alt

সারাদেশ

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর যেন দুর্নীতির আখড়া

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার : রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজ্জামান একই সঙ্গে ক্যাশিয়ার পদেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি চাকরির বিধি অনুযায়ী, একজন কর্মচারী তিন বছরের বেশি একই কর্মস্থলে থাকতে পারেন না। কিন্তু আসাদুজ্জামান ক্ষমতার দাপটে কক্সবাজারে কাটিয়ে দিয়েছেন ১৭ বছর। সূত্র জানায়, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সহযোগিতায় তিনি এই দীর্ঘসময় কক্সবাজারে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বদলির বিধান থাকা সত্ত্বেও ঢাকা এবং চট্টগ্রামের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এক জেলায় দুই পদ দখল করে রেখেছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট রাখতে তিনি নিয়মিত কক্সবাজার থেকে কাঁচা মাছ ও শুঁটকি পাঠান। অফিস কম্পাউন্ডে প্রায়ই আস্ত ছাগল জবাই করে রাতের পার্টির আয়োজন করেন। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী বাদল কান্তি দে, যিনি অবসর নেওয়ার পরও মাস্টার রোলের মাধ্যমে বেতন পাচ্ছেন। এছাড়াও রাতে বিনোদনের নামে অবৈধ কর্মকা- চালানোর অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১-২% কমিশন আদায় করে ভুয়া বিল উত্তোলন করেন। ত্রুটিপূর্ণ কাজ করেও তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিল পরিশোধ করে দেন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, একজন কর্মচারী অতিরিক্ত দায়িত্বে মাত্র এক-দুই মাস থাকতে পারেন। কিন্তু আসাদুজ্জামান ১৭ বছর ধরে ক্যাশিয়ারের পদও ভোগ করছেন। এমনকি এই সময়ের মধ্যে দুইজন ক্যাশিয়ার পোস্টিং পেলেও তারা দায়িত্ব বুঝে পাননি, বরং হয়রানির শিকার হয়ে বদলি হয়ে গেছেন। সরকারি চাকরিতে ৩ থেকে ৫ বছর পরপর বদলির নিয়ম থাকলেও আসাদুজ্জামান এই নিয়ম মানেননি।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বদলি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। তার নিজের একাধিক ব্যাংক হিসাব রয়েছে, যেখানে নিয়মিত অবৈধ লেনদেন হয়। আঁখি ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর আজম খান বলেন, আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় ও আদালতে দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ঘুষ, টেন্ডারবাজি, অর্থ আত্মসাৎ ও ঠিকাদারদের হয়রানির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন একই পদে থাকার সুবাদে ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিল উত্তোলনের নামে ঘুষও নেন তিনি। অফিসের সরবরাহ কাজ এবং টেন্ডারসহ সবকিছুতে তার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত হত্যা মামলা ও অন্যান্য অভিযোগ সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইবনে মায়াজ প্রামাণিক জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি, তাই কিছু বলতে পারবো না। অভিযোগ থাকলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আলী আজগর বলেন, এই ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুর রহমান বলেন, এক ব্যক্তি কিভাবে দুই পদে বহাল থাকতে পারেন? যদি তার বিরুদ্ধে কোন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

ছবি

অযত্ন অবহেলায় বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে কচুয়ার পাথৈর গ্রামের জমিদার বাড়ি

চোর সন্দেহে যুবদলের ৪ কর্মীকে গণধোলাই, ৬ পুলিশ আহত

ছবি

কেশবপুরে ১১টি অবৈধ ইটভাটার ৬টি আদালত অবমাননা করে চলছে

ভেজাল কীটনাশক বিক্রেতাদের লাইসেন্স বাতিল দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

ঝিনাইদহে ১৪৪ নারীকে সেলাই মেশিন দিলেন বিএনপি নেতা

অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, পাঁচ পুলিশ বরখাস্ত

শেরপুরে কবিরাজ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার এক

মুন্সীগঞ্জে ১৭৩ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ

ছবি

বেতাগীর ঝোপখালী পাখির চর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর

সিলেটে পৃথক ঘটনায় এক দিনে ৫ জনের মৃত্যু

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

ছেলের সঙ্গে অভিমান করে রোজদার মায়ের আত্মহত্যা

দরিদ্র কৃষকের জমির পেঁয়াজ তুলে নিলেন বিএনপি নেতা

পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই

শ্রমিক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

মেহেরপুরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

অবৈধ সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা

সাত মাস ধরে অনুপস্থিত চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্যসামগ্রী, স্টেশনারি ও ধোলাই কাজের দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়ম

