alt

সারাদেশ

ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিপর্যয়ের মুখে কৃষি উৎপাদন

প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা) : শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বরগুনার আমতলী উপজেলার ফসলি জমির উর্বর মাটি চলে যাচ্ছে ইটভাটার গ্রাসে। কৃষকরা ইটভাটার ঠিকাদারদের প্রলোভনে পরে দেদার মাটি বিক্রি করছেন। মাটি বিক্রি করায় ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বরতা হারাচ্ছে। এতে করে হুমকিতে পড়েছে আবাদি জমি। ফসলি জমির মাটি কেটে নেয়া ফৌজদারি অপরাধ। কিন্তু মাটি সংগ্রহকারী ঠিকাদার ও ইটভাটার মালিকরা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কৃষকদের ভুলভালো বুঝিয়ে ইটভাটায় মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষিবিদদের দাবি, দ্রুত মাটি কাটা বন্ধ না হলে কৃষি উৎপাদন বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পরবে। আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ঈশা ইকবাল বলেন, কৃষিজমির ওপরের ৮-১০ ইঞ্চি থেকে দের ফুট পর্যন্ত মাটির উপরিভাগে রাসায়নিক উপাদান থাকে। এই মাটি কেটে নেয়া হলে যেমন জমি উর্বরতা হারাবে, তেমনি ফসল আবাদ বিপর্যয়ের মুখে পরবে। তিনি আরও বলেন, ফসলি জমিতে গভীর করে মাটি কেটে নিলে ওই জমি অনাবাদি হয়ে যায়। এতে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সরকারিভাবে নির্দেশনা আছে, ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেয়া ফৌজদারি অপরাধ। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিলে মাটি কাটার প্রবণতা হ্রাস পেত।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার আমতলী সদর, হলদিয়া, চাওড়া, কুকুয়া, গুলিশাখালী এবং আঠারগাছিয়া ইউনিয়নে ঝিকঝ্যাঁক, ড্রাম চিমনি পদ্ধতির ২০টি ইটভাটা রয়েছে। এ ইটভাটাগুলোতে বছরে অন্তত ২০ কোটি ইট পোড়ানো হয়। ইট পোড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় মাটি ইটভাটার মালিকরা ফসলি জমি কেটে আনছে। আবার অনেকে ইটভাটায় মাটি বিক্রির জন্য কৃষিজমি কেটে পুকুর খনন করেছে। এর ফলে হাজার হাজার একর কৃষিজমির উর্বরতা হারাচ্ছে। ফসলি জমির মালিকরা না বুঝে ইটভাটার মালিকদের প্রলোভনে পরে দেদার মাটি বিক্রি করছে। গত বছর যারা ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছে ওই জমিতে এ বছর আমনের মৌসুমে ভালো ফসল হয়নি। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপণ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ এবং মাটির ব্যবহার হ্রাসকরণ নিয়ন্ত্রণ আইনে উল্লেখ আছে, ইট প্রস্তুতের জন্য ইটভাটার মালিকরা কৃষিজমি, পাহাড় বা টিলা থেকে মাটি কাটিয়া বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করিতে পারিবে না। যদি কোনো ব্যক্তি ৫ এ উপধারা (১) এ বিধান লঙ্ঘন করিয়া ইটভাটা প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কৃষিজমি বা পাহার বা টিলা হইতে মাটি কাটিয়া বা সংগ্রহ করিয়া ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করেন তা হইলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বছরের কারাদ- বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দন্ডেদন্ডিত হইবেন। ইটভাটার মালিকরা এই আইনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমি (কৃষি) থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইটভাটার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করছেন।

সম্প্রতি সরেজমিনে আমতলী উপজেলার রায়বালা, ফকিরবাড়ী, বান্দ্রা, খলিয়ান, ঘটখালী, কালিবাড়ী এবং কুকুয়ার আজিমপুর ঘুরে দেখা গেছে, ট্রলার ও ট্রলিবোঝাই করে শ্রমিকরা দেদারসে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। কালিবাড়ী গ্রামের কৃষক মোতালেব বলেন, মোগো এলাকায় অনেক মানু হ্যাগো জমির মাটি বেইচ্ছা হালাইছে। কেউ সরল জমি কাইট্টা পুহোইর হরছে, মুই জমির মাডি কাইট্টা সর্বনাশ করমু না। বান্দ্রা গ্রামের বাদল বলেন, অনেকে জমির মাটি বিক্রি করছেন। ট্রাক্টরচালক মো. মুছা বলেন, কৃষিজমির মাটি কেটে বিবিসি ইটভাটায় ট্রাক্টরবোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছি। কৃষিজমির মাটি বিক্রিতে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে কিন্তু জমির মালিকরা বুঝেও ঠিকাদারের টাকার লোভে পড়ে দেদার মাটি বিক্রি করছেন। কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছর ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে ভুল করেছি। ওই জমিতে এ বছর ভালো ফসল হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রায়বালা গ্রামের এমবিএম ইটভাটার মালিক মাহবুব মৃধা ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারের কাছ থেকে ১০ টাকা ফুট হিসেবে মাটি ক্রয় করি। তারা ইটভাটায় ট্রাক্টরে করে মাটি দিয়ে যায়। কোথা থেকে ঠিকাদার মাটি সংগ্রহ করে তা আমার জানা নেই। মাটি সংগ্রহকারী ঠিকাদার মো. মোজাম্মেল হাওলাদার বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা ফুট দরে মাটি কিনে ইটভাটাতে ১০ টাকা দরে বিক্রি করছি। কৃষকরা অপরিত্যাক্ত জমি, দলখেত এবং পুকুরের মাটি বিক্রি করছেন। তিনি আরও বলেন, এই উপজেলায় মোট ২০টি ইটভাটা রয়েছে। প্রত্যেকটি ইটভাটায়ই একজন করে মাটি সংগ্রহকারী ঠিকাদার রয়েছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ফসলি জমির মাটি কেটে নেয়া ফসল উৎপাদনের জন্য হুমকি। কিন্তু ফসলি জমির মালিকরা না বুঝে জমির মাটি বিক্রি করছেন। খোঁজ-খবর নিয়ে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, রানওয়ে বন্ধ ২ ঘণ্টা

