alt

সারাদেশ

ঝুপড়ি ঘরে শীতে জবুথবু ছাহেরার জীবনযাপন

প্রতিনিধি, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) : শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) : ভাঙা ঝুপড়ি ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছাহেরা বেগম -সংবাদ

শীত থেকে বাঁচার মতো ন্যূনতম গরম কাপরও নেই তার। কখনও বিত্তবানদের কেউ আবার কোনো সংঘের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও কপালে জুটেনি একটি শীতবস্ত্র।

বলছিলাম ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাহেরা বেগমের (৭৫) কথা, ছেঁড়া কাঁথা মুড়িয়ে ভাঙা ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন তার।

ছাহেরার বাবা কোরবান আলীর কোনো জায়গা জমি নেই। আগে তারা অন্যের বাড়িতেই থাকতো। মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে ছাহেরা ও তার দুই বোন মিলে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি কিনে। ছাহেরার স্বামী, সন্তান কিছুই নেই। তার জীবনটাই কাটছে কষ্টে কষ্টে।

সাড়ে ৩ শতক জমিতেই ছাহেরাসহ আপন তিন সহোদর আছিয়া (৫৫) ও জামিলা (৪৫) খাতুনদের বসবাস। তন্মধ্যে ছাহেরার সহায়-সম্বল বলতে ছেড়া ঝুপড়ি দিয়ে তৈরি একটি খুপরি ঘর।

কথা বলতে চাইলে ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধা ছাহেরা বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘শীতের ঠ্যালাই বাইচত্যাছি না, শীতে মইরা যাইতাছি, তাও কেউ একটা কম্বল দেয় না। তুমি আইচ্যাও ফটো তুইলব্যার। ফটো তুইল্যা কী অইবো।’

অসহায় এ নারী তার সংসার চালাতে মানুষের বাড়ি বাড়ি পান, পাতা বিক্রির পামা পাশি করেন ভিক্ষাবৃত্তি। জীবনযুদ্ধে অনেকটা ক্লান্ত ছাহেরা বেগম আজ ভালো একটি বাসস্থানেই সুখের ছোঁয়া খুঁজে চলেছেন। মানুষ দেখলেই বলেন ঘর নির্মাণের আবদার। সরকারি কর্মকর্তাসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘর নির্মাণের আশ্বাস পেলেও তা আদৌও বাস্তবায়ন হয়নি।

এ সময় ছাহেরা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি নিজের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমি অসুস্থ তাই কাম কাজ করতে পারি না। মানুষের কাছে পান, পাতা বেচে ও ভিক্ষা করে কোনরকম চলতেছি। এই দুনিয়ায় ভাঙা ঘরই আমার একমাত্র সম্বল। ভাঙা ঘরে শীতে কষ্ট করতেছি। বৃষ্টির দিনে ঘরে পানি পড়ে তাই আপাতত ছোট বোনের কেনা টিন দিয়ে ছাপড়া দিয়েছি। বোন বাড়ি আসলে তার টিন খুল নিবে। ভাঙা ঘরে সাপ বিচ্চু ওঠে। কষ্ট হলেও তো কিছু করার নাই। কেউ যদি একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে খাই আর না খাই অন্ততঃপক্ষে শান্তিতে ঘুমাইতে পারতাম।

সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ছাইফুল ইসলাম বলেন, ছাহেরা খাতুনের অনেক কষ্ট, আমি যতটুকু পারি সাহায্য সহযোগিতা করি। তার থাকার ঘর নেই। খুপরি ঘরে দৈন্যতার মধ্য দিয়ে তার দিন কাটছে। তার কষ্ট দেখে এর আগে আমি তাকে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সরকারি অথবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তার পাশে দাঁড়ালে হয়তবা কষ্ট কিছুটা লাগব হতো।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি এই উপজেলা নতুন যোগদান করেছি। এই মুহূর্তে ঘরের কোনো বরাদ্দ নেই। সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ আসলে অবশ্যই তাকে সহায়তা করা হবে।

ছবি

ডুমুরিয়ায় খাল পুনঃখনন কর্মসূচির উদ্বোধন

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব

ছবি

পঞ্চগড়ে বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

ছবি

অসময়ে পদ্মা নদীর ভাঙন জমি হারিয়ে নিঃস্ব অনেকে

দুমকিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিষ্কার

পোরশায় বৃদ্ধার আম বাগান কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

ছবি

মীরসরাইয়ের বারোমাসি খাল এখন আবর্জনার ভাগাড়

বাগেরহাটে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি

গোপালগঞ্জে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা।

ছবি

সাঘাটায় কৃষিজমি অধিগ্রহণ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

রেলওয়ের যন্ত্রাংশ চুরি, গ্রেপ্তার ২

কমলগঞ্জে বাড়িতে ভাল্লুকের হামলা

কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় নারীসহ নিহত ২

সিলেটে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের দাবি

ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

বেলাবোতে এক রাতে ৬ দোকানে চুরি

নলছিটিতে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা

টাঙ্গাইলে রড মিস্ত্রিকে জবাই করে হত্যা

ছবি

বরগুনায় খেয়াঘাটের সেতুতে কাঠের পাটাতনে অর্ধযুগ

ছবি

বিশ্ব ইজতেমায় বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত

ছবি

মাদারীপুর আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয়

ছবি

কুয়াশায় মোড়ানো দিনাজপুর, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে

ছবি

জামালপুরে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৫ জন

তামাবিল স্থলবন্দরের দুদকের অভিযান, প্রতি মাসে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি

ভোলাহাটে শিব মন্দিরগুলো সংস্কার প্রয়োজন

ছবি

শেরপুরে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষক

ছবি

সরিষার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

ছবি

পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত, সেচ সুবিধা নিয়ে দুর্ভোগের আশঙ্কা কৃষকের

২ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

স্ত্রীকে হত্যায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড

অবৈধ ২ ইটভাটার চিমনিসহ কিলন গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার পর থেকে নেই ডেন্টাল মেশিন

বিষ খাইয়ে ২ শিশুকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

ক্ষেতলালে প্রতিবন্ধী শিশুর আত্মহত্যা

ছবি

রাঙ্গুনিয়ায় আগুনে পুড়ল বসতঘর

ফসলি জমি থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

tab

সারাদেশ

ঝুপড়ি ঘরে শীতে জবুথবু ছাহেরার জীবনযাপন

প্রতিনিধি, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ)

ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) : ভাঙা ঝুপড়ি ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছাহেরা বেগম -সংবাদ

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

শীত থেকে বাঁচার মতো ন্যূনতম গরম কাপরও নেই তার। কখনও বিত্তবানদের কেউ আবার কোনো সংঘের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও কপালে জুটেনি একটি শীতবস্ত্র।

বলছিলাম ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাহেরা বেগমের (৭৫) কথা, ছেঁড়া কাঁথা মুড়িয়ে ভাঙা ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন তার।

ছাহেরার বাবা কোরবান আলীর কোনো জায়গা জমি নেই। আগে তারা অন্যের বাড়িতেই থাকতো। মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে ছাহেরা ও তার দুই বোন মিলে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি কিনে। ছাহেরার স্বামী, সন্তান কিছুই নেই। তার জীবনটাই কাটছে কষ্টে কষ্টে।

সাড়ে ৩ শতক জমিতেই ছাহেরাসহ আপন তিন সহোদর আছিয়া (৫৫) ও জামিলা (৪৫) খাতুনদের বসবাস। তন্মধ্যে ছাহেরার সহায়-সম্বল বলতে ছেড়া ঝুপড়ি দিয়ে তৈরি একটি খুপরি ঘর।

কথা বলতে চাইলে ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধা ছাহেরা বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘শীতের ঠ্যালাই বাইচত্যাছি না, শীতে মইরা যাইতাছি, তাও কেউ একটা কম্বল দেয় না। তুমি আইচ্যাও ফটো তুইলব্যার। ফটো তুইল্যা কী অইবো।’

অসহায় এ নারী তার সংসার চালাতে মানুষের বাড়ি বাড়ি পান, পাতা বিক্রির পামা পাশি করেন ভিক্ষাবৃত্তি। জীবনযুদ্ধে অনেকটা ক্লান্ত ছাহেরা বেগম আজ ভালো একটি বাসস্থানেই সুখের ছোঁয়া খুঁজে চলেছেন। মানুষ দেখলেই বলেন ঘর নির্মাণের আবদার। সরকারি কর্মকর্তাসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘর নির্মাণের আশ্বাস পেলেও তা আদৌও বাস্তবায়ন হয়নি।

এ সময় ছাহেরা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি নিজের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমি অসুস্থ তাই কাম কাজ করতে পারি না। মানুষের কাছে পান, পাতা বেচে ও ভিক্ষা করে কোনরকম চলতেছি। এই দুনিয়ায় ভাঙা ঘরই আমার একমাত্র সম্বল। ভাঙা ঘরে শীতে কষ্ট করতেছি। বৃষ্টির দিনে ঘরে পানি পড়ে তাই আপাতত ছোট বোনের কেনা টিন দিয়ে ছাপড়া দিয়েছি। বোন বাড়ি আসলে তার টিন খুল নিবে। ভাঙা ঘরে সাপ বিচ্চু ওঠে। কষ্ট হলেও তো কিছু করার নাই। কেউ যদি একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে খাই আর না খাই অন্ততঃপক্ষে শান্তিতে ঘুমাইতে পারতাম।

সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ছাইফুল ইসলাম বলেন, ছাহেরা খাতুনের অনেক কষ্ট, আমি যতটুকু পারি সাহায্য সহযোগিতা করি। তার থাকার ঘর নেই। খুপরি ঘরে দৈন্যতার মধ্য দিয়ে তার দিন কাটছে। তার কষ্ট দেখে এর আগে আমি তাকে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সরকারি অথবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তার পাশে দাঁড়ালে হয়তবা কষ্ট কিছুটা লাগব হতো।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি এই উপজেলা নতুন যোগদান করেছি। এই মুহূর্তে ঘরের কোনো বরাদ্দ নেই। সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ আসলে অবশ্যই তাকে সহায়তা করা হবে।

back to top