ভেড়ামারায় অস্ত্র-গুলিসহ ২ বিএনপি নেতা আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ছবি

শেরপুরে ঐতিহ্য হারাচ্ছে বেনারসি পল্লী, নেই ঈদ আনন্দ

আটকা পড়া জেলেদের উদ্ধার করল কোস্টগার্ড

ছবি

অভিযানের মধ্যেই মেঘনায় চলছে জাটকা নিধন

বাগেরহাটে ইমামকে মারধর, ৬ জনকে কুপিয়ে জখম

ছবি

তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ বীরগঞ্জবাসী

ছবি

শাড়ি-লুঙ্গির পাশাপাশি জমজমাট গামছার হাট

বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ আহত ২

শরীয়তপুরে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা

পত্নীতলায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

কাভার্ডভ্যান চাপায় প্রাণ গেল বৃদ্ধ দম্পতির

নাইক্ষ্যংছড়িতে ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ

ছবি

সৈয়দপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই

সোনাইমুড়ীতে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

কুড়িগ্রামের যমুনা সাঁতরে চাঁদপুরের মেঘনায় রফিকুল, লক্ষ্য বঙ্গোপসাগর

ছবি

ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা

tab

সারাদেশ

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর যেন দুর্নীতির আখড়া

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার

রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজ্জামান একই সঙ্গে ক্যাশিয়ার পদেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি চাকরির বিধি অনুযায়ী, একজন কর্মচারী তিন বছরের বেশি একই কর্মস্থলে থাকতে পারেন না। কিন্তু আসাদুজ্জামান ক্ষমতার দাপটে কক্সবাজারে কাটিয়ে দিয়েছেন ১৭ বছর। সূত্র জানায়, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সহযোগিতায় তিনি এই দীর্ঘসময় কক্সবাজারে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বদলির বিধান থাকা সত্ত্বেও ঢাকা এবং চট্টগ্রামের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এক জেলায় দুই পদ দখল করে রেখেছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট রাখতে তিনি নিয়মিত কক্সবাজার থেকে কাঁচা মাছ ও শুঁটকি পাঠান। অফিস কম্পাউন্ডে প্রায়ই আস্ত ছাগল জবাই করে রাতের পার্টির আয়োজন করেন। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী বাদল কান্তি দে, যিনি অবসর নেওয়ার পরও মাস্টার রোলের মাধ্যমে বেতন পাচ্ছেন। এছাড়াও রাতে বিনোদনের নামে অবৈধ কর্মকা- চালানোর অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১-২% কমিশন আদায় করে ভুয়া বিল উত্তোলন করেন। ত্রুটিপূর্ণ কাজ করেও তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিল পরিশোধ করে দেন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, একজন কর্মচারী অতিরিক্ত দায়িত্বে মাত্র এক-দুই মাস থাকতে পারেন। কিন্তু আসাদুজ্জামান ১৭ বছর ধরে ক্যাশিয়ারের পদও ভোগ করছেন। এমনকি এই সময়ের মধ্যে দুইজন ক্যাশিয়ার পোস্টিং পেলেও তারা দায়িত্ব বুঝে পাননি, বরং হয়রানির শিকার হয়ে বদলি হয়ে গেছেন। সরকারি চাকরিতে ৩ থেকে ৫ বছর পরপর বদলির নিয়ম থাকলেও আসাদুজ্জামান এই নিয়ম মানেননি।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বদলি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। তার নিজের একাধিক ব্যাংক হিসাব রয়েছে, যেখানে নিয়মিত অবৈধ লেনদেন হয়। আঁখি ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর আজম খান বলেন, আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় ও আদালতে দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ঘুষ, টেন্ডারবাজি, অর্থ আত্মসাৎ ও ঠিকাদারদের হয়রানির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন একই পদে থাকার সুবাদে ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিল উত্তোলনের নামে ঘুষও নেন তিনি। অফিসের সরবরাহ কাজ এবং টেন্ডারসহ সবকিছুতে তার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত হত্যা মামলা ও অন্যান্য অভিযোগ সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইবনে মায়াজ প্রামাণিক জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি, তাই কিছু বলতে পারবো না। অভিযোগ থাকলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আলী আজগর বলেন, এই ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুর রহমান বলেন, এক ব্যক্তি কিভাবে দুই পদে বহাল থাকতে পারেন? যদি তার বিরুদ্ধে কোন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

back to top