মুরাদনগর (কুমিল্লা) : পাকা রাস্তা সংস্কার কাজে এ ধরনের লাল মাটি ও নিম্নমানের সুরকি ব্যবহার করা হচ্ছে -সংবাদ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর-নেয়ামতপুর সড়কের মোচাগড়া চেয়ারম্যান বাড়ীর মোড় থেকে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত পাকা রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫/২০ দিন যাবত রাস্তা সংস্কারের কাজ অনিয়ম ভাবেই করে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এবং তাদের চোখের সামনেই ঠিকাদার লালমাটি ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে।
জানা গেছে, উপজেলার বাখরনগর-নেয়ামতপুর সড়কটির কার্পেটিং উঠে রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়। এতে দুর্ভোগে পরেন স্থানীয় লোকজনসহ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ। জনগণকে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে মোচাগড়া চেয়ারম্যান বাড়ীর মোড় থেকে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত ৩৭০ মিটার পাকা রাস্তা সংস্কার করার জন্য এলজিইডি থেকে টেন্ডার দেয়া হয়। এতে প্রক্কলিত মূল্য ধরা হয় ১৭ লাখ ৫৪ লক্ষ ১০৬ টাকা। এর মধ্যে কাজটির চুক্তিমূল্য ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪শ টাকা। ওই টেন্ডারে মেসার্স মুন্সী এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। এরপর রাস্তার পুরাতন ইট তুলে রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করেন মোঃ মুন্সী রুবেল আহাম্মদ নামে ঠিকাদার।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ বোরহান উদ্দিন ও কার্য সহকারী মজিবুর রহমানের চোখের সামনেই মিঠা ইট ও নিম্নমানের সামগ্রী রাস্তায় ফালানো হচ্ছে। কর্মকর্তাদের রহস্যজনক ভূমিকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ফলে রাস্তা বেশিদিন টিকসই হবে না বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইকবাল হোসেন ও এমদাদ মিয়াসহ আরো কয়েকজন জানায়, শুরু থেকেই কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। পুরাতন ইটের উপরেই রাস্তায় রোলার করেছে। রাস্তা ঘেষেই মাটি কাটা হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই মিঠা ইট ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে যাচ্ছে। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট একাধিকবার অভিযোগ করার পরও প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গেনি বলে এলাকাবাসী জানায়।।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজের ঠিকাদার মোঃ মুন্সী রুবেল আহাম্মদ বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার মামা সবুর ভুইয়া জানে। কাজটি আমার না, সবুর ভুইয়ার।
মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। কোথায় কি হচ্ছে না হচ্ছে কোন তথ্য নিতে পারিনি। ২/১ দিনের মধ্যে রাস্তাটির কাজ দেখতে যাব। কোর প্রকার অনিয়মের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মুরাদনগর (কুমিল্লা) : পাকা রাস্তা সংস্কার কাজে এ ধরনের লাল মাটি ও নিম্নমানের সুরকি ব্যবহার করা হচ্ছে -সংবাদ
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর-নেয়ামতপুর সড়কের মোচাগড়া চেয়ারম্যান বাড়ীর মোড় থেকে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত পাকা রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫/২০ দিন যাবত রাস্তা সংস্কারের কাজ অনিয়ম ভাবেই করে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এবং তাদের চোখের সামনেই ঠিকাদার লালমাটি ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে।
জানা গেছে, উপজেলার বাখরনগর-নেয়ামতপুর সড়কটির কার্পেটিং উঠে রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়। এতে দুর্ভোগে পরেন স্থানীয় লোকজনসহ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ। জনগণকে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে মোচাগড়া চেয়ারম্যান বাড়ীর মোড় থেকে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত ৩৭০ মিটার পাকা রাস্তা সংস্কার করার জন্য এলজিইডি থেকে টেন্ডার দেয়া হয়। এতে প্রক্কলিত মূল্য ধরা হয় ১৭ লাখ ৫৪ লক্ষ ১০৬ টাকা। এর মধ্যে কাজটির চুক্তিমূল্য ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪শ টাকা। ওই টেন্ডারে মেসার্স মুন্সী এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। এরপর রাস্তার পুরাতন ইট তুলে রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করেন মোঃ মুন্সী রুবেল আহাম্মদ নামে ঠিকাদার।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ বোরহান উদ্দিন ও কার্য সহকারী মজিবুর রহমানের চোখের সামনেই মিঠা ইট ও নিম্নমানের সামগ্রী রাস্তায় ফালানো হচ্ছে। কর্মকর্তাদের রহস্যজনক ভূমিকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ফলে রাস্তা বেশিদিন টিকসই হবে না বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইকবাল হোসেন ও এমদাদ মিয়াসহ আরো কয়েকজন জানায়, শুরু থেকেই কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। পুরাতন ইটের উপরেই রাস্তায় রোলার করেছে। রাস্তা ঘেষেই মাটি কাটা হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই মিঠা ইট ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে যাচ্ছে। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট একাধিকবার অভিযোগ করার পরও প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গেনি বলে এলাকাবাসী জানায়।।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজের ঠিকাদার মোঃ মুন্সী রুবেল আহাম্মদ বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার মামা সবুর ভুইয়া জানে। কাজটি আমার না, সবুর ভুইয়ার।
মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। কোথায় কি হচ্ছে না হচ্ছে কোন তথ্য নিতে পারিনি। ২/১ দিনের মধ্যে রাস্তাটির কাজ দেখতে যাব। কোর প্রকার অনিয়মের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।