ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের লক্ষীমোড়া সীমান্তে কাটাতারের বেড়ার এপারে অবস্থিত জমিতে চাষাবাদে আপত্তি জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। একইসঙ্গে তারা সীমান্তের কিছু জমির মালিকানা দাবি করেছে। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় যে, বিরোধপূর্ণ জমিগুলোতে কোনো পক্ষই চাষাবাদ করতে পারবে না। এছাড়া জমির সীমানা ও মালিকানা নির্ধারণে পরিমাপের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী লক্ষীপুর গ্রামের কিছু জমিতে বাংলাদেশিরা সবজি ও ধান চাষ করে। এসব জমি মূলত ভারতীয় নাগরিকদের। তবে কাটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে আসতে না পারায় তারা জমিগুলো বাংলাদেশিদের কাছে বর্গা দিয়ে রাখে। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশিরা এসব জমিতে চাষাবাদ করে আসছে। বিনিময়ে তারা ভারতীয় মালিকদের ফসলের একটি অংশ প্রদান করে। গত ১৭ ফেব্রুয়ালী (সোমবার) বিএসএফ এসব জমিতে চাষাবাদে বাধা দেয় এবং কিছু সবজি ও ধানক্ষেত নষ্ট করে ফেলে। এই ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে বাংলাদেশের কর্ণেল বাজার বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) সীমান্তে কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন গঙ্গাসাগর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মোর্শেদুল হক। এই বিষয়ে তিনি গত ২০ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সাংবাদিকদেরকে বলেন, বিএসএফ চাইছে না যে তাদের জমিতে বাংলাদেশিরা কেউ বর্গা চাষ করুক। তারা কিছু জমি নিজেদের বলে দাবি করেছেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে, আপাতত কেউ এখানে কোন প্রকার চাষাবাদ করবেন না। এছাড়া পরিমাপের মাধ্যমে জমির সীমানা এবং মালিকানা নির্ধারণ করা হবে।
এই ঘটনায় স্থানীয় কৃষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, বছরের পর বছর ধরে তারা এসব জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। এখন চাষাবাদ বন্ধ হলে তাদের জীবিকা সংকটে পড়বে। উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং জমির সীমানা ও মালিকানা নির্ধারণে পরিমাপের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা আশাবাদী যে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই বিরোধের সমাধান হবে এবং তাদের চাষাবাদে কোনো বিঘœ ঘটবে না।
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের লক্ষীমোড়া সীমান্তে কাটাতারের বেড়ার এপারে অবস্থিত জমিতে চাষাবাদে আপত্তি জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। একইসঙ্গে তারা সীমান্তের কিছু জমির মালিকানা দাবি করেছে। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় যে, বিরোধপূর্ণ জমিগুলোতে কোনো পক্ষই চাষাবাদ করতে পারবে না। এছাড়া জমির সীমানা ও মালিকানা নির্ধারণে পরিমাপের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী লক্ষীপুর গ্রামের কিছু জমিতে বাংলাদেশিরা সবজি ও ধান চাষ করে। এসব জমি মূলত ভারতীয় নাগরিকদের। তবে কাটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে আসতে না পারায় তারা জমিগুলো বাংলাদেশিদের কাছে বর্গা দিয়ে রাখে। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশিরা এসব জমিতে চাষাবাদ করে আসছে। বিনিময়ে তারা ভারতীয় মালিকদের ফসলের একটি অংশ প্রদান করে। গত ১৭ ফেব্রুয়ালী (সোমবার) বিএসএফ এসব জমিতে চাষাবাদে বাধা দেয় এবং কিছু সবজি ও ধানক্ষেত নষ্ট করে ফেলে। এই ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে বাংলাদেশের কর্ণেল বাজার বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) সীমান্তে কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন গঙ্গাসাগর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মোর্শেদুল হক। এই বিষয়ে তিনি গত ২০ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সাংবাদিকদেরকে বলেন, বিএসএফ চাইছে না যে তাদের জমিতে বাংলাদেশিরা কেউ বর্গা চাষ করুক। তারা কিছু জমি নিজেদের বলে দাবি করেছেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে, আপাতত কেউ এখানে কোন প্রকার চাষাবাদ করবেন না। এছাড়া পরিমাপের মাধ্যমে জমির সীমানা এবং মালিকানা নির্ধারণ করা হবে।
এই ঘটনায় স্থানীয় কৃষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, বছরের পর বছর ধরে তারা এসব জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। এখন চাষাবাদ বন্ধ হলে তাদের জীবিকা সংকটে পড়বে। উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং জমির সীমানা ও মালিকানা নির্ধারণে পরিমাপের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা আশাবাদী যে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই বিরোধের সমাধান হবে এবং তাদের চাষাবাদে কোনো বিঘœ ঘটবে না।