নাসিরনগরে ইয়াবা বিক্রির টাকার বিরোধের জেরে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে নারী-পুরুষ, শিশুসহ প্রায় শতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলা এবং লুটপাটেরও অভিযোগ উঠেছে। আহতের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর থেকে দুই পক্ষ মুখমুখি অবস্থানে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের কামাল দিঘী পাড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ফান্দাউক গ্রামের শাহজানের ছেলে রুবেল শাহ একজন চিহ্নিত মাদককারবারি। একই গ্রামের আজদন মিয়ার ছেলে শাফায়েত মিয়া রুবেলের কাছ থেকে কিছু ইয়াবা কেনেন। এই নিয়ে কিছুদিন পর পর পাওনাদারদের সাথে বাকবিতন্ড হয়। এর জের ধরে বুধবার রাত ১০টায় মাদককারবারি রুবেল শাহ এবং শাফায়েতের আত্বীয় পারভেজ মিয়ার মধ্যে মাদকের টাকা নিয়ে বাকবিতন্ড হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ ৭০ জন আহত হন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে পশুর হাটে যাওয়ার সময় শাফায়েতের পক্ষের মারুফ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় রুবেল শাহের লোকজন। এ সময় দুই পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যান। এতে আরো ৪০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় শাফায়েতের পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা এবং লুটপাটেরও অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রুবেল মাদকের টাকা নিয়ে দ-ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বড় ভাই নাইম শাহ পাশের বাড়ির শাফায়েত এবং পারভেজের কাছে ৭০ হাজার টাকা পান। সেই টাকা ফেরত চাওয়ায় আমাদের ওপরে হামলা করেন শাফায়েতের লোকজন। পরপর দুই দফা হামলায় নারীসহ আমাদের ৭০ তেকে ৮০ জন লোক আহত হয়েছেন।
এই বিষয়ে কথা হলে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের পর দুই পক্ষের আহতরাই হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। বুধবার রাত ১০টার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার ফের সংঘর্ষ হওয়ার পর দুই পক্ষের লোকজন আবারও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসছেন। নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম বলেন, পাওনা টাকা নিয়ে তাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। মাদকের টাকা নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি আমার জানা নেই। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে।
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নাসিরনগরে ইয়াবা বিক্রির টাকার বিরোধের জেরে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে নারী-পুরুষ, শিশুসহ প্রায় শতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলা এবং লুটপাটেরও অভিযোগ উঠেছে। আহতের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর থেকে দুই পক্ষ মুখমুখি অবস্থানে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের কামাল দিঘী পাড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ফান্দাউক গ্রামের শাহজানের ছেলে রুবেল শাহ একজন চিহ্নিত মাদককারবারি। একই গ্রামের আজদন মিয়ার ছেলে শাফায়েত মিয়া রুবেলের কাছ থেকে কিছু ইয়াবা কেনেন। এই নিয়ে কিছুদিন পর পর পাওনাদারদের সাথে বাকবিতন্ড হয়। এর জের ধরে বুধবার রাত ১০টায় মাদককারবারি রুবেল শাহ এবং শাফায়েতের আত্বীয় পারভেজ মিয়ার মধ্যে মাদকের টাকা নিয়ে বাকবিতন্ড হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ ৭০ জন আহত হন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে পশুর হাটে যাওয়ার সময় শাফায়েতের পক্ষের মারুফ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় রুবেল শাহের লোকজন। এ সময় দুই পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যান। এতে আরো ৪০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় শাফায়েতের পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা এবং লুটপাটেরও অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রুবেল মাদকের টাকা নিয়ে দ-ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বড় ভাই নাইম শাহ পাশের বাড়ির শাফায়েত এবং পারভেজের কাছে ৭০ হাজার টাকা পান। সেই টাকা ফেরত চাওয়ায় আমাদের ওপরে হামলা করেন শাফায়েতের লোকজন। পরপর দুই দফা হামলায় নারীসহ আমাদের ৭০ তেকে ৮০ জন লোক আহত হয়েছেন।
এই বিষয়ে কথা হলে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের পর দুই পক্ষের আহতরাই হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। বুধবার রাত ১০টার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার ফের সংঘর্ষ হওয়ার পর দুই পক্ষের লোকজন আবারও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসছেন। নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম বলেন, পাওনা টাকা নিয়ে তাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। মাদকের টাকা নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি আমার জানা নেই। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে।