রংপুর : সংস্কারের পর ৩ দিনের মধ্যেই সড়কের নতুন পিচ ও পাথর উঠে গেছে -সংবাদ
বিভাগীয় নগরী রংপুরের প্রধান সড়ক সংস্কারের পর ৩ দিনের মধ্যেই সড়ক থেকে নতুন পিচ ও পাথর উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর আর পিচগুলো হাওয়া হয়ে গেছে। রংপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এই ধরনের নিন্মমানের কাজ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর নগরীর প্রধান সড়ক ডিসির মোড় থেকে পায়রা চত্বর পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করার জন্য নতুন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে সংস্কার করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ৫৩ লাখ টাকা ব্যায়ে পূর্বের সড়কের ওপর সিঙ্গেল বিটুমিনাস সারপেস ট্রিটমেন্ট করার কথা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে পূর্বের সড়কের ওপর পাথরের বুজরী আর বিটুমিন দিয়ে আগের সড়কের ওপর প্রলেপ দেওয়া। এতে করে নাকি আগামী ৩ বছর সড়কটির আর সংস্কার করার দরকার হবে না। কিন্তু সড়কটি সংস্কার করার মাত্র ৩ দিন পর থেকেই আগের সড়কের ওপরে বিটুমিন আর বুজরি পাথর দিয়ে প্রলেপ লাগানো পাথরগুলো সরে যাচ্ছে। ফলে আগে সড়কটির যেই অবস্থা ছিল, তার থেকে বরং এখন আরও খারাপ হচ্ছে সড়কটি। পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঝাড়ু দিয়ে উঠে যাওয়া পাথর এবং পিচ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
সড়ক সংস্কারের উদ্দেশ্যে শতভাগ ব্যাহত হয়েছে বলে নগর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, একটু বৃষ্টি হলেই সংস্কারের নামে পাথর আর পীচের প্রলেপ পুরোপুরি উঠে যাবে। এতে করে সরকারি অর্থের অপব্যবহারই হবে। নগর বিশেষজ্ঞ ও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সাবেক প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম জানান, রংপুর নগরীর একটি মাত্র সড়ক যা প্রধান সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রতিদিন গড়ে লাখেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। ফলে সেই সড়কে সিঙ্গেল বিটুমিনাস কার্পেটিং ট্রিটমেন্টের কাজ কোন সুফল বয়ে আনবে না। বরং সরকারি অর্থের অপচয় করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এই ব্যাপারে জানতে রংপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নতুন এই পদ্ধতিতে সড়ক সংস্কার করা হলে একদিকে যেমন সরকারি বিপুল পরিমাণ অর্থের সাশ্রয় হবে, তেমনি এর আয়ুষ্কাল কমপক্ষে ৩ বছর হবে। তবে সড়কের পাথর এবং পিচের প্রলেপ উঠে যাচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এতে সড়কের শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ নষ্ট হলেও সড়কটির তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।
রংপুর : সংস্কারের পর ৩ দিনের মধ্যেই সড়কের নতুন পিচ ও পাথর উঠে গেছে -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিভাগীয় নগরী রংপুরের প্রধান সড়ক সংস্কারের পর ৩ দিনের মধ্যেই সড়ক থেকে নতুন পিচ ও পাথর উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর আর পিচগুলো হাওয়া হয়ে গেছে। রংপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এই ধরনের নিন্মমানের কাজ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর নগরীর প্রধান সড়ক ডিসির মোড় থেকে পায়রা চত্বর পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করার জন্য নতুন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে সংস্কার করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ৫৩ লাখ টাকা ব্যায়ে পূর্বের সড়কের ওপর সিঙ্গেল বিটুমিনাস সারপেস ট্রিটমেন্ট করার কথা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে পূর্বের সড়কের ওপর পাথরের বুজরী আর বিটুমিন দিয়ে আগের সড়কের ওপর প্রলেপ দেওয়া। এতে করে নাকি আগামী ৩ বছর সড়কটির আর সংস্কার করার দরকার হবে না। কিন্তু সড়কটি সংস্কার করার মাত্র ৩ দিন পর থেকেই আগের সড়কের ওপরে বিটুমিন আর বুজরি পাথর দিয়ে প্রলেপ লাগানো পাথরগুলো সরে যাচ্ছে। ফলে আগে সড়কটির যেই অবস্থা ছিল, তার থেকে বরং এখন আরও খারাপ হচ্ছে সড়কটি। পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঝাড়ু দিয়ে উঠে যাওয়া পাথর এবং পিচ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
সড়ক সংস্কারের উদ্দেশ্যে শতভাগ ব্যাহত হয়েছে বলে নগর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, একটু বৃষ্টি হলেই সংস্কারের নামে পাথর আর পীচের প্রলেপ পুরোপুরি উঠে যাবে। এতে করে সরকারি অর্থের অপব্যবহারই হবে। নগর বিশেষজ্ঞ ও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সাবেক প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম জানান, রংপুর নগরীর একটি মাত্র সড়ক যা প্রধান সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রতিদিন গড়ে লাখেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। ফলে সেই সড়কে সিঙ্গেল বিটুমিনাস কার্পেটিং ট্রিটমেন্টের কাজ কোন সুফল বয়ে আনবে না। বরং সরকারি অর্থের অপচয় করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এই ব্যাপারে জানতে রংপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নতুন এই পদ্ধতিতে সড়ক সংস্কার করা হলে একদিকে যেমন সরকারি বিপুল পরিমাণ অর্থের সাশ্রয় হবে, তেমনি এর আয়ুষ্কাল কমপক্ষে ৩ বছর হবে। তবে সড়কের পাথর এবং পিচের প্রলেপ উঠে যাচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এতে সড়কের শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ নষ্ট হলেও সড়কটির তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।