রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের মুচিরহাট মার্কেট ২ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হলেও আজ পর্যন্ত তা কোন কাজে আসেনি। বরং সেখানে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার নামে সাবেক এমপির পিএস আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, পতিত হাসিনা সরকার ‘গ্রাম হবে শহর’ এ স্লোগান তুলে নানা স্থানে আধুনিক মার্কেট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। সে অনুযায়ী বদরগঞ্জ উপজেলার মুচিরহাটে ওই মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। ২০২২ সালে সেখানকার গরিব ব্যবসায়ীদের বিতাড়িত করে আধুনিক ওই দ্বিতল মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে ৬ হাজার ৭শ’ বর্গফুট আয়তনের ওই মার্কেট নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয় ২ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে মার্কেটের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। মার্কেটের নীচতলায় রয়েছে মাছ, মাংস ও সবজির জন্য নির্ধারিত দোকান। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে আধুনিক মানের ২২টি দোকান। আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য রয়েছে ৬টি আধুনিক মানের টয়লেট।
২০২৩ সালের শেষে নজীর বিহিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মার্কেটটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী। কিন্তু মার্কেটটির উদ্বোধন হলেও কাউকে দোকানঘর বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ মার্কেট পরিচালনায় সরকারী কোন সঠিক নির্দেশনা না থাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কেট খুলে দেয়া সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় অর্থ বাণিজ্যে মেতে উঠেন তৎকালীন এমপির পিএস আবুল কালাম আজাদ। তিনি দোকানঘর বরাদ্দ দেয়ার নামে নানাজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সরেজমিন এলাকা ঘুরে এমনই অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ মানুষজন।
তারা জানান, মুচিরহাট এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, খালাশিপাড়ার জসিম উদ্দিনের ছেলে সাজু ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা, মৌয়াগাছ এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে তাহাবুল ইসলামের কাছ থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শফি উদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, আলা বকশের ছেলে জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা, ঝলঝলি পাড়ার দেবেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে তাপস চন্দ্র রায়ের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এলাকার লোকজন জানিয়েছেন- এর বাইরেও দোকান বরাদ্দ দেয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু ভয়ে তারা মুখ খুলছেননা।
৫ আগস্ট তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর সবাই আত্মগোপনে চলে গেলে আবুল কালাম আজাদও আত্মগোপণ করেন। ফলে ওইসব মানুষ আজো টাকা কিংবা দোকান কোনটাই হাতে পাননি। তার বাড়িতে গেলে বাবা বেলাল হোসেন মানুষজনের সাথে খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দেন। এমন কথাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে মার্কেট দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান বলেন, নীতিমালা না থাকায় মার্কেট চালু করা যায়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দোকান বরাদ্দ দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই।
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের মুচিরহাট মার্কেট ২ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হলেও আজ পর্যন্ত তা কোন কাজে আসেনি। বরং সেখানে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার নামে সাবেক এমপির পিএস আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, পতিত হাসিনা সরকার ‘গ্রাম হবে শহর’ এ স্লোগান তুলে নানা স্থানে আধুনিক মার্কেট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। সে অনুযায়ী বদরগঞ্জ উপজেলার মুচিরহাটে ওই মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। ২০২২ সালে সেখানকার গরিব ব্যবসায়ীদের বিতাড়িত করে আধুনিক ওই দ্বিতল মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে ৬ হাজার ৭শ’ বর্গফুট আয়তনের ওই মার্কেট নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয় ২ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে মার্কেটের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। মার্কেটের নীচতলায় রয়েছে মাছ, মাংস ও সবজির জন্য নির্ধারিত দোকান। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে আধুনিক মানের ২২টি দোকান। আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য রয়েছে ৬টি আধুনিক মানের টয়লেট।
২০২৩ সালের শেষে নজীর বিহিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মার্কেটটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী। কিন্তু মার্কেটটির উদ্বোধন হলেও কাউকে দোকানঘর বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ মার্কেট পরিচালনায় সরকারী কোন সঠিক নির্দেশনা না থাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কেট খুলে দেয়া সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় অর্থ বাণিজ্যে মেতে উঠেন তৎকালীন এমপির পিএস আবুল কালাম আজাদ। তিনি দোকানঘর বরাদ্দ দেয়ার নামে নানাজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সরেজমিন এলাকা ঘুরে এমনই অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ মানুষজন।
তারা জানান, মুচিরহাট এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, খালাশিপাড়ার জসিম উদ্দিনের ছেলে সাজু ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা, মৌয়াগাছ এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে তাহাবুল ইসলামের কাছ থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শফি উদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, আলা বকশের ছেলে জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা, ঝলঝলি পাড়ার দেবেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে তাপস চন্দ্র রায়ের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এলাকার লোকজন জানিয়েছেন- এর বাইরেও দোকান বরাদ্দ দেয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু ভয়ে তারা মুখ খুলছেননা।
৫ আগস্ট তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর সবাই আত্মগোপনে চলে গেলে আবুল কালাম আজাদও আত্মগোপণ করেন। ফলে ওইসব মানুষ আজো টাকা কিংবা দোকান কোনটাই হাতে পাননি। তার বাড়িতে গেলে বাবা বেলাল হোসেন মানুষজনের সাথে খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দেন। এমন কথাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে মার্কেট দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান বলেন, নীতিমালা না থাকায় মার্কেট চালু করা যায়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দোকান বরাদ্দ দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই।