কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর মায়ানমারের জলসীমায় মাছ শিকারের সময় ট্রলারসহ চার বাংলাদেশি জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের গোলারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃতরা হলো ওই ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান (৩০), আব্দু রকিম (২০), মো. জাবের (২৬) ও মো. হাসান (১৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরীর দ্বীপের কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এইচ এম সারতাজ বিন সোহরাব।
স্থানীয় জেলেদের বরাতে তিনি বলেন, শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান চার জেলেসহ তার ট্রলার নিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় নাফ নদীতে মাছ শিকারে যায়। একপর্যায়ে মায়ানমারের দিক থেকে একটি স্পিডবোটে করে আসা আরাকান আর্মি অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশি জেলেদের ট্রলারটিকে ঘিরে ফেলে। পরে জেলেদেরসহ ট্রলারটি মায়ানমার অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। বিষয়টি কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিজিবি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করি।
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণ নৌ-ঘাটের সভাপতি বশির আহমেদ বলেন, সকালে প্রতিদিনের ন্যায় নাফ নদে মাছ শিকারে গেলে মায়ানমারের আরাকান আর্মি নৌকাসহ তাদের ধরে নিয়ে যায়। এ বিষয়টি আমরা বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ আহসান উদ্দিন বলেন। মায়ানমারের জলসীমায় নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় ট্রলারসহ চার জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে যায়। যেহেতু মায়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে সীমান্তের ওপারে অধিকাংশ এলাকা আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে।
অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টরা তৎপরতা চালাচ্ছেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির লোকজনই বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে থাকতে পারে। উক্ত বিষয় নিয়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ড নাফ নদী সীমান্তে নিরাপত্তার পাশাপাশি নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। এবং তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। তবে ওই ঘটনার বিষয়ে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত বছর ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ছয়টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যান। তাদের ৯ অক্টোবর অপহরণ করে সে দেশের নৌবাহিনী। এ সময় মায়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিডবোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
তাতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে জেলেদের ফেরত দেয়া হয়। তখন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।
সবশেষ ১৫ অক্টোবর মায়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত এনেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর মায়ানমারের জলসীমায় মাছ শিকারের সময় ট্রলারসহ চার বাংলাদেশি জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের গোলারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃতরা হলো ওই ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান (৩০), আব্দু রকিম (২০), মো. জাবের (২৬) ও মো. হাসান (১৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরীর দ্বীপের কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এইচ এম সারতাজ বিন সোহরাব।
স্থানীয় জেলেদের বরাতে তিনি বলেন, শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান চার জেলেসহ তার ট্রলার নিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় নাফ নদীতে মাছ শিকারে যায়। একপর্যায়ে মায়ানমারের দিক থেকে একটি স্পিডবোটে করে আসা আরাকান আর্মি অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশি জেলেদের ট্রলারটিকে ঘিরে ফেলে। পরে জেলেদেরসহ ট্রলারটি মায়ানমার অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। বিষয়টি কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিজিবি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করি।
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণ নৌ-ঘাটের সভাপতি বশির আহমেদ বলেন, সকালে প্রতিদিনের ন্যায় নাফ নদে মাছ শিকারে গেলে মায়ানমারের আরাকান আর্মি নৌকাসহ তাদের ধরে নিয়ে যায়। এ বিষয়টি আমরা বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ আহসান উদ্দিন বলেন। মায়ানমারের জলসীমায় নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় ট্রলারসহ চার জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে যায়। যেহেতু মায়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে সীমান্তের ওপারে অধিকাংশ এলাকা আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে।
অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টরা তৎপরতা চালাচ্ছেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির লোকজনই বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে থাকতে পারে। উক্ত বিষয় নিয়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ড নাফ নদী সীমান্তে নিরাপত্তার পাশাপাশি নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। এবং তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। তবে ওই ঘটনার বিষয়ে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত বছর ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ছয়টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যান। তাদের ৯ অক্টোবর অপহরণ করে সে দেশের নৌবাহিনী। এ সময় মায়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিডবোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
তাতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে জেলেদের ফেরত দেয়া হয়। তখন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।
সবশেষ ১৫ অক্টোবর মায়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত এনেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।