অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার
গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযানে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাতে চালানো এ অভিযানে গাজীপুর জেলা পুলিশ ২১ জন এবং মহানগর পুলিশ ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে আটক হন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা চয়ন ইসলাম। একই সঙ্গে কাশিমপুর থানার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম গায়েনকে আটক করা হয়।
এছাড়া, গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি আনোয়ারা সরকারকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) চৌধুরী যাবের সাদেক সোমবার সকালে জানান, রাতভর অভিযানে জেলা পুলিশ ২১ জনকে আটক করেছে। তিনি বলেন, “আটককৃতরা সবাই বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারী এবং বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।”
গাজীপুর মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপপুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেন বলেন, “গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত মহানগরীর আটটি থানায় সমন্বিত অভিযানে ৭৯ জনকে আটক করা হয়েছে।"
গত শনিবার থেকে সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। এ অভিযানকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সন্ত্রাসী ও সহিংসতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করবে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে একদল শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে শনিবার দিনভর বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বিক্ষোভের মুখে দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করে মহানগর পুলিশ কমিশনার ক্ষমা চান এবং গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়।
অভিযান চলমান রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযানে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাতে চালানো এ অভিযানে গাজীপুর জেলা পুলিশ ২১ জন এবং মহানগর পুলিশ ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে আটক হন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা চয়ন ইসলাম। একই সঙ্গে কাশিমপুর থানার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম গায়েনকে আটক করা হয়।
এছাড়া, গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি আনোয়ারা সরকারকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) চৌধুরী যাবের সাদেক সোমবার সকালে জানান, রাতভর অভিযানে জেলা পুলিশ ২১ জনকে আটক করেছে। তিনি বলেন, “আটককৃতরা সবাই বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারী এবং বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।”
গাজীপুর মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপপুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেন বলেন, “গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত মহানগরীর আটটি থানায় সমন্বিত অভিযানে ৭৯ জনকে আটক করা হয়েছে।"
গত শনিবার থেকে সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। এ অভিযানকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সন্ত্রাসী ও সহিংসতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করবে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে একদল শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে শনিবার দিনভর বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বিক্ষোভের মুখে দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করে মহানগর পুলিশ কমিশনার ক্ষমা চান এবং গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়।
অভিযান চলমান রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।