বৈদেশিক মুদ্রা ডাকাতি: একজন কারাগারে, রিমান্ডে ৫

আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত দুই ভাই

ছবি

‘দুই কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে’—পুলিশ কমিশনারকে নারীর চিঠি

বাংলাদেশ লোকগবেষণা পরিষদের আত্মপ্রকাশ

সোনাইমুড়ীকে পৃথক নির্বাচনী আসন করার দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন

কমলগঞ্জে রোজিনা হত্যা মামলার আসামি ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার

মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ

ছবি

পুর্ব-সুন্দরবনে বিষ দিয়ে ধরা মাছসহ নৌকা আটক

চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানার লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি

ভোলায় নেত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, বিএনপির নেতা বহিষ্কার

বাগেরহাটে পানিতে পড়ে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু

ভূমি খাজনা আদায়ে জেলার মধ্যে শীর্ষে সুমানগঞ্জের ছাতক

ছবি

মুন্সীগঞ্জের কাটাখালি খাল সংস্কারে চলছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

কলমাকান্দায় অনলাইন তীর জুয়াড়িদের গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে একে আজাদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় এজাহার

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোষ্ঠীগত বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, বাজারে লুটপাট-ভাঙচুর

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ছবি

নির্বিচারে গাছ কাটায় ভালুকায় হারিয়ে গেছে ৫০ প্রজাতির বৃক্ষলতা

ছবি

চিলমারীর তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু চলতি মাসের শেষে খুলে দেয়া হবে

ছবি

সুন্দরবনে কমেছে চোরা শিকারি ও বিষ সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য

দৌলতপুরে অবৈধভাবে নদীর মাটি উত্তোলন করায় জরিমানা

ছবি

নদীতে ভেঙে যাওয়া চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পূর্বের গ্রামে প্রতিষ্ঠার দাবি

মীরসরাই প্রাথমিকে ১০৮ পদ শূন্য, পাঠদান ব্যাহত

ছবি

চকরিয়ায় অভয়ারণ্য বনের গাছ কেটে পাকা বাড়ি তৈরির হিড়িক!

ছবি

মাদারীপুরে পানি প্রবাহে খাল খনন শুরু

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, নিহত ১

ফরিদপুরে বিএনপির সদস্য সচিবসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার

ছবি

২০০ বছরের সূর্যপুরী আমগাছ ডালে ডালে ঝুলছে আম

ইলেকট্রিশিয়ানকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

৯ দফা দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত

উল্টোরথের মাধ্যমে মোহনগঞ্জে শেষ হলো রথযাত্রা উৎসব

রাজশাহীতে হামলা ছিনতাই ও গুলির ঘটনায় আটক ৩

ছবি

শিবচরে আড়িয়ালখাঁ নদের ভাঙন হুমকিতে ৯৭ কোটি টাকার সেতু

পূর্বধলায় বিএনপির মতবিনিময় সভা

tab

সারাদেশ

ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিপর্যয়ের মুখে কৃষি উৎপাদন

প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা)

শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বরগুনার আমতলী উপজেলার ফসলি জমির উর্বর মাটি চলে যাচ্ছে ইটভাটার গ্রাসে। কৃষকরা ইটভাটার ঠিকাদারদের প্রলোভনে পরে দেদার মাটি বিক্রি করছেন। মাটি বিক্রি করায় ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বরতা হারাচ্ছে। এতে করে হুমকিতে পড়েছে আবাদি জমি। ফসলি জমির মাটি কেটে নেয়া ফৌজদারি অপরাধ। কিন্তু মাটি সংগ্রহকারী ঠিকাদার ও ইটভাটার মালিকরা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কৃষকদের ভুলভালো বুঝিয়ে ইটভাটায় মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষিবিদদের দাবি, দ্রুত মাটি কাটা বন্ধ না হলে কৃষি উৎপাদন বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পরবে। আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ঈশা ইকবাল বলেন, কৃষিজমির ওপরের ৮-১০ ইঞ্চি থেকে দের ফুট পর্যন্ত মাটির উপরিভাগে রাসায়নিক উপাদান থাকে। এই মাটি কেটে নেয়া হলে যেমন জমি উর্বরতা হারাবে, তেমনি ফসল আবাদ বিপর্যয়ের মুখে পরবে। তিনি আরও বলেন, ফসলি জমিতে গভীর করে মাটি কেটে নিলে ওই জমি অনাবাদি হয়ে যায়। এতে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সরকারিভাবে নির্দেশনা আছে, ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেয়া ফৌজদারি অপরাধ। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিলে মাটি কাটার প্রবণতা হ্রাস পেত।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার আমতলী সদর, হলদিয়া, চাওড়া, কুকুয়া, গুলিশাখালী এবং আঠারগাছিয়া ইউনিয়নে ঝিকঝ্যাঁক, ড্রাম চিমনি পদ্ধতির ২০টি ইটভাটা রয়েছে। এ ইটভাটাগুলোতে বছরে অন্তত ২০ কোটি ইট পোড়ানো হয়। ইট পোড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় মাটি ইটভাটার মালিকরা ফসলি জমি কেটে আনছে। আবার অনেকে ইটভাটায় মাটি বিক্রির জন্য কৃষিজমি কেটে পুকুর খনন করেছে। এর ফলে হাজার হাজার একর কৃষিজমির উর্বরতা হারাচ্ছে। ফসলি জমির মালিকরা না বুঝে ইটভাটার মালিকদের প্রলোভনে পরে দেদার মাটি বিক্রি করছে। গত বছর যারা ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছে ওই জমিতে এ বছর আমনের মৌসুমে ভালো ফসল হয়নি। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপণ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ এবং মাটির ব্যবহার হ্রাসকরণ নিয়ন্ত্রণ আইনে উল্লেখ আছে, ইট প্রস্তুতের জন্য ইটভাটার মালিকরা কৃষিজমি, পাহাড় বা টিলা থেকে মাটি কাটিয়া বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করিতে পারিবে না। যদি কোনো ব্যক্তি ৫ এ উপধারা (১) এ বিধান লঙ্ঘন করিয়া ইটভাটা প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কৃষিজমি বা পাহার বা টিলা হইতে মাটি কাটিয়া বা সংগ্রহ করিয়া ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করেন তা হইলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বছরের কারাদ- বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দন্ডেদন্ডিত হইবেন। ইটভাটার মালিকরা এই আইনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমি (কৃষি) থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইটভাটার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করছেন।

সম্প্রতি সরেজমিনে আমতলী উপজেলার রায়বালা, ফকিরবাড়ী, বান্দ্রা, খলিয়ান, ঘটখালী, কালিবাড়ী এবং কুকুয়ার আজিমপুর ঘুরে দেখা গেছে, ট্রলার ও ট্রলিবোঝাই করে শ্রমিকরা দেদারসে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। কালিবাড়ী গ্রামের কৃষক মোতালেব বলেন, মোগো এলাকায় অনেক মানু হ্যাগো জমির মাটি বেইচ্ছা হালাইছে। কেউ সরল জমি কাইট্টা পুহোইর হরছে, মুই জমির মাডি কাইট্টা সর্বনাশ করমু না। বান্দ্রা গ্রামের বাদল বলেন, অনেকে জমির মাটি বিক্রি করছেন। ট্রাক্টরচালক মো. মুছা বলেন, কৃষিজমির মাটি কেটে বিবিসি ইটভাটায় ট্রাক্টরবোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছি। কৃষিজমির মাটি বিক্রিতে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে কিন্তু জমির মালিকরা বুঝেও ঠিকাদারের টাকার লোভে পড়ে দেদার মাটি বিক্রি করছেন। কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছর ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে ভুল করেছি। ওই জমিতে এ বছর ভালো ফসল হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রায়বালা গ্রামের এমবিএম ইটভাটার মালিক মাহবুব মৃধা ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারের কাছ থেকে ১০ টাকা ফুট হিসেবে মাটি ক্রয় করি। তারা ইটভাটায় ট্রাক্টরে করে মাটি দিয়ে যায়। কোথা থেকে ঠিকাদার মাটি সংগ্রহ করে তা আমার জানা নেই। মাটি সংগ্রহকারী ঠিকাদার মো. মোজাম্মেল হাওলাদার বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা ফুট দরে মাটি কিনে ইটভাটাতে ১০ টাকা দরে বিক্রি করছি। কৃষকরা অপরিত্যাক্ত জমি, দলখেত এবং পুকুরের মাটি বিক্রি করছেন। তিনি আরও বলেন, এই উপজেলায় মোট ২০টি ইটভাটা রয়েছে। প্রত্যেকটি ইটভাটায়ই একজন করে মাটি সংগ্রহকারী ঠিকাদার রয়েছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ফসলি জমির মাটি কেটে নেয়া ফসল উৎপাদনের জন্য হুমকি। কিন্তু ফসলি জমির মালিকরা না বুঝে জমির মাটি বিক্রি করছেন। খোঁজ-খবর নিয়ে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

back to top