ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বর্ষা মৌসুমে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পুরো উপজেলায় আমন ধান এবং সবজি জাতীয় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল এবং বন্যার পানিতে উপজেলার ৯০ ভাগ আমন ধান নষ্ট হয়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ফলে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন কৃষক। এরই মাঝে শুরু হয়েছে বোরো আবাদের সিজন। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো আবাদে ব্যস্ত এখন সাধারণ কৃষক। কিন্তু উৎপাদন ব্যয় গত বছরের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এতে খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার ১৩ হাজার ৬শ হেক্টর জমির আমন ধান এবং ৩শ হেক্টর জমির সবজি ফসল নষ্ট হয়েছে। যার আনুমানিক আর্থিক ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা। এই অবস্থায় বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই উপজেলার সাধারণ কৃষক। আমন ধান নষ্ট হওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন কৃষক। তাই ঋণ করে এবং কেউ কেউ গরু ছাগল বিক্রি করে ধান চাষ করছেন। কেউ আবার নাম মাত্র মূল্যে জমি বর্গা দিয়ে ধান চাষ করছেন। এসবের মাঝেও সারের ডিলারদের সিন্ডিকেটে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত সার বিক্রি হচ্ছে। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। এদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং এ সেচ নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ কৃষক। দর্শা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, আমন হারিয়ে নিঃস্ব আমরা। অল্প টাকায় জমি বন্ধক (বর্গা) দিয়ে বোরো ধান রোপণ করে আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। তবে সারের দাম বেশি থাকায় বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নাই। খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিলাররা দাম বেশি রাখে এজন্য আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। ডিলারের দাবি চাহিদা অনুযায়ী সার পাওয়া যায় না। পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের আহসান এন্টার প্রাইজের ডিলার জিয়াউর রহমান বলেন, চাহিদা অনুযায়ী সার না পাওয়ায় বাহির থেকে সার ক্রয় করতে হয়।
এজন্য দাম বাড়িয়ে সারের সংকট কাটানোর চেষ্টা করছি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১৮ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান ফলানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসী বলেন, সারের কোন সংকট নেই অতিরিক্ত দাম যেন না নিতে পারে আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি, আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা দোকানে দোকানে গিয়ে কৃষককে সার ক্রয় করতে সহায়তা করছেন।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বর্ষা মৌসুমে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পুরো উপজেলায় আমন ধান এবং সবজি জাতীয় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল এবং বন্যার পানিতে উপজেলার ৯০ ভাগ আমন ধান নষ্ট হয়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ফলে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন কৃষক। এরই মাঝে শুরু হয়েছে বোরো আবাদের সিজন। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো আবাদে ব্যস্ত এখন সাধারণ কৃষক। কিন্তু উৎপাদন ব্যয় গত বছরের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এতে খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার ১৩ হাজার ৬শ হেক্টর জমির আমন ধান এবং ৩শ হেক্টর জমির সবজি ফসল নষ্ট হয়েছে। যার আনুমানিক আর্থিক ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা। এই অবস্থায় বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই উপজেলার সাধারণ কৃষক। আমন ধান নষ্ট হওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন কৃষক। তাই ঋণ করে এবং কেউ কেউ গরু ছাগল বিক্রি করে ধান চাষ করছেন। কেউ আবার নাম মাত্র মূল্যে জমি বর্গা দিয়ে ধান চাষ করছেন। এসবের মাঝেও সারের ডিলারদের সিন্ডিকেটে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত সার বিক্রি হচ্ছে। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। এদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং এ সেচ নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ কৃষক। দর্শা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, আমন হারিয়ে নিঃস্ব আমরা। অল্প টাকায় জমি বন্ধক (বর্গা) দিয়ে বোরো ধান রোপণ করে আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। তবে সারের দাম বেশি থাকায় বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নাই। খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিলাররা দাম বেশি রাখে এজন্য আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। ডিলারের দাবি চাহিদা অনুযায়ী সার পাওয়া যায় না। পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের আহসান এন্টার প্রাইজের ডিলার জিয়াউর রহমান বলেন, চাহিদা অনুযায়ী সার না পাওয়ায় বাহির থেকে সার ক্রয় করতে হয়।
এজন্য দাম বাড়িয়ে সারের সংকট কাটানোর চেষ্টা করছি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১৮ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান ফলানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসী বলেন, সারের কোন সংকট নেই অতিরিক্ত দাম যেন না নিতে পারে আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি, আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা দোকানে দোকানে গিয়ে কৃষককে সার ক্রয় করতে সহায়তা করছেন।