নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আ. হালিম নামের এক শ্রমিক লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।সোমবার রাতে আষাঢ়িয়ারচর গ্রামে হামলার এই ঘটনা ঘটে। হামলায় ৪ নারী আহত হয়েছেন। হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে মনির হোসেন নামের বিএনপির এক নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর ওইদিন সন্ধ্যায় সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে সারোয়ার, মনির, রিফাত, সজিব, রুবেলসহ স্থানীয় বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র নিয়ে উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চল শাখার শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য আ. হালিমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আ. হালিমকে কুপিয়ে আহত করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তারপর থেকে শ্রমিক লীগ নেতা হালিম পরিবারসহ আত্মগোপনে চলে যান। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় আ. হালিমের স্ত্রী বাড়িতে আসার খবরে রাতেই পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে সারোয়ার, মনির হোসেন, রিফাত, রুবেলসহ তাদের লোকজন শ্রমিক লীগ নেতা হালিমের বাড়িতে আবারও অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘরের দরজা জানালা ফ্রিজ, খাট, সোকেসসহ আসবাবপত্র ভঙচুর করে চেয়ার, টেবিল, ফ্যান, টিভি ও তিনটি সাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। বিএনপি নেতাদের হামলায় মিনারা বেগম, রিয়া আক্তার, মাকসুদা ও মনোয়ারা বেগম নামের ৪ নারী আহত হন। এ সময় শ্রমিক লীগ নেতা হালিমের স্ত্রী আহত মিনারা বেগম জরুরিসেবা সেন্টার ৯৯৯ তে ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মনির হোসেন নামের এক বিএনপি নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে রহস্যজনক কারণে আটককৃতকে ছেড়ে দেন ওসি। থানা বিএনপির এক শীর্ষ নেতা রাতে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। আহত মিনারা বেগম জানান, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে হামলাকারীরা। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তারা। রমজান উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় সন্তানসহ বাড়িতে আসার খবরে বিএনপি নেতা আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে তার লোকজন হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে আমাদের আহত করেছে। পুলিশ একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এই বিষয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল ঘটনাস্থলে ছিলেন না দাবি করে জানান, হালিমের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী বিএনপির নেতাকর্মীদের গালাগাল করায় এই ঘটনা ঘটেছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি এম এ বারী জানান, মনির হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়েছিল। তবে কোনো অভিযোগকারী না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে ওই এলাকায় কোন হামলা ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মুচলেকা রাখা হয়েছে।
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আ. হালিম নামের এক শ্রমিক লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।সোমবার রাতে আষাঢ়িয়ারচর গ্রামে হামলার এই ঘটনা ঘটে। হামলায় ৪ নারী আহত হয়েছেন। হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে মনির হোসেন নামের বিএনপির এক নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর ওইদিন সন্ধ্যায় সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে সারোয়ার, মনির, রিফাত, সজিব, রুবেলসহ স্থানীয় বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র নিয়ে উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চল শাখার শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য আ. হালিমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আ. হালিমকে কুপিয়ে আহত করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তারপর থেকে শ্রমিক লীগ নেতা হালিম পরিবারসহ আত্মগোপনে চলে যান। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় আ. হালিমের স্ত্রী বাড়িতে আসার খবরে রাতেই পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে সারোয়ার, মনির হোসেন, রিফাত, রুবেলসহ তাদের লোকজন শ্রমিক লীগ নেতা হালিমের বাড়িতে আবারও অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘরের দরজা জানালা ফ্রিজ, খাট, সোকেসসহ আসবাবপত্র ভঙচুর করে চেয়ার, টেবিল, ফ্যান, টিভি ও তিনটি সাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। বিএনপি নেতাদের হামলায় মিনারা বেগম, রিয়া আক্তার, মাকসুদা ও মনোয়ারা বেগম নামের ৪ নারী আহত হন। এ সময় শ্রমিক লীগ নেতা হালিমের স্ত্রী আহত মিনারা বেগম জরুরিসেবা সেন্টার ৯৯৯ তে ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মনির হোসেন নামের এক বিএনপি নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে রহস্যজনক কারণে আটককৃতকে ছেড়ে দেন ওসি। থানা বিএনপির এক শীর্ষ নেতা রাতে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। আহত মিনারা বেগম জানান, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে হামলাকারীরা। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তারা। রমজান উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় সন্তানসহ বাড়িতে আসার খবরে বিএনপি নেতা আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে তার লোকজন হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে আমাদের আহত করেছে। পুলিশ একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এই বিষয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল ঘটনাস্থলে ছিলেন না দাবি করে জানান, হালিমের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী বিএনপির নেতাকর্মীদের গালাগাল করায় এই ঘটনা ঘটেছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি এম এ বারী জানান, মনির হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়েছিল। তবে কোনো অভিযোগকারী না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে ওই এলাকায় কোন হামলা ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মুচলেকা রাখা হয়েছে।