সোনাইমুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর ঐতিহ্যবাহী সোনাইমুড়ী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ভবনে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। যে কোন সময় এই ভবন ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়াও শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন থেকে প্রধান, সহকারী প্রধানসহ ৪ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্মসহ পাঠদানে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। জরুরিভাবে এই সমস্যা সমাধান করা একান্তই প্রয়োজন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি শত বছর অতিবাহিত হওয়ার পরে ২০১৮ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর সরকারি ঘোষণা করা হয়। বিদ্যালয়টি সরকারি হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা ও এলাকাবাসী যেভাবে উৎফুল্ল হয়ে পড়েছে সে অনুযায়ী এলাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। দিনের পর দিন ঐতিহ্য হারাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ২১টি পদের মধ্যে বর্তমানে ৪টি পদ শূন্য রয়েছে। অফিস সহকারী ১ জন, অফিস সহায়ক ১ জন, নৈশপ্রহরী ১ জন ও ঝাড়–দার ২ জন কর্মচারীসহ ৫ জনের পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ঝুঁকি নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে একটি পরিত্যক্ত ভবনে। প্রায় তিন বছর আগে শিক্ষা প্রকৌশলী ভবনটি পরিদর্শন করে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে। তারপরও বিকল্প ভবন না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এখানেই শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য এলাকাবাসী শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও প্রতি বছর সেশন ফিসহ বিভিন্ন নামে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এই ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শফিক উল্যার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিদ্যালয়ের বিরাজমান সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে না বলে জানান।
সোনাইমুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর ঐতিহ্যবাহী সোনাইমুড়ী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ভবনে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। যে কোন সময় এই ভবন ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়াও শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন থেকে প্রধান, সহকারী প্রধানসহ ৪ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্মসহ পাঠদানে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। জরুরিভাবে এই সমস্যা সমাধান করা একান্তই প্রয়োজন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি শত বছর অতিবাহিত হওয়ার পরে ২০১৮ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর সরকারি ঘোষণা করা হয়। বিদ্যালয়টি সরকারি হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা ও এলাকাবাসী যেভাবে উৎফুল্ল হয়ে পড়েছে সে অনুযায়ী এলাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। দিনের পর দিন ঐতিহ্য হারাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ২১টি পদের মধ্যে বর্তমানে ৪টি পদ শূন্য রয়েছে। অফিস সহকারী ১ জন, অফিস সহায়ক ১ জন, নৈশপ্রহরী ১ জন ও ঝাড়–দার ২ জন কর্মচারীসহ ৫ জনের পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ঝুঁকি নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে একটি পরিত্যক্ত ভবনে। প্রায় তিন বছর আগে শিক্ষা প্রকৌশলী ভবনটি পরিদর্শন করে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে। তারপরও বিকল্প ভবন না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এখানেই শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য এলাকাবাসী শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও প্রতি বছর সেশন ফিসহ বিভিন্ন নামে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এই ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শফিক উল্যার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিদ্যালয়ের বিরাজমান সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে না বলে জানান।