেলেও তা আদৌও বাস্তবায়ন হয়নি।
এ সময় ছাহেরা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি নিজের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমি অসুস্থ তাই কাম কাজ করতে পারি না। মানুষের কাছে পান, পাতা বেচে ও ভিক্ষা করে কোনরকম চলতেছি। এই দুনিয়ায় ভাঙা ঘরই আমার একমাত্র সম্বল। ভাঙা ঘরে শীতে কষ্ট করতেছি। বৃষ্টির দিনে ঘরে পানি পড়ে তাই আপাতত ছোট বোনের কেনা টিন দিয়ে ছাপড়া দিয়েছি। বোন বাড়ি আসলে তার টিন খুল নিবে। ভাঙা ঘরে সাপ বিচ্চু ওঠে। কষ্ট হলেও তো কিছু করার নাই। কেউ যদি একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে খাই আর না খাই অন্ততঃপক্ষে শান্তিতে ঘুমাইতে পারতাম।
সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ছাইফুল ইসলাম বলেন, ছাহেরা খাতুনের অনেক কষ্ট, আমি যতটুকু পারি সাহায্য সহযোগিতা করি। তার থাকার ঘর নেই। খুপরি ঘরে দৈন্যতার মধ্য দিয়ে তার দিন কাটছে। তার কষ্ট দেখে এর আগে আমি তাকে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সরকারি অথবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তার পাশে দাঁড়ালে হয়তবা কষ্ট কিছুটা লাগব হতো।
ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি এই উপজেলা নতুন যোগদান করেছি। এই মুহূর্তে ঘরের কোনো বরাদ্দ নেই। সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ আসলে অবশ্যই তাকে সহায়তা করা হবে।
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
শীত থেকে বাঁচার মতো ন্যূনতম গরম কাপরও নেই তার। কখনও বিত্তবানদের কেউ আবার কোনো সংঘের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও কপালে জুটেনি একটি শীতবস্ত্র।
বলছিলাম ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাহেরা বেগমের (৭৫) কথা, ছেঁড়া কাঁথা মুড়িয়ে ভাঙা ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন তার।
ছাহেরার বাবা কোরবান আলীর কোনো জায়গা জমি নেই। আগে তারা অন্যের বাড়িতেই থাকতো। মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে ছাহেরা ও তার দুই বোন মিলে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি কিনে। ছাহেরার স্বামী, সন্তান কিছুই নেই। তার জীবনটাই কাটছে কষ্টে কষ্টে।
সাড়ে ৩ শতক জমিতেই ছাহেরাসহ আপন তিন সহোদর আছিয়া (৫৫) ও জামিলা (৪৫) খাতুনদের বসবাস। তন্মধ্যে ছাহেরার সহায়-সম্বল বলতে ছেড়া ঝুপড়ি দিয়ে তৈরি একটি খুপরি ঘর।
কথা বলতে চাইলে ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধা ছাহেরা বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘শীতের ঠ্যালাই বাইচত্যাছি না, শীতে মইরা যাইতাছি, তাও কেউ একটা কম্বল দেয় না। তুমি আইচ্যাও ফটো তুইলব্যার। ফটো তুইল্যা কী অইবো।’
অসহায় এ নারী তার সংসার চালাতে মানুষের বাড়ি বাড়ি পান, পাতা বিক্রির পামা পাশি করেন ভিক্ষাবৃত্তি। জীবনযুদ্ধে অনেকটা ক্লান্ত ছাহেরা বেগম আজ ভালো একটি বাসস্থানেই সুখের ছোঁয়া খুঁজে চলেছেন। মানুষ দেখলেই বলেন ঘর নির্মাণের আবদার। সরকারি কর্মকর্তাসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘর নির্মাণের আশ্বাস পেলেও তা আদৌও বাস্তবায়ন হয়নি।
এ সময় ছাহেরা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি নিজের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমি অসুস্থ তাই কাম কাজ করতে পারি না। মানুষের কাছে পান, পাতা বেচে ও ভিক্ষা করে কোনরকম চলতেছি। এই দুনিয়ায় ভাঙা ঘরই আমার একমাত্র সম্বল। ভাঙা ঘরে শীতে কষ্ট করতেছি। বৃষ্টির দিনে ঘরে পানি পড়ে তাই আপাতত ছোট বোনের কেনা টিন দিয়ে ছাপড়া দিয়েছি। বোন বাড়ি আসলে তার টিন খুল নিবে। ভাঙা ঘরে সাপ বিচ্চু ওঠে। কষ্ট হলেও তো কিছু করার নাই। কেউ যদি একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে খাই আর না খাই অন্ততঃপক্ষে শান্তিতে ঘুমাইতে পারতাম।
সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ছাইফুল ইসলাম বলেন, ছাহেরা খাতুনের অনেক কষ্ট, আমি যতটুকু পারি সাহায্য সহযোগিতা করি। তার থাকার ঘর নেই। খুপরি ঘরে দৈন্যতার মধ্য দিয়ে তার দিন কাটছে। তার কষ্ট দেখে এর আগে আমি তাকে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সরকারি অথবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তার পাশে দাঁড়ালে হয়তবা কষ্ট কিছুটা লাগব হতো।
ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি এই উপজেলা নতুন যোগদান করেছি। এই মুহূর্তে ঘরের কোনো বরাদ্দ নেই। সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ আসলে অবশ্যই তাকে সহায়তা করা হবে।