দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : অযত্নে অবহেলায় ফুটে উঠা প্রকৃতির অপরূপ শোভা দানকারী শিমুল ফুল -সংবাদ
শীতের পরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমনি বার্তা বয়ে আনে শিমুল ফুল। গ্রাম বাংলার অনেক মানুষ ক্যালেন্ডারের তারিখ গণনা করতে না পারলেও অযত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠা শিমুল গাছে ফুল আসলেই তারা বলতে পারে ফাগুন মাস এসেছে। গাঢ় লাল রঙের পাপড়ি আর সবুজ রঙের বোটায় আবৃত্ত এক অপরূপ ফুলের নাম শিমুল ফুল। এ ফুলের গন্ধ না থাকলেও মৌমাছিরা মধু আহরণ করার জন্য ফুলের উপর বসে গুনগুন শব্দ করে পুরো এলাকায় জানান দেয়। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জনপদে শীতের পরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমনি বার্তায় গাছে গাছে ফুটেছে লাল শিমুল ফুল।
উপজেলা সদরের ইসমাইল হোসেন বলেন, মাঘ মাসে শিমুল গাছে ফুলের কুঁড়ি আসে। শিমুল কুঁড়ি দিন দিন বড় হয়ে মাঘের শেষে কুঁড়ি থেকে ফুটে বের হয় লাল শিমুল ফুল। গ্রাম বাংলার অনেক মানুষ ক্যালেন্ডারের তারিখ গণনা করতে না পারলেও অযতেœ অবহেলায় বেড়ে উঠা শিমুল গাছে ফুল আসলেই তারা বলতে পারে ফাগুন মাস এসেছে এই বাংলার বুকে। গ্রামীণ জনপদের প্রকৃতির অপরূপ শোভা শিমুল ফুল যুগ যুগ ধরে গ্রাম-বাংলার পথে ঘাটে নদ-নদীর ধার, ঝোপ-ঝাড়, জঙ্গল, পুকুর পাড় পথে ঘাটে ফাঁকা মাঠে পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ে শিমুল। হালকা বাতাসে পথ চলতে শিমুল ফুলে মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায় সৌন্দর্যে। যুগ যুগ ধরে অযত্নে অবহেলা বেড়ে উঠা শিমুল গাছে শিমুল ফুলে একবার চোখ পড়লে বার বার দেখতে ইচ্ছে জাগে। চিরচেনা এ ফুলের দিকে তাকালে এখন মনে পড়ে পুরাতন দিনের অনেক স্মৃতি
আবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ইউছুফ আলী বলেন, এক সময় গ্রামের পথে ঘাটে শিমুল ফুল ফুটতো। তা ছিল চোখে পড়ার মত দৃশ্য। শিমুল গাছ বেশ বড় হলেও এর কাঠ তেমন শক্ত হয় না। এর কাঠ শুধুমাত্র জালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে শিমুল তুলা কাপড়, বালিশ-লেপ বানানোসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রতিবছর পতিত জমি ওয়ারেশদের মধ্যে ভাগ বন্টনের কারণে শিমুল গাছ কমতে শুরু করেছে। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি, নদ-নদী কুল কিনার জমি, পতিত স্থান ও উঁচু জমি হ্রাস পাওয়ায় শিমুল গাছ কমে যাচ্ছে। ফলে প্রকৃতির অপরূপ শোভা দানকারী ও সৌন্দর্যের প্রতীক শিমুল গাছ এখন কমতির পথে। আজও এখনও চলতে পথে রাস্তার দুপাশে রেল লাইনের ধারে অযত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠা প্রাকৃতিক অবদানে ফুটে উঠে চির চেনা সেই শিমুল ফুল।
একাধিক সচেতমহল বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় শিমুল ফুলের অবদান রয়েছে। এ ফুল সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার ফলে সবার মন খুশি থাকে। শিমুল ফুল শোভাদানকারী সবার প্রিয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দাবিদার শিমুল ফুল অযত্নে অবহেলায় জন্ম নেয়। ব্যক্তি পর্যায়ে শিমুল গাছ সংরক্ষণে কৃষকদের মাঝে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সেই সঙ্গে জমির মালিক, সরকারি দপ্তরের বনবিভাগ ও বেসরকারি পর্যায়ে সংরক্ষণ করতে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে দ্রুত এগিয়ে আসলে আবারও জেগে উঠবে মাঠজুড়ে শিমুল গাছ। নচেৎ একদিন হারিয়ে যাবে প্রকৃতির অপরূপ শোভা দানকারী ও সৌন্দর্যের প্রতীক শিমুল ফুল।
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : অযত্নে অবহেলায় ফুটে উঠা প্রকৃতির অপরূপ শোভা দানকারী শিমুল ফুল -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শীতের পরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমনি বার্তা বয়ে আনে শিমুল ফুল। গ্রাম বাংলার অনেক মানুষ ক্যালেন্ডারের তারিখ গণনা করতে না পারলেও অযত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠা শিমুল গাছে ফুল আসলেই তারা বলতে পারে ফাগুন মাস এসেছে। গাঢ় লাল রঙের পাপড়ি আর সবুজ রঙের বোটায় আবৃত্ত এক অপরূপ ফুলের নাম শিমুল ফুল। এ ফুলের গন্ধ না থাকলেও মৌমাছিরা মধু আহরণ করার জন্য ফুলের উপর বসে গুনগুন শব্দ করে পুরো এলাকায় জানান দেয়। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জনপদে শীতের পরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমনি বার্তায় গাছে গাছে ফুটেছে লাল শিমুল ফুল।
উপজেলা সদরের ইসমাইল হোসেন বলেন, মাঘ মাসে শিমুল গাছে ফুলের কুঁড়ি আসে। শিমুল কুঁড়ি দিন দিন বড় হয়ে মাঘের শেষে কুঁড়ি থেকে ফুটে বের হয় লাল শিমুল ফুল। গ্রাম বাংলার অনেক মানুষ ক্যালেন্ডারের তারিখ গণনা করতে না পারলেও অযতেœ অবহেলায় বেড়ে উঠা শিমুল গাছে ফুল আসলেই তারা বলতে পারে ফাগুন মাস এসেছে এই বাংলার বুকে। গ্রামীণ জনপদের প্রকৃতির অপরূপ শোভা শিমুল ফুল যুগ যুগ ধরে গ্রাম-বাংলার পথে ঘাটে নদ-নদীর ধার, ঝোপ-ঝাড়, জঙ্গল, পুকুর পাড় পথে ঘাটে ফাঁকা মাঠে পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ে শিমুল। হালকা বাতাসে পথ চলতে শিমুল ফুলে মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায় সৌন্দর্যে। যুগ যুগ ধরে অযত্নে অবহেলা বেড়ে উঠা শিমুল গাছে শিমুল ফুলে একবার চোখ পড়লে বার বার দেখতে ইচ্ছে জাগে। চিরচেনা এ ফুলের দিকে তাকালে এখন মনে পড়ে পুরাতন দিনের অনেক স্মৃতি
আবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ইউছুফ আলী বলেন, এক সময় গ্রামের পথে ঘাটে শিমুল ফুল ফুটতো। তা ছিল চোখে পড়ার মত দৃশ্য। শিমুল গাছ বেশ বড় হলেও এর কাঠ তেমন শক্ত হয় না। এর কাঠ শুধুমাত্র জালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে শিমুল তুলা কাপড়, বালিশ-লেপ বানানোসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রতিবছর পতিত জমি ওয়ারেশদের মধ্যে ভাগ বন্টনের কারণে শিমুল গাছ কমতে শুরু করেছে। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি, নদ-নদী কুল কিনার জমি, পতিত স্থান ও উঁচু জমি হ্রাস পাওয়ায় শিমুল গাছ কমে যাচ্ছে। ফলে প্রকৃতির অপরূপ শোভা দানকারী ও সৌন্দর্যের প্রতীক শিমুল গাছ এখন কমতির পথে। আজও এখনও চলতে পথে রাস্তার দুপাশে রেল লাইনের ধারে অযত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠা প্রাকৃতিক অবদানে ফুটে উঠে চির চেনা সেই শিমুল ফুল।
একাধিক সচেতমহল বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় শিমুল ফুলের অবদান রয়েছে। এ ফুল সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার ফলে সবার মন খুশি থাকে। শিমুল ফুল শোভাদানকারী সবার প্রিয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দাবিদার শিমুল ফুল অযত্নে অবহেলায় জন্ম নেয়। ব্যক্তি পর্যায়ে শিমুল গাছ সংরক্ষণে কৃষকদের মাঝে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সেই সঙ্গে জমির মালিক, সরকারি দপ্তরের বনবিভাগ ও বেসরকারি পর্যায়ে সংরক্ষণ করতে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে দ্রুত এগিয়ে আসলে আবারও জেগে উঠবে মাঠজুড়ে শিমুল গাছ। নচেৎ একদিন হারিয়ে যাবে প্রকৃতির অপরূপ শোভা দানকারী ও সৌন্দর্যের প্রতীক শিমুল ফুল।