পঞ্চগড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কনকনে শীত ও মাঘের হিমেল হাওয়াকে উপেক্ষা করে কৃষকরা বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বেশ কিছু দিন থেকে ঘনকুয়াশা সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডা হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। তারপরও ইরি-বোরো চারা রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক-কৃষাণীরা গরম কাপড় গায়ে দিয়ে কৃষিকাজে উঠে পড়ে লেগেছেন। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা কৃষিনির্ভর। ধান, ভুট্টা, সরিষা, আলুসহ বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি চাষাবাদ করেন স্থানীয় কৃষকরা।
তবে বেশির ভাগ কৃষক প্রধান ফসল হিসেবে আমন ও ইরি-বোরো মৌসুমে ধান চাষাবাদ করেন। জেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, এ বছর জেলার ৪৩টি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকায় ২৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর কুয়াশা কিছুটা কম থাকায় বোরো চাষিরা চিন্তামুক্ত। তাই তারা এখন দল বেঁধে বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
বোদা উপজেলার সর্দারপাড়ার কৃষক ছলেমান আলী জানান, এবার আমন মৌসুমে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় ও আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রায় সব কৃষক বোরো আবাদে ঝুঁকে পড়েছে। এখন আবহাওয়া ভালো আমন মৌসুমের মতো বোরো আবাদের ভালো ফলন পাওয়া যাবে, ধানের দাম ভালো পেলে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ মিটিয়ে সংসারে সুখ স্বাচ্ছন্দে দিন কাটবে এই আশা রাখি।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, বোরো মৌসুমে চাষাবাদের জন্য বীজতলায় বীজ বপন কাজ থেকে শুরু সুস্থ সবল চারা উৎপাদন ও চাষাবাদ করে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারে সেজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবসময় মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা যথা সময়ে চারা রোপণ শুরু করেছেন। জেলায় ডিজেল ও সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
পঞ্চগড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কনকনে শীত ও মাঘের হিমেল হাওয়াকে উপেক্ষা করে কৃষকরা বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বেশ কিছু দিন থেকে ঘনকুয়াশা সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডা হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। তারপরও ইরি-বোরো চারা রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক-কৃষাণীরা গরম কাপড় গায়ে দিয়ে কৃষিকাজে উঠে পড়ে লেগেছেন। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা কৃষিনির্ভর। ধান, ভুট্টা, সরিষা, আলুসহ বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি চাষাবাদ করেন স্থানীয় কৃষকরা।
তবে বেশির ভাগ কৃষক প্রধান ফসল হিসেবে আমন ও ইরি-বোরো মৌসুমে ধান চাষাবাদ করেন। জেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, এ বছর জেলার ৪৩টি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকায় ২৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর কুয়াশা কিছুটা কম থাকায় বোরো চাষিরা চিন্তামুক্ত। তাই তারা এখন দল বেঁধে বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
বোদা উপজেলার সর্দারপাড়ার কৃষক ছলেমান আলী জানান, এবার আমন মৌসুমে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় ও আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রায় সব কৃষক বোরো আবাদে ঝুঁকে পড়েছে। এখন আবহাওয়া ভালো আমন মৌসুমের মতো বোরো আবাদের ভালো ফলন পাওয়া যাবে, ধানের দাম ভালো পেলে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ মিটিয়ে সংসারে সুখ স্বাচ্ছন্দে দিন কাটবে এই আশা রাখি।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, বোরো মৌসুমে চাষাবাদের জন্য বীজতলায় বীজ বপন কাজ থেকে শুরু সুস্থ সবল চারা উৎপাদন ও চাষাবাদ করে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারে সেজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবসময় মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা যথা সময়ে চারা রোপণ শুরু করেছেন। জেলায় ডিজেল ও সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।