রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : ড্রেজার দিয়ে ব্রহ্মপুত্র থেকে বালু তোলা চলছে -সংবাদ
রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ব্রহ্মপুত্র নদ ও ব্রহ্মপুত্র শাখা নদী পাখিউড়া থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার, ভেকু (এক্সিভিকেটর) দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে। প্রকাশ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও প্রভাবশালীর প্রভাবে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালু উত্তোলনে পকেট ভারি করায় ব্যস্ত।
জানা যায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকিতে পড়তে হয় নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের। এসব বালু ট্রাক্টর (কাকড়া) দিয়ে পরিবহন করায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও গ্রামীন রাস্তাঘাট। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কোদালকাটি গ্রামের আমিনুর রহমান মাস্টার, পাখিউড়ার এমদাদুল হক ও শফিসহ শক্তিশালি একটি চক্র। (বিএনপির নেতা বলে কথা)। যে কারণে স্থানীয়রা প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ বলেন, যে ভাবে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে নদী থেকে সমতল মাটি গর্ত করে কেটে নিয়ে বিক্রি করে পকেট ভরছে বালু খেকোদের। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বন্যার সময় নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়বে নদীর তীরবর্তির মানুষজন। এতে বিলিন হয়ে যাবে ঘরবাড়ি, জমাজমি, গাছপালা। পরে স্ত্রী সন্তান গরু, ছাগল নিয়ে বাচাঁর তাগিতে অন্যত্র যেতে হয়।
ব্রহ্মপুত্র নদ কোদালকাটি ও ব্রহ্মপুত্র শাখা নদী পাখিউড়া থেকে আমিনুর রহমান মাস্টার, এমদাদুল হক ও শফিসহ অনেকেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। ড্রেজারে উত্তোলিত বালু ও ভেকু দিয়ে উত্তোলিত বালু ট্রাক্টর (কাকড়া) গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।
পাখিউড়া বাজারের স্থানীয় লোকজন বলেন, অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদসহ অন্য নদীগুলো ভাঙনের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে বর্ষায় উক্ত এলাকা বন্যা ও নদীভাঙন দেখা দেয়। এমন কাঁকড়া গাড়ি চলাচলের ফলে রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে রাস্তায় চলাচলে কচিকাঁচা শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সব মানুষের চলাচলে বিঘœীত হচ্ছে। ধুলাবালি লেগে সর্দি কাশির মতো রোগ হচ্ছে। এ কাঁকড়া গাড়ির আঘাতে মাঝে মধ্যে মানুষ মৃত্যু ও আহতর মতো ঘটনাও ঘটছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করে দিলেও প্রভাবশালি মহল এগুলো বন্ধ রাখে না।
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ভেকু মালিক শফি আহমেদ বলেন, আমার একটা ভেকু চলমান রয়েছে। কাকড়া গাড়ির মাধ্যমে সায়দাবাদ বিভিন্ন ভাটায় মাটি দিচ্ছি।
ড্রেজার মালিক এমদাদুল হক ও আমিনুর রহমান মাস্টার বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন বাড়ির ভিটা মাটি উঁচু করার জন্য এ মাটি নিচ্ছে মানুষ। এতে তো ক্ষতি হচ্ছে না, বরং উন্নয়ন হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভির আহমেদ বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে বিষয়টি দেখছি।
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : ড্রেজার দিয়ে ব্রহ্মপুত্র থেকে বালু তোলা চলছে -সংবাদ
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ব্রহ্মপুত্র নদ ও ব্রহ্মপুত্র শাখা নদী পাখিউড়া থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার, ভেকু (এক্সিভিকেটর) দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে। প্রকাশ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও প্রভাবশালীর প্রভাবে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালু উত্তোলনে পকেট ভারি করায় ব্যস্ত।
জানা যায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকিতে পড়তে হয় নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের। এসব বালু ট্রাক্টর (কাকড়া) দিয়ে পরিবহন করায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও গ্রামীন রাস্তাঘাট। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কোদালকাটি গ্রামের আমিনুর রহমান মাস্টার, পাখিউড়ার এমদাদুল হক ও শফিসহ শক্তিশালি একটি চক্র। (বিএনপির নেতা বলে কথা)। যে কারণে স্থানীয়রা প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ বলেন, যে ভাবে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে নদী থেকে সমতল মাটি গর্ত করে কেটে নিয়ে বিক্রি করে পকেট ভরছে বালু খেকোদের। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বন্যার সময় নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়বে নদীর তীরবর্তির মানুষজন। এতে বিলিন হয়ে যাবে ঘরবাড়ি, জমাজমি, গাছপালা। পরে স্ত্রী সন্তান গরু, ছাগল নিয়ে বাচাঁর তাগিতে অন্যত্র যেতে হয়।
ব্রহ্মপুত্র নদ কোদালকাটি ও ব্রহ্মপুত্র শাখা নদী পাখিউড়া থেকে আমিনুর রহমান মাস্টার, এমদাদুল হক ও শফিসহ অনেকেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। ড্রেজারে উত্তোলিত বালু ও ভেকু দিয়ে উত্তোলিত বালু ট্রাক্টর (কাকড়া) গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।
পাখিউড়া বাজারের স্থানীয় লