দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ের তেল চুরির সংঘবদ্ধ চক্রটি ফের সক্রিয় হয়ে তেল চুরি শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে, চক্রটি পুনরায় শুরু করেছে পুর্বের ন্যায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর চার লাইনের জংশনের বিভিন্ন পয়েন্টে লোকোমোটিভ থেকে তেল চুরি। এর সাথে জড়িত রেলওয়ে লোকোমোটিভ এর বেশ কিছু অসাধু ড্রাইভার ও কতিপয় সেড কর্মকর্তা, চোর চক্র, নতুন গডফাদার ও সংস্থা বিশেষ। রাতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখা একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রের ভিত্তিতে রেলস্টেশনের দক্ষিণ দিকে প্রায় কোয়াটার কিলোমিটার দুরে মনিরিয়া স্কুলের পাশে আবাসিক রাস্তার গলি থেকে ৯ জার্কিং ডিজেল তেল আটক করে। প্রতি জার্কিংয়ের তেল ধারন ক্ষমতা প্রায় ৪০থেকে ৫০ লিটার। তবে একটি জার্কিং খালি ছিল বলে নিরাপত্তা বাহিনী সুত্র জানায়।
এই ব্যাপারে নিরাপত্তা বাহিনীর পার্বতীপুর গোয়েন্দা শাখার সাব ইন্সপেক্টর এসকেন্দার আলীর সাথে কথা হলে বলেন, এখানে আমি নতুন এসেছি। ইতোমধ্যে তেল চুরির সংবাদ পাওয়ায় অভিযান চালাচ্ছি। চোর পালিয়ে গেছে মাল উদ্ধার সহ দক্ষিণের স্পট চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তদন্ত চলছে চোর চক্রটিকে আটক ও ব্যবস্থা নেয়ার। তবে তার সন্দেহের তীর পার্বতীপুরের পুরোনো সিন্ডিকেট টির দিকে মর্মে ইংগিত করেন। রেলওয়ে কর্মচারী সাইদুর রহমানের সাথে কথা হলে জানান, ফের শুরু হয়ে গেছে পার্বতীপুরে লোকোমোটিভ থেকে রেলের তেল চুরির মহোৎসব। ১১ ফেব্রুয়ারীর ঘটনা তদন্তে রেলওয়ের উদ্ধতন দুজন কর্মকর্তা সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে লোকেসেড ইনচার্জ কাফিউল ইসলামের সাথে কথা হলে তেল চুরির কোন সংবাদ তিনি জানেন না বলে জানান এবং আরো বলেন, এই প্রথম সংবাদটি তিনি জানলেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা উত্তর পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনের আশেপাশে এবং লোকোসেডের পশ্চিম ও পুর্বপাশে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রেলের তেল চুরি হয়ে আসছিল। এসব নিয়ে মামলাও হোত চুরিও চলতো। ২০২২ সালের প্রথম দিকে এ চুরির আকার লেজেগোবরে রুপ নিলে সবকটি পয়েন্টে তেলচুরি বন্ধ হয়ে যায়। তৎকালীন গডফাদার সংস্থা বিশেষ এবং অসাধু লোকো মাষ্টারদের স্বার্থ বিঘিœত হলেও সুশীল সমাজের কিছু মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। কিন্তু সে অবস্থা ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বলে নাম না প্রকাশে স্বার্থে এক রেলওয়ে কর্মকর্তার দাবি জানিয়ে বলেন- সেই সময়কার রেলের তেল চুরির পয়েন্ট গুলো হচ্ছে পার্বতীপুর স্টেশন থেকে দিনাজপুর লাইনের নামা পাড়া, হলদিবাড়ি রেলগেট, বেলাইচন্ডি ভবানীপুর স্টেশন, গণকবর রেললাইন এবং দক্ষিণ পাড়া সান্টিং ইয়ার্ডের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ের তেল চুরির সংঘবদ্ধ চক্রটি ফের সক্রিয় হয়ে তেল চুরি শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে, চক্রটি পুনরায় শুরু করেছে পুর্বের ন্যায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর চার লাইনের জংশনের বিভিন্ন পয়েন্টে লোকোমোটিভ থেকে তেল চুরি। এর সাথে জড়িত রেলওয়ে লোকোমোটিভ এর বেশ কিছু অসাধু ড্রাইভার ও কতিপয় সেড কর্মকর্তা, চোর চক্র, নতুন গডফাদার ও সংস্থা বিশেষ। রাতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখা একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রের ভিত্তিতে রেলস্টেশনের দক্ষিণ দিকে প্রায় কোয়াটার কিলোমিটার দুরে মনিরিয়া স্কুলের পাশে আবাসিক রাস্তার গলি থেকে ৯ জার্কিং ডিজেল তেল আটক করে। প্রতি জার্কিংয়ের তেল ধারন ক্ষমতা প্রায় ৪০থেকে ৫০ লিটার। তবে একটি জার্কিং খালি ছিল বলে নিরাপত্তা বাহিনী সুত্র জানায়।
এই ব্যাপারে নিরাপত্তা বাহিনীর পার্বতীপুর গোয়েন্দা শাখার সাব ইন্সপেক্টর এসকেন্দার আলীর সাথে কথা হলে বলেন, এখানে আমি নতুন এসেছি। ইতোমধ্যে তেল চুরির সংবাদ পাওয়ায় অভিযান চালাচ্ছি। চোর পালিয়ে গেছে মাল উদ্ধার সহ দক্ষিণের স্পট চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তদন্ত চলছে চোর চক্রটিকে আটক ও ব্যবস্থা নেয়ার। তবে তার সন্দেহের তীর পার্বতীপুরের পুরোনো সিন্ডিকেট টির দিকে মর্মে ইংগিত করেন। রেলওয়ে কর্মচারী সাইদুর রহমানের সাথে কথা হলে জানান, ফের শুরু হয়ে গেছে পার্বতীপুরে লোকোমোটিভ থেকে রেলের তেল চুরির মহোৎসব। ১১ ফেব্রুয়ারীর ঘটনা তদন্তে রেলওয়ের উদ্ধতন দুজন কর্মকর্তা সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে লোকেসেড ইনচার্জ কাফিউল ইসলামের সাথে কথা হলে তেল চুরির কোন সংবাদ তিনি জানেন না বলে জানান এবং আরো বলেন, এই প্রথম সংবাদটি তিনি জানলেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা উত্তর পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনের আশেপাশে এবং লোকোসেডের পশ্চিম ও পুর্বপাশে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রেলের তেল চুরি হয়ে আসছিল। এসব নিয়ে মামলাও হোত চুরিও চলতো। ২০২২ সালের প্রথম দিকে এ চুরির আকার লেজেগোবরে রুপ নিলে সবকটি পয়েন্টে তেলচুরি বন্ধ হয়ে যায়। তৎকালীন গডফাদার সংস্থা বিশেষ এবং অসাধু লোকো মাষ্টারদের স্বার্থ বিঘিœত হলেও সুশীল সমাজের কিছু মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। কিন্তু সে অবস্থা ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বলে নাম না প্রকাশে স্বার্থে এক রেলওয়ে কর্মকর্তার দাবি জানিয়ে বলেন- সেই সময়কার রেলের তেল চুরির পয়েন্ট গুলো হচ্ছে পার্বতীপুর স্টেশন থেকে দিনাজপুর লাইনের নামা পাড়া, হলদিবাড়ি রেলগেট, বেলাইচন্ডি ভবানীপুর স্টেশন, গণকবর রেললাইন এবং দক্ষিণ পাড়া সান্টিং ইয়ার্ডের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।