কেশবপুরে বুড়িভদ্রা নদীর উপর প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ দীর্ঘ ৩ বছরেও শেষ হয়নি। আরসিসি ব্রিজটি দৃশ্যমান হলেও নেই কোনো সংযোগ সড়ক। এমন অবস্থায় স্থানীয়দের পারাপার বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় কুশুলদিয়া বাজার থেকে গোলাঘাটা বাজার পর্যন্ত সড়কের বুড়িভদ্রা নদীর উপর ৪২ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। যশোর অঞ্চল গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ব্রিজটি নির্মাণে ৩ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৬০৩ টাকা চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়। কাজটি পান মেসার্স অর্পি-অর্নি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইদ্রিস আলী। গত ২০২২ সালের ২ জুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সিডিউল অনুযায়ী ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। দীর্ঘ ৩ বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ।
কুশলদিয়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বুড়িভদ্রা নদীর ওপর একটি সুরু বেলি ব্রিজ ছিল যা এলাকায় নেপালনাথের ব্রিজ নামে পরিচিত। এ সড়ক দিয়ে মজিদপুর, কুশুলদিয়া, মির্জাপুর, সরফাবাদ, বাজিতপুর, মঙ্গলকোটসহ আশপাশের ১০-১২ গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। সেতুর পশ্চিমপাশে কুশুলদিয়া বাজার, মজিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্বপাশে গোলাঘাটা বাজারসহ রাসবিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসা থাকায় সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকায় সেতুটি নির্মাণ করা হলেও এর সুফল পাচ্ছেন না পথচারী, হাটুরেরা। ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার মুমূর্ষু রোগীদের যাতায়াতসহ বাজারে কাঁচামাল বহনে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচল বন্ধ রয়েছে। পথচারীদের সময়, অর্থ দুটোই নষ্ট হচ্ছে।
এখন পানি না থাকলেও ঠিকাদার সময় ক্ষেপণ করছেন।
মেসার্স অর্পি-অর্নি এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী ইদ্রিস আলী বলেন, সড়কের উভয়পাশে পানি থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। পানি কমে গেলে দ্রুত কাজ শেষ করে সেতু জনগণের জন্যে উন্মুক্ত করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুড়িভদ্রা নদীর উভয় পাশে রয়েছে পিচঢালা সড়ক। সংযোগ সড়ক না থাকায় পথচারীরা মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়িসহ কোনো ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। পুরাতন সেতু ভেঙে এ সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুর নির্মাণকাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী নজিবুল হক বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওযায় কাজের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পানির কারণে ব্রিজটির সংস্কার কাজ বন্ধ ছিল। পানি কমলে প্লাসেটিং বসানোর পর ব্রিজের সংযোগ সড়ক করা হবে।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
কেশবপুরে বুড়িভদ্রা নদীর উপর প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ দীর্ঘ ৩ বছরেও শেষ হয়নি। আরসিসি ব্রিজটি দৃশ্যমান হলেও নেই কোনো সংযোগ সড়ক। এমন অবস্থায় স্থানীয়দের পারাপার বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় কুশুলদিয়া বাজার থেকে গোলাঘাটা বাজার পর্যন্ত সড়কের বুড়িভদ্রা নদীর উপর ৪২ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। যশোর অঞ্চল গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ব্রিজটি নির্মাণে ৩ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৬০৩ টাকা চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়। কাজটি পান মেসার্স অর্পি-অর্নি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইদ্রিস আলী। গত ২০২২ সালের ২ জুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সিডিউল অনুযায়ী ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। দীর্ঘ ৩ বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ।
কুশলদিয়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বুড়িভদ্রা নদীর ওপর একটি সুরু বেলি ব্রিজ ছিল যা এলাকায় নেপালনাথের ব্রিজ নামে পরিচিত। এ সড়ক দিয়ে মজিদপুর, কুশুলদিয়া, মির্জাপুর, সরফাবাদ, বাজিতপুর, মঙ্গলকোটসহ আশপাশের ১০-১২ গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। সেতুর পশ্চিমপাশে কুশুলদিয়া বাজার, মজিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্বপাশে গোলাঘাটা বাজারসহ রাসবিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসা থাকায় সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকায় সেতুটি নির্মাণ করা হলেও এর সুফল পাচ্ছেন না পথচারী, হাটুরেরা। ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার মুমূর্ষু রোগীদের যাতায়াতসহ বাজারে কাঁচামাল বহনে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচল বন্ধ রয়েছে। পথচারীদের সময়, অর্থ দুটোই নষ্ট হচ্ছে।
এখন পানি না থাকলেও ঠিকাদার সময় ক্ষেপণ করছেন।
মেসার্স অর্পি-অর্নি এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী ইদ্রিস আলী বলেন, সড়কের উভয়পাশে পানি থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। পানি কমে গেলে দ্রুত কাজ শেষ করে সেতু জনগণের জন্যে উন্মুক্ত করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুড়িভদ্রা নদীর উভয় পাশে রয়েছে পিচঢালা সড়ক। সংযোগ সড়ক না থাকায় পথচারীরা মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়িসহ কোনো ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। পুরাতন সেতু ভেঙে এ সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুর নির্মাণকাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী নজিবুল হক বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওযায় কাজের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পানির কারণে ব্রিজটির সংস্কার কাজ বন্ধ ছিল। পানি কমলে প্লাসেটিং বসানোর পর ব্রিজের সংযোগ সড়ক করা হবে।