চলতি আমন মৌসুমে কেশবপুর খাদ্য গুদামে গত তিন মাসে মাত্র ২২ মেট্রিক টন ধান ও ১৩৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজার দর বেশি হওয়ায় খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহে আগ্রহ দেখায়নি কৃষক ও চাতাল মালিকরা। এখনও সংগ্রহ অভিযানের এক মাস বাকি থাকলেও ধান-চালের দর না কমলে শেষ পর্যন্ত খাদ্য সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, আমন মৌসুমে কেশবপুর খাদ্য গুদামে গেল বছরের ১৭ নভেম্বর ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। প্রতিকেজি ধান ৩২ টাকা ও চাল ৪৭ টাকা বাজার দর নির্ধারণ করা হয়। সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ধান- ৬৫২ মেট্রিক টন ও চাল ৩৬৪ মেট্রিক টন। এ অভিযান শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় তিন মাসে মাত্র ২২ মেট্রিক টন ধান ও ১৩৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। আমন সংগ্রহ অভিযানের আর মাত্র এক মাস বাকি থাকলেও কৃষক ও মিলাররা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান ও চাল সরবরাহে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া, বন্যার কারণে অমন উৎপাদন ব্যাহত হয়। কৃষকের খাওয়ার ধান মজুদ রেখে অবশিষ্ট না থাকায় ভেস্তে যায় সংগ্রহ অভিযান।
মজিদপুর বাজারের ধান, পাট ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান ও চাল ব্যবসায়ী বিষ্ণুপদ দাস জানান, বর্তমান বাজারে প্রতিমণ ধান মোটা ১৪০০ টাকা ও চিকন ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ও মোটা চাল প্রতিকেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি গুদামে ধান, চাল বিক্রি করতে হলে প্রতিকেজিতে লোকসান গুনতে হবে ৫ থেকে ৮ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা। মিলাররা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে চুক্তিবদ্ধ হলেও বিগত ৫-৬ বছর ধরে লোকসান দিয়ে আসছেন। এবছরও লোকসান জেনেও কিছু কিছু মিলার আগামীদিনের আশায় গুদামে চাল সরবরাহ করেছেন।
সচেতন চাল ব্যবসায়ীরা মনে করেন, সরকারি ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করা হলে স্থানীয় বাজারেও চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাবে। অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকারি গুদামে ধান-চাল সংগ্রহ না হলেও বাজারে দাম অস্বাভাবিক বাড়ার সম্ভবনা নেই। এ অবস্থায় যেটুকু ঘাটতি থাকবে তা সরকার আমদানি করতে পারবে।
কেশবপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, কৃষকের অ্যাপসে যারা আবেদন করেছেন, তারা সবাই খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে পারবেন। আবেদনকৃত প্রতিজন কৃষক ৩ মেট্রিকটন করে ধান বিক্রি করবেন। কৃষকের অ্যাপস ছাড়া ধান কেনার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া, কেশবপুরে ৩৪ টি হাসকিং মিল মালিকের মধ্যে ২৬ জন চালের বরাদ্দ পেয়েছেন। এখনও এক মাস সময় থাকলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চলতি আমন মৌসুমে কেশবপুর খাদ্য গুদামে গত তিন মাসে মাত্র ২২ মেট্রিক টন ধান ও ১৩৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজার দর বেশি হওয়ায় খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহে আগ্রহ দেখায়নি কৃষক ও চাতাল মালিকরা। এখনও সংগ্রহ অভিযানের এক মাস বাকি থাকলেও ধান-চালের দর না কমলে শেষ পর্যন্ত খাদ্য সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, আমন মৌসুমে কেশবপুর খাদ্য গুদামে গেল বছরের ১৭ নভেম্বর ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। প্রতিকেজি ধান ৩২ টাকা ও চাল ৪৭ টাকা বাজার দর নির্ধারণ করা হয়। সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ধান- ৬৫২ মেট্রিক টন ও চাল ৩৬৪ মেট্রিক টন। এ অভিযান শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় তিন মাসে মাত্র ২২ মেট্রিক টন ধান ও ১৩৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। আমন সংগ্রহ অভিযানের আর মাত্র এক মাস বাকি থাকলেও কৃষক ও মিলাররা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান ও চাল সরবরাহে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া, বন্যার কারণে অমন উৎপাদন ব্যাহত হয়। কৃষকের খাওয়ার ধান মজুদ রেখে অবশিষ্ট না থাকায় ভেস্তে যায় সংগ্রহ অভিযান।
মজিদপুর বাজারের ধান, পাট ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান ও চাল ব্যবসায়ী বিষ্ণুপদ দাস জানান, বর্তমান বাজারে প্রতিমণ ধান মোটা ১৪০০ টাকা ও চিকন ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ও মোটা চাল প্রতিকেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি গুদামে ধান, চাল বিক্রি করতে হলে প্রতিকেজিতে লোকসান গুনতে হবে ৫ থেকে ৮ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা। মিলাররা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে চুক্তিবদ্ধ হলেও বিগত ৫-৬ বছর ধরে লোকসান দিয়ে আসছেন। এবছরও লোকসান জেনেও কিছু কিছু মিলার আগামীদিনের আশায় গুদামে চাল সরবরাহ করেছেন।
সচেতন চাল ব্যবসায়ীরা মনে করেন, সরকারি ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করা হলে স্থানীয় বাজারেও চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাবে। অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকারি গুদামে ধান-চাল সংগ্রহ না হলেও বাজারে দাম অস্বাভাবিক বাড়ার সম্ভবনা নেই। এ অবস্থায় যেটুকু ঘাটতি থাকবে তা সরকার আমদানি করতে পারবে।
কেশবপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, কৃষকের অ্যাপসে যারা আবেদন করেছেন, তারা সবাই খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে পারবেন। আবেদনকৃত প্রতিজন কৃষক ৩ মেট্রিকটন করে ধান বিক্রি করবেন। কৃষকের অ্যাপস ছাড়া ধান কেনার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া, কেশবপুরে ৩৪ টি হাসকিং মিল মালিকের মধ্যে ২৬ জন চালের বরাদ্দ পেয়েছেন। এখনও এক মাস সময় থাকলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।