বাগেরহাট শহরের প্রাণ কেন্দ্র বনিকপট্টিতে অবস্থানরত শত বছরের গাজী কালু সাহেবের দরগাহ ও মসজিদের সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।সোমাবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সম্মেলন করেন গাজী কালুর দরগাহর খাদেম ও ভক্তরা। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খাদেম জামাল হাওলাদার। এ সময় দরগাহ ভক্ত মহারাজ, বিপুল ও বেল্লালসহ অন্যান্য ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বলা হয়, বাগেরহাট শহরের বনিকপট্টিতে অবস্থানরত গাজী কালুর দরগাহর খাদেমরা দরগাহটি দেখাশুনা করে আসছে। এর আগে জামাল হাওলদারের পিতা এ দরগাহ’র খাদেম ছিলেন। গাজীর দরগাহর সম্পত্তির মালিক সরকার যা খাস খতিয়ানভুক্ত। অথচ এ সম্পত্তির কিছু অংশ সবার অজান্তে অনৈতিকভাবে বাগেরহাট শহরের একটি ভুমি জালিয়াত চক্র নানা ষড়যন্ত্র করে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নিয়েছে বলে জানতে পারি। এ অবস্থায় দরগাহ’র খাদেম হিসাবে জামাল হাওলাদার এ সম্পত্তির কাগজপত্র খোঁজ করতে দেখেন বাগেরহাট পৌরসভাধীন জেএল -১৫৬ হাল ১৫২ নং সরুই মৌজার সি.এস ৭৯৭ এবং এস,এ ৭০১ নং খতিয়ানের রেকর্ডিয় মালিক ছিল পুর্নচরণ দিং। তৎকালীন সময়ে তিনি এ সম্পত্তি রেখে ভারতে চলে যান। ফলে উক্ত সম্পত্তি সরকারের খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়। যার রেকর্ড পত্র অনুযায়ী দাগ নং- ১০০৮, বাস্তবাড়ি এবং গাজী সাহেবের দরগাহ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। রেকর্ড অনুযায়ী গাজীর দরগাহ’র পথ, গাজী সাহেবের মসজিদ, খাদেমের ঘর, খানকা ঘর রয়েছে। যার বর্তমান রেকর্ড বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক এবং দখল সত্বে দেখাশুনার ভার ছিল মরহুম খাদেম ইউসুফ আলীর। সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত গাজী কালুর দরগাহ ও মসজিদের দখলীয় সম্পক্তি থেকে জমি জালিয়াত চক্রের হোতা ভুমি বিষয়ের আইনজীবী মরহুম এনামুল হক টিপু ও উত্তম কুমার গোপনে সেটেলমেন্ট অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের ম্যানেজ করে কিছু জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নেয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানালে তিনি সদর ইউএনওকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু জালিয়াত চক্রের চক্রান্তে আইনের যথাযত প্রয়োগ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় খাস খতিয়ানের এ সম্পত্তি উদ্ধার হয়নি।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাগেরহাট শহরের প্রাণ কেন্দ্র বনিকপট্টিতে অবস্থানরত শত বছরের গাজী কালু সাহেবের দরগাহ ও মসজিদের সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।সোমাবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সম্মেলন করেন গাজী কালুর দরগাহর খাদেম ও ভক্তরা। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খাদেম জামাল হাওলাদার। এ সময় দরগাহ ভক্ত মহারাজ, বিপুল ও বেল্লালসহ অন্যান্য ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বলা হয়, বাগেরহাট শহরের বনিকপট্টিতে অবস্থানরত গাজী কালুর দরগাহর খাদেমরা দরগাহটি দেখাশুনা করে আসছে। এর আগে জামাল হাওলদারের পিতা এ দরগাহ’র খাদেম ছিলেন। গাজীর দরগাহর সম্পত্তির মালিক সরকার যা খাস খতিয়ানভুক্ত। অথচ এ সম্পত্তির কিছু অংশ সবার অজান্তে অনৈতিকভাবে বাগেরহাট শহরের একটি ভুমি জালিয়াত চক্র নানা ষড়যন্ত্র করে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নিয়েছে বলে জানতে পারি। এ অবস্থায় দরগাহ’র খাদেম হিসাবে জামাল হাওলাদার এ সম্পত্তির কাগজপত্র খোঁজ করতে দেখেন বাগেরহাট পৌরসভাধীন জেএল -১৫৬ হাল ১৫২ নং সরুই মৌজার সি.এস ৭৯৭ এবং এস,এ ৭০১ নং খতিয়ানের রেকর্ডিয় মালিক ছিল পুর্নচরণ দিং। তৎকালীন সময়ে তিনি এ সম্পত্তি রেখে ভারতে চলে যান। ফলে উক্ত সম্পত্তি সরকারের খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়। যার রেকর্ড পত্র অনুযায়ী দাগ নং- ১০০৮, বাস্তবাড়ি এবং গাজী সাহেবের দরগাহ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। রেকর্ড অনুযায়ী গাজীর দরগাহ’র পথ, গাজী সাহেবের মসজিদ, খাদেমের ঘর, খানকা ঘর রয়েছে। যার বর্তমান রেকর্ড বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক এবং দখল সত্বে দেখাশুনার ভার ছিল মরহুম খাদেম ইউসুফ আলীর। সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত গাজী কালুর দরগাহ ও মসজিদের দখলীয় সম্পক্তি থেকে জমি জালিয়াত চক্রের হোতা ভুমি বিষয়ের আইনজীবী মরহুম এনামুল হক টিপু ও উত্তম কুমার গোপনে সেটেলমেন্ট অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের ম্যানেজ করে কিছু জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নেয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানালে তিনি সদর ইউএনওকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু জালিয়াত চক্রের চক্রান্তে আইনের যথাযত প্রয়োগ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় খাস খতিয়ানের এ সম্পত্তি উদ্ধার হয়নি।