রবিবার আখেরী মোনাজাত চলাকালে ৯ টা ২৯ মিনিটে হঠাৎ মুসল্লিরা আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে। ড্রোন মাটিতে পড়ে সৃষ্ট বিকট শব্দ থেকে এই ঘটনা বলে জানা গেছে। এতে শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জন টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজ রবিবার(২ ফেব্রুয়ারী) আখেরী মোনাজাত চলাকালে সকাল ৯ টা ২৯ মিনিটে টঙ্গী স্টেশন রোডে ফ্লাইওভারের পূর্ব পাশে টঙ্গী- কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জের বাহাদুর সাদী ইউনিয়নের জুগলি গ্রামের লোকমান মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন জানান, আমার সামনে হঠাৎ তিনটি ড্রোন পড়ে গিয়ে বাঁশের সাথে লেগ শব্দ হয়। এতে আতঙ্ক দেখা দিলে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত সহকারী উপপরিদর্শক ( এএসআই) বেলায়েত হোসেন সংবাদকে বলেন, ড্রোন পড়ার আতঙ্কে অনেক মুসল্লি দৌড়ে হাসপাতালে আসেন।
আহতদের মধ্যে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ৪০ জন হলেন, আবুল কালাম (৫৫), আলামিন (৩২), আজাদ (৩০), ওবায়দুল্লাহ (৩২), রাতুল (১৮), আব্দুল করিম (২৮) সাইফুল ইসলাম (৩৮), জাফর উদ্দিন (৩১) জয়নাল (২৪), মকবুল হোসেন (৬৪) সোহাগ (৬০), মোশারফ (৩০), কোরবান আলী (২৫), সাইফুল ইসলাম (৩৫), সালামত (১৮), মুস্তাকিন (৩৩), কবির হোসেন (৩০), মুবিন (১৮), আয়নাল হক (২২), মামুন হোসেন (২১), মো. বাসেদ (১৩), খোকন (৪৩), জুয়েল (২৫), কবির হোসেন (৪৬), নাজিম উদ্দিন (৪১), জবরুল (৩১), জয়নাল (৫৪), কাওছারুল আলম (২৮), রায়হান (২৭), জহরুল (২৮), আলি নেওয়াজ (৩৮), আফতাব উদ্দিন (৪৭) মো. আমান (২৮), আনোয়ার (৪৫), সোহেল (৩৫), ফজল হক (৪৫) ও মুজাফফর আলী (৪৪) সহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি। এরমধ্যে ৪০ জন টঙ্গীর শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, শতাধিক মুসল্লি আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা ইজতেমার মোনাজাত চলাকালে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
ফরিদুল ইসলাম সংবাদকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ব্যাটারী শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি ড্রোন পড়ে যাওয়ার শব্দ থেকে আতঙ্কের সৃষ্টি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জিএমপির অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন সংবাদকে বলেন, কামার পাড়া সড়কে ব্যাটারী শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি সক্রিয় ড্রোন মাটিতে পড়ে যায়। গ্রামের সহজ সরল মানুষ এটা দেখে আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। এসময় কয়েকজন আহত হয়।
শুরায়ী নেজামের অধীনে আজ সকাল ৯ টা ১১ মিনিট থেকে ৯ টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ২৪ মিনিটের
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব-ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে। ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসর।
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রবিবার আখেরী মোনাজাত চলাকালে ৯ টা ২৯ মিনিটে হঠাৎ মুসল্লিরা আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে। ড্রোন মাটিতে পড়ে সৃষ্ট বিকট শব্দ থেকে এই ঘটনা বলে জানা গেছে। এতে শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জন টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজ রবিবার(২ ফেব্রুয়ারী) আখেরী মোনাজাত চলাকালে সকাল ৯ টা ২৯ মিনিটে টঙ্গী স্টেশন রোডে ফ্লাইওভারের পূর্ব পাশে টঙ্গী- কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জের বাহাদুর সাদী ইউনিয়নের জুগলি গ্রামের লোকমান মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন জানান, আমার সামনে হঠাৎ তিনটি ড্রোন পড়ে গিয়ে বাঁশের সাথে লেগ শব্দ হয়। এতে আতঙ্ক দেখা দিলে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত সহকারী উপপরিদর্শক ( এএসআই) বেলায়েত হোসেন সংবাদকে বলেন, ড্রোন পড়ার আতঙ্কে অনেক মুসল্লি দৌড়ে হাসপাতালে আসেন।
আহতদের মধ্যে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ৪০ জন হলেন, আবুল কালাম (৫৫), আলামিন (৩২), আজাদ (৩০), ওবায়দুল্লাহ (৩২), রাতুল (১৮), আব্দুল করিম (২৮) সাইফুল ইসলাম (৩৮), জাফর উদ্দিন (৩১) জয়নাল (২৪), মকবুল হোসেন (৬৪) সোহাগ (৬০), মোশারফ (৩০), কোরবান আলী (২৫), সাইফুল ইসলাম (৩৫), সালামত (১৮), মুস্তাকিন (৩৩), কবির হোসেন (৩০), মুবিন (১৮), আয়নাল হক (২২), মামুন হোসেন (২১), মো. বাসেদ (১৩), খোকন (৪৩), জুয়েল (২৫), কবির হোসেন (৪৬), নাজিম উদ্দিন (৪১), জবরুল (৩১), জয়নাল (৫৪), কাওছারুল আলম (২৮), রায়হান (২৭), জহরুল (২৮), আলি নেওয়াজ (৩৮), আফতাব উদ্দিন (৪৭) মো. আমান (২৮), আনোয়ার (৪৫), সোহেল (৩৫), ফজল হক (৪৫) ও মুজাফফর আলী (৪৪) সহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি। এরমধ্যে ৪০ জন টঙ্গীর শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, শতাধিক মুসল্লি আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা ইজতেমার মোনাজাত চলাকালে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
ফরিদুল ইসলাম সংবাদকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ব্যাটারী শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি ড্রোন পড়ে যাওয়ার শব্দ থেকে আতঙ্কের সৃষ্টি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জিএমপির অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন সংবাদকে বলেন, কামার পাড়া সড়কে ব্যাটারী শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি সক্রিয় ড্রোন মাটিতে পড়ে যায়। গ্রামের সহজ সরল মানুষ এটা দেখে আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। এসময় কয়েকজন আহত হয়।
শুরায়ী নেজামের অধীনে আজ সকাল ৯ টা ১১ মিনিট থেকে ৯ টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ২৪ মিনিটের
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব-ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে। ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসর।