লক্ষ্মীপুরে কৃষি বিপ্লবে সাড়া ফেলেছে রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপি। বাণিজ্যিকভাবে কপি আবাদ করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। সাড়া জাগানো সেই কৃষক সদর উপজেলার চরমনষা গ্রামের মো: জামাল উদ্দিন। তার দেখাদেখি অন্য কৃষকরাও এখন স্বপ্ন দেখছেন লাভজনক এ রঙ্গিণ কপি চাষে।কৃষি বিভাগ বলছেন অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রঙিন কপিতে সফলতা পাওয়া গেছে, পর্যায়ক্রমে কৃষকদের মাঝে তা ছড়িয়ে দেয়া হবে।
সজেমিন গিয়ে দেখা যায়, সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে ফুল। দূর থেকে ফুল মনে হলেও আসলে কিন্তু এসব ফুল নয়। রঙিন ফুলকপি। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনষা গ্রামের ২০ শতক জমিতে কৃষক জামাল উদ্দিনের চাষাবাদকৃত কপিগুলো এখন বাহারি রঙে এমন রঙিন। সাদা কপির পাশাপাশি রঙিন (গোলাপি, হলুদ ও লাল) ফুলকপি ও বাঁধাকপি (রেডকেবল) চাষ করে কৃষি বিপ্লবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এ কৃষক। বাড়ির পাশের কৃষি মাঠে কপি তোলার কাজে ব্যাস্ততা তার। অন্য সাধারণ কপির চাইতে এসব কপি বহুগুণ দামে বাজারজাত করা হচ্ছে। প্রতিটি কপি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান সফলতা পাওয়া এ চাষি। তিনি বলেন, ফসল রক্ষায় পোকা দমনে হলুদ ফাঁদ ও ফেরোমন ফাঁদও জৈব সার এবং বালাইনাশক ব্যবহারে সফলতা পেয়েছেন তিনি।
২০ শতক জমিতে তার খরচ পড়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা, তিনি এসব উৎপাদিত কপি স্থানীয় বিভিন্ন হাটে বিক্রি করে চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা আয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
বর্তমান বাজারে কপিগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান এ কৃষক।এদিকে কৃষক জামালের সফলতায় স্থানীয় অন্য কৃষকরাও এখন রঙিন কপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বলে জানান।রঙিন কপি দেখতে ও কিনতে তার আবাদকৃত জমিতে ভিড় করছেন ভোক্তারা। সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ বেশি হওয়ায় আগ্রহ বেশী বলে জানান তারা। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে একজন কৃষক রঙিন কপি আবাদ করেছেন। তিনি বাজারমূল্যও ভালো পাচ্ছেন। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রঙিন কপি উৎপাদনে আগ্রহীদেরকে অনুপ্রাণিত করছি আমরা। এতে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন বলে মত প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
লক্ষ্মীপুরে কৃষি বিপ্লবে সাড়া ফেলেছে রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপি। বাণিজ্যিকভাবে কপি আবাদ করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। সাড়া জাগানো সেই কৃষক সদর উপজেলার চরমনষা গ্রামের মো: জামাল উদ্দিন। তার দেখাদেখি অন্য কৃষকরাও এখন স্বপ্ন দেখছেন লাভজনক এ রঙ্গিণ কপি চাষে।কৃষি বিভাগ বলছেন অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রঙিন কপিতে সফলতা পাওয়া গেছে, পর্যায়ক্রমে কৃষকদের মাঝে তা ছড়িয়ে দেয়া হবে।
সজেমিন গিয়ে দেখা যায়, সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে ফুল। দূর থেকে ফুল মনে হলেও আসলে কিন্তু এসব ফুল নয়। রঙিন ফুলকপি। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনষা গ্রামের ২০ শতক জমিতে কৃষক জামাল উদ্দিনের চাষাবাদকৃত কপিগুলো এখন বাহারি রঙে এমন রঙিন। সাদা কপির পাশাপাশি রঙিন (গোলাপি, হলুদ ও লাল) ফুলকপি ও বাঁধাকপি (রেডকেবল) চাষ করে কৃষি বিপ্লবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এ কৃষক। বাড়ির পাশের কৃষি মাঠে কপি তোলার কাজে ব্যাস্ততা তার। অন্য সাধারণ কপির চাইতে এসব কপি বহুগুণ দামে বাজারজাত করা হচ্ছে। প্রতিটি কপি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান সফলতা পাওয়া এ চাষি। তিনি বলেন, ফসল রক্ষায় পোকা দমনে হলুদ ফাঁদ ও ফেরোমন ফাঁদও জৈব সার এবং বালাইনাশক ব্যবহারে সফলতা পেয়েছেন তিনি।
২০ শতক জমিতে তার খরচ পড়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা, তিনি এসব উৎপাদিত কপি স্থানীয় বিভিন্ন হাটে বিক্রি করে চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা আয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
বর্তমান বাজারে কপিগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান এ কৃষক।এদিকে কৃষক জামালের সফলতায় স্থানীয় অন্য কৃষকরাও এখন রঙিন কপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বলে জানান।রঙিন কপি দেখতে ও কিনতে তার আবাদকৃত জমিতে ভিড় করছেন ভোক্তারা। সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ বেশি হওয়ায় আগ্রহ বেশী বলে জানান তারা। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে একজন কৃষক রঙিন কপি আবাদ করেছেন। তিনি বাজারমূল্যও ভালো পাচ্ছেন। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রঙিন কপি উৎপাদনে আগ্রহীদেরকে অনুপ্রাণিত করছি আমরা। এতে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন বলে মত প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।