চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ও ওচমানপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পুরনো এই বারোমাসি খাল। তবে, দখল-দূষণে ঐতিহ্যবাহী খালটি এখন পরিণত হয়েছে, ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীঘ্রই দখলদারদের উচ্ছেদ ও খননকাজ শুরু করা না হলে অচিরেই এটি মৃত খালে পরিণত হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো খাল জুড়ে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়, দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা পানি আর বিভিন্ন স্থানে সংযুক্ত আবাসিক ভবনের পানির পাইপ থেকে পড়ছে টয়লেটের নোংরা পানি। ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন আবাসিক ভবনের মালিক ও ভাড়াটিয়াসহ স্থানীয়রা তা ফেলছেন এ খালে। দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশের কারণে নানা রোগ-ব্যাধিতে ভুগছেন বাসিন্দারা।
খালের কয়েকটি স্থানে মাত্র ১০-১৫ গজ পর পর আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাাশি ভবনসংলগ্ন খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণ করেছে ভবন মালিকরা। এসব স্থাপনা নির্মাণের কারণে পানি নিষ্কাশনের গুরুত্বপূর্ণ এই খালটি আরও সংকুচিত হয়েছে। এতে পানি প্রবাহের পথ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বর্ষাকালে জলাবদ্ধতায় ধান ও সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বারোমাসি খালটি পলি ও আবর্জনার ভাগাড়ে ভরাট হওয়ায় আসন্ন বর্ষায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে কৃষক মনা, দীপক ও লিটন জানান , পুরাতন এই বারোমাসি খালটি আবর্জনা ও পলিতে ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রায় একেবারেই বন্ধ। এতে কৃষক ও সবজি চাষিদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। অচিরেই এই দখল দূষণ বন্ধ করে খাল খনন না করলে এটি মৃত খালে পরিণত হবে। এই খালটি দখল দূষণমুক্ত করতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হায়দার বলেন, ‘খাল দখল ও দূষণের কারণে প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক বোরো আবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খালটি দখল ও দূষণমুক্ত হলে অন্তত এক হাজার হেক্টর জমি বোরো ধান চাষাবাদের আওতায় আসবে।’
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রশান্ত তালুকদার বলেন, ‘বারোমাসি খালের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জায়গা না থাকলেও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বেদখলকৃত খাল পুনরুদ্ধার করে খননের ব্যবস্থা করা হবে।’
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ও ওচমানপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পুরনো এই বারোমাসি খাল। তবে, দখল-দূষণে ঐতিহ্যবাহী খালটি এখন পরিণত হয়েছে, ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীঘ্রই দখলদারদের উচ্ছেদ ও খননকাজ শুরু করা না হলে অচিরেই এটি মৃত খালে পরিণত হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো খাল জুড়ে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়, দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা পানি আর বিভিন্ন স্থানে সংযুক্ত আবাসিক ভবনের পানির পাইপ থেকে পড়ছে টয়লেটের নোংরা পানি। ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন আবাসিক ভবনের মালিক ও ভাড়াটিয়াসহ স্থানীয়রা তা ফেলছেন এ খালে। দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশের কারণে নানা রোগ-ব্যাধিতে ভুগছেন বাসিন্দারা।
খালের কয়েকটি স্থানে মাত্র ১০-১৫ গজ পর পর আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাাশি ভবনসংলগ্ন খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণ করেছে ভবন মালিকরা। এসব স্থাপনা নির্মাণের কারণে পানি নিষ্কাশনের গুরুত্বপূর্ণ এই খালটি আরও সংকুচিত হয়েছে। এতে পানি প্রবাহের পথ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বর্ষাকালে জলাবদ্ধতায় ধান ও সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বারোমাসি খালটি পলি ও আবর্জনার ভাগাড়ে ভরাট হওয়ায় আসন্ন বর্ষায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে কৃষক মনা, দীপক ও লিটন জানান , পুরাতন এই বারোমাসি খালটি আবর্জনা ও পলিতে ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রায় একেবারেই বন্ধ। এতে কৃষক ও সবজি চাষিদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। অচিরেই এই দখল দূষণ বন্ধ করে খাল খনন না করলে এটি মৃত খালে পরিণত হবে। এই খালটি দখল দূষণমুক্ত করতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হায়দার বলেন, ‘খাল দখল ও দূষণের কারণে প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক বোরো আবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খালটি দখল ও দূষণমুক্ত হলে অন্তত এক হাজার হেক্টর জমি বোরো ধান চাষাবাদের আওতায় আসবে।’
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রশান্ত তালুকদার বলেন, ‘বারোমাসি খালের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জায়গা না থাকলেও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বেদখলকৃত খাল পুনরুদ্ধার করে খননের ব্যবস্থা করা হবে।’