মুন্সীগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের তৃষ্ণা মিটানোর লক্ষ্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছেন। এরই অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের অষ্টম তলা থেকে শুরু করে নিচতলা পর্যন্ত প্রতিটি তলায় একটি করে ফিল্টার পানির যন্ত্র বসিয়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় সুপেয় পানির উদ্বোধন করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন। এখন থেকে ভবনের প্রতিটি তলায় আসা বিচারপ্রার্থীদের তৃষ্ণা মিটানোর জন্য আর দূরে কোথাও যেতে হবে না।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম জানান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে সব ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালতের কর্মচারীদের সহযোগিতায় এ সুপেয় পনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীরা পানি পান করে তৃষ্ণা মিটাতে পারবে।
উদ্বোধনের পর ভবনটির দ্বিতীয় তলায় দেখা গেছে, আবুল কাশেম নামে এক প্রবীণ ব্যক্তি তার ছেলেকে দেখার জন্য গারদখানায় এসেছেন। এ সময় তিনি পানির ফিল্টার থেকে পানি পান করেন। তিনি বলেন, এই প্রথম দেখলেন আদালতে সাধারণ মানুষের জন্য পানি খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারাই এ ব্যবস্থা করেছেন, তারা উপরওয়ালার কাছ থেকে অনেক অনেক পুণ্য পাবেন। বিষয়টি তার খুব ভালো লেগেছে।
সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোতা মিয়া বলেন, এটি মহৎ একটি উদ্যোগ। বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, দেশের অন্যান্য অফিসের তুলনায় আদালতে বেশি মানুষের আনাগোনা। আদালতে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাই এসব মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই তারা যাতে বিনামূল্যে সুপেয় পানি খেতে পারে, এর ছোট একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামীতে আরও উদ্যোগ বাস্তবায়নে তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সুপেয় পানির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হোসাইন রনি, মানিক দাস, রহিমা আক্তারসহ আইনজীবী সমিতির অন্য আইনজীবীরা।
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মুন্সীগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের তৃষ্ণা মিটানোর লক্ষ্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছেন। এরই অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের অষ্টম তলা থেকে শুরু করে নিচতলা পর্যন্ত প্রতিটি তলায় একটি করে ফিল্টার পানির যন্ত্র বসিয়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় সুপেয় পানির উদ্বোধন করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন। এখন থেকে ভবনের প্রতিটি তলায় আসা বিচারপ্রার্থীদের তৃষ্ণা মিটানোর জন্য আর দূরে কোথাও যেতে হবে না।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম জানান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে সব ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালতের কর্মচারীদের সহযোগিতায় এ সুপেয় পনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীরা পানি পান করে তৃষ্ণা মিটাতে পারবে।
উদ্বোধনের পর ভবনটির দ্বিতীয় তলায় দেখা গেছে, আবুল কাশেম নামে এক প্রবীণ ব্যক্তি তার ছেলেকে দেখার জন্য গারদখানায় এসেছেন। এ সময় তিনি পানির ফিল্টার থেকে পানি পান করেন। তিনি বলেন, এই প্রথম দেখলেন আদালতে সাধারণ মানুষের জন্য পানি খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারাই এ ব্যবস্থা করেছেন, তারা উপরওয়ালার কাছ থেকে অনেক অনেক পুণ্য পাবেন। বিষয়টি তার খুব ভালো লেগেছে।
সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোতা মিয়া বলেন, এটি মহৎ একটি উদ্যোগ। বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, দেশের অন্যান্য অফিসের তুলনায় আদালতে বেশি মানুষের আনাগোনা। আদালতে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাই এসব মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই তারা যাতে বিনামূল্যে সুপেয় পানি খেতে পারে, এর ছোট একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামীতে আরও উদ্যোগ বাস্তবায়নে তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সুপেয় পানির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হোসাইন রনি, মানিক দাস, রহিমা আক্তারসহ আইনজীবী সমিতির অন্য আইনজীবীরা।