বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় আলু খেতে লেট ব্লাইট রোগ নিয়ে আলু চাষিরা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। মৌশুমের শুরুতেই বীজ ও সার নিয়ে বড় ধাক্কা খেয়ে বেশি দামে তা ক্রয় করে আলু চাষ করেন চাষীরা।
শেরপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৭শ ৬৫ হেক্টর। গতবছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। শেষ মুহূর্তে এসে আলু গাছে লেট ব্লাইট রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে ওই রোগের কারণে আলুর তরতাজা সবুজ গাছ পাতা কালো ফোসকা ও পচে গিয়ে মরে যাচ্ছে। এ রোগ দিন দিন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে না বলে ধারণা করছেন আলু চাষিরা। অন্যদিকে দাম নিয়েও চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আলু চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা লেট ব্লাইট বা পাতা মোড়ানো রোগাক্রান্ত আলু ক্ষেতে, সানোক্রনিল, এ্যামেষ্টার, কার্বডাইজিং স্প্রে করেছেন। সাত দিন পর স্প্রে করেছেন রিভাস নামের কীটনাশক। ১ বিঘা আলুর জমিতে ওষুধ ও শ্রমিক দিয়ে অতিরিক্ত প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা করে খরচ বেশি হচ্ছে। তবুও যদি রোগ বালাই থেকে রক্ষা করা যায় তাহলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হতে পারে। শেষ মুহূর্তে শৈত্যপ্রবাহের কারণে আলু খেতে লেট ব্লাইট ও পচনরোগ দেখা দিয়েছে। যার ফলে কৃষক আলুখেত রক্ষা করা নিয়ে কীটনাশক স্প্রে করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
কুসুম্বি ইউনিয়নের পোষি গ্রামের হেলাল উদ্দিন জানান, এ বছর ১০ বিঘা জমি চাষ করেছি। খুরতা গ্রামের মজনু, কেল্লা গ্রামের ওমর আলী, পানিশারা গ্রামের মকবুল হোসেনসহ একাধিক কৃষক জানান, তারা প্রত্যেকে প্রতিবছর ৫ থেকে ৮০ বিঘা করে জমিতে আলু লাগিয়ে থাকেন। এবার আলু বীজ সংকট থাকায় বেশি দামে ক্রয় করেছে। তারপর ভেজাল বীজের কারণে ফলন কম হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে বাজারে আলুর দাম কমে যাওয়ার কারণে আলু চাষীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
শেরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জিএম মাসুদ জানান, এ ব্যাপারে কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ বিভিন্ন পরামর্শ লিখে লিফলেট আকারে তা ছাপিয়ে মাঠ পর্যায়ে বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। সেই সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে যোগাযোগও অব্যাহত রেখেছেন। কৃষি সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার জন্য কৃষকদের কৃষি বিভাগের কাছ থেকে পরামর্শ নিতেও অনুরোধ করা হয়েছে। শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা আক্তার বলেন, কৃষকরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হন সে জন্য সবসময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এখনও আলু তোলা শুরু হয়নি। ফলনের বিষয় এখননি কিছু বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে আলুর বাজার কম হলেও আলু তোলা শুরু হলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখানকার আলু যাবে সে ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় আলু খেতে লেট ব্লাইট রোগ নিয়ে আলু চাষিরা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। মৌশুমের শুরুতেই বীজ ও সার নিয়ে বড় ধাক্কা খেয়ে বেশি দামে তা ক্রয় করে আলু চাষ করেন চাষীরা।
শেরপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৭শ ৬৫ হেক্টর। গতবছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। শেষ মুহূর্তে এসে আলু গাছে লেট ব্লাইট রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে ওই রোগের কারণে আলুর তরতাজা সবুজ গাছ পাতা কালো ফোসকা ও পচে গিয়ে মরে যাচ্ছে। এ রোগ দিন দিন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে না বলে ধারণা করছেন আলু চাষিরা। অন্যদিকে দাম নিয়েও চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আলু চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা লেট ব্লাইট বা পাতা মোড়ানো রোগাক্রান্ত আলু ক্ষেতে, সানোক্রনিল, এ্যামেষ্টার, কার্বডাইজিং স্প্রে করেছেন। সাত দিন পর স্প্রে করেছেন রিভাস নামের কীটনাশক। ১ বিঘা আলুর জমিতে ওষুধ ও শ্রমিক দিয়ে অতিরিক্ত প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা করে খরচ বেশি হচ্ছে। তবুও যদি রোগ বালাই থেকে রক্ষা করা যায় তাহলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হতে পারে। শেষ মুহূর্তে শৈত্যপ্রবাহের কারণে আলু খেতে লেট ব্লাইট ও পচনরোগ দেখা দিয়েছে। যার ফলে কৃষক আলুখেত রক্ষা করা নিয়ে কীটনাশক স্প্রে করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
কুসুম্বি ইউনিয়নের পোষি গ্রামের হেলাল উদ্দিন জানান, এ বছর ১০ বিঘা জমি চাষ করেছি। খুরতা গ্রামের মজনু, কেল্লা গ্রামের ওমর আলী, পানিশারা গ্রামের মকবুল হোসেনসহ একাধিক কৃষক জানান, তারা প্রত্যেকে প্রতিবছর ৫ থেকে ৮০ বিঘা করে জমিতে আলু লাগিয়ে থাকেন। এবার আলু বীজ সংকট থাকায় বেশি দামে ক্রয় করেছে। তারপর ভেজাল বীজের কারণে ফলন কম হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে বাজারে আলুর দাম কমে যাওয়ার কারণে আলু চাষীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
শেরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জিএম মাসুদ জানান, এ ব্যাপারে কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ বিভিন্ন পরামর্শ লিখে লিফলেট আকারে তা ছাপিয়ে মাঠ পর্যায়ে বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। সেই সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে যোগাযোগও অব্যাহত রেখেছেন। কৃষি সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার জন্য কৃষকদের কৃষি বিভাগের কাছ থেকে পরামর্শ নিতেও অনুরোধ করা হয়েছে। শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা আক্তার বলেন, কৃষকরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হন সে জন্য সবসময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এখনও আলু তোলা শুরু হয়নি। ফলনের বিষয় এখননি কিছু বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে আলুর বাজার কম হলেও আলু তোলা শুরু হলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখানকার আলু যাবে সে ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বাড়তে পারে।