কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছে। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার পর উপজেলার গুণবতী ডিগ্রি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে দুটি স্তম্ভ ভাঙা দেখতে পান স্থানীয়রা, যা নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
জানা গেছে, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য বৃহস্পতিবার গুণবতী কলেজের শহীদ মিনার সাজানো হয়। রাত ১২টার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বিএনপিসহ কয়েকটি সংগঠন ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তবে রাত ২টার পর দুর্বৃত্তরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলে।
শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম মীর হোসেন ও থানা পুলিশ। এছাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান ও গুণবতী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতারাও ঘটনাস্থলে যান।
গুণবতী ডিগ্রি কলেজের নৈশপ্রহরী সামছুল আলম বলেন, “রাত ২টার পর শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভাঙার আওয়াজ শুনেছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে গিয়ে কাউকে দেখতে পাইনি।”
গুণবতী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য একটি পক্ষ শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
গুণবতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ইউসুফ মেম্বার বলেন, “দুর্বৃত্তরা গুণবতীর শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করতেই শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছে। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান বলেন, “শহীদ মিনার আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক। রাতের আঁধারে শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
গুণবতী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ বলেন, “কে বা কারা রাতের আঁধারে শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলেছে, তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিলাল উদ্দিন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। তবে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় দোষীদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছে। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার পর উপজেলার গুণবতী ডিগ্রি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে দুটি স্তম্ভ ভাঙা দেখতে পান স্থানীয়রা, যা নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
জানা গেছে, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য বৃহস্পতিবার গুণবতী কলেজের শহীদ মিনার সাজানো হয়। রাত ১২টার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বিএনপিসহ কয়েকটি সংগঠন ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তবে রাত ২টার পর দুর্বৃত্তরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলে।
শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম মীর হোসেন ও থানা পুলিশ। এছাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান ও গুণবতী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতারাও ঘটনাস্থলে যান।
গুণবতী ডিগ্রি কলেজের নৈশপ্রহরী সামছুল আলম বলেন, “রাত ২টার পর শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভাঙার আওয়াজ শুনেছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে গিয়ে কাউকে দেখতে পাইনি।”
গুণবতী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য একটি পক্ষ শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
গুণবতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ইউসুফ মেম্বার বলেন, “দুর্বৃত্তরা গুণবতীর শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করতেই শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছে। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান বলেন, “শহীদ মিনার আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক। রাতের আঁধারে শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
গুণবতী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ বলেন, “কে বা কারা রাতের আঁধারে শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলেছে, তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিলাল উদ্দিন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। তবে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় দোষীদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”