পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ইলিশ শিকারে নেমে জেলেরা হতাশ হচ্ছেন। আশানুরূপ মাছ না পেয়ে তাদের কষ্টই বৃথা হয়ে যাচ্ছে। জেলেরা নদীতে জাল ফেলার পর কোন ইলিশ মাছ পাচ্ছে না। ফলে জেলেরা হতাশ হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সাগর ও নদীতে ডুবোচরের কারণে মাছের গতিপথ বদলে গেছে। কাংখিত মাছ না পেয়ে জেলেরা বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে ঝুঁকছেন।
উপজেলার গোলখালী মৎস্য ঘাট ও বাঁশবাড়িয়া ঘাটসহ হাট-বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীর পাড়ে অনেক জেলে বসে আছেন। কেউ মাছ ধরতে জাল নিয়ে নদীতে যাচ্ছেন।
আবার কেউ জাল ফেলে তেমন মাছ না পেয়ে নদীর পাড়ে চুপচাপ বসে আছেন।
নিষেধাজ্ঞা শেষে যেখানে জালভর্তি মাছ পেয়ে জেলেদের মুখে সব সময় হাসির ঝিলিক লেগে থাকার কথা, সেখানে জেলের মুখ হয়ে আছে মলিন।
কারণ, নদীতে ইলিশ শিকারের আয়োজনে তাদের খরচের টাকাই উঠছে না। উপজেলার গোলখালী এলাকা থেকে মধ্যরাতে মাছ ধরতে নদীতে নামেন জামাল হোসেনসহ চার জন এক নৌকায়। রাতে তিনটি ‘খেও’ (জাল ফেলে) দেয়ার পর অল্প কিছু পোয়া মাছ ও রাম ছোর পেয়ে ঘাটে এসে নোঙর করে দুশ্চিন্তায় বসে আছে।
জামাল বলেন, অভিযান (নিষেধাজ্ঞার) সময় আমরা নদীতে মাছ ধরতে যাই নাই। ওই সময় গেলে মাছ বেশি পাইতাম। অভিযান (নিষেধাজ্ঞা) শেষে নদীতে নেমে দেহি কোনো মাছ নেই। রাত ভর তিন খেপ দিয়া মাত্র ৭-৯ কেজি পোয়া আর ছোর মাছ পাইছি। তাও সব ছোট মাছ আর ১৮০ টাকা কেজি দরে বেচেছি। কি আর করমু। মনডা বেশি ভালা নাই। তাই চুপচাপ বইসা আছি।
বাজারে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে অনেক ইলিশ ধরা পড়বে ভেবে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন কিনতে এসেছেন বাজারে। না পেয়ে তারা হতাশ মুখে ফিরে যাচ্ছেন। অধিকাংশ মাছের আড়ৎ ঘরের সামনে ডালায় সামান্য কিছু মাছ দেখা যায়।
ক্রেতাদের ভিড়ে মাছের বাজারও বেশ চড়া। মৎস্য ব্যবসায়ী বাঁশবাড়িয়া ঘাটে মিরাজ খাঁ বলেন, ‘অন্যান্য বছর নিষেধাজ্ঞার পড়েও অনেক ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ত।
গত বছর অনেক মাছ বেচাকেনা করেছি। ভালো মাছ ধরা পড়বে এই আশায় অনেকে ধার দেনা করে জাল ও নৌকা নামিয়েছি। নদীতে নেমে মাছ না পেয়ে আমরা হতাশ হচ্ছি।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নদীতে মাছের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ইলিশ শিকারে নেমে জেলেরা হতাশ হচ্ছেন। আশানুরূপ মাছ না পেয়ে তাদের কষ্টই বৃথা হয়ে যাচ্ছে। জেলেরা নদীতে জাল ফেলার পর কোন ইলিশ মাছ পাচ্ছে না। ফলে জেলেরা হতাশ হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সাগর ও নদীতে ডুবোচরের কারণে মাছের গতিপথ বদলে গেছে। কাংখিত মাছ না পেয়ে জেলেরা বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে ঝুঁকছেন।
উপজেলার গোলখালী মৎস্য ঘাট ও বাঁশবাড়িয়া ঘাটসহ হাট-বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীর পাড়ে অনেক জেলে বসে আছেন। কেউ মাছ ধরতে জাল নিয়ে নদীতে যাচ্ছেন।
আবার কেউ জাল ফেলে তেমন মাছ না পেয়ে নদীর পাড়ে চুপচাপ বসে আছেন।
নিষেধাজ্ঞা শেষে যেখানে জালভর্তি মাছ পেয়ে জেলেদের মুখে সব সময় হাসির ঝিলিক লেগে থাকার কথা, সেখানে জেলের মুখ হয়ে আছে মলিন।
কারণ, নদীতে ইলিশ শিকারের আয়োজনে তাদের খরচের টাকাই উঠছে না। উপজেলার গোলখালী এলাকা থেকে মধ্যরাতে মাছ ধরতে নদীতে নামেন জামাল হোসেনসহ চার জন এক নৌকায়। রাতে তিনটি ‘খেও’ (জাল ফেলে) দেয়ার পর অল্প কিছু পোয়া মাছ ও রাম ছোর পেয়ে ঘাটে এসে নোঙর করে দুশ্চিন্তায় বসে আছে।
জামাল বলেন, অভিযান (নিষেধাজ্ঞার) সময় আমরা নদীতে মাছ ধরতে যাই নাই। ওই সময় গেলে মাছ বেশি পাইতাম। অভিযান (নিষেধাজ্ঞা) শেষে নদীতে নেমে দেহি কোনো মাছ নেই। রাত ভর তিন খেপ দিয়া মাত্র ৭-৯ কেজি পোয়া আর ছোর মাছ পাইছি। তাও সব ছোট মাছ আর ১৮০ টাকা কেজি দরে বেচেছি। কি আর করমু। মনডা বেশি ভালা নাই। তাই চুপচাপ বইসা আছি।
বাজারে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে অনেক ইলিশ ধরা পড়বে ভেবে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন কিনতে এসেছেন বাজারে। না পেয়ে তারা হতাশ মুখে ফিরে যাচ্ছেন। অধিকাংশ মাছের আড়ৎ ঘরের সামনে ডালায় সামান্য কিছু মাছ দেখা যায়।
ক্রেতাদের ভিড়ে মাছের বাজারও বেশ চড়া। মৎস্য ব্যবসায়ী বাঁশবাড়িয়া ঘাটে মিরাজ খাঁ বলেন, ‘অন্যান্য বছর নিষেধাজ্ঞার পড়েও অনেক ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ত।
গত বছর অনেক মাছ বেচাকেনা করেছি। ভালো মাছ ধরা পড়বে এই আশায় অনেকে ধার দেনা করে জাল ও নৌকা নামিয়েছি। নদীতে নেমে মাছ না পেয়ে আমরা হতাশ হচ্ছি।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নদীতে মাছের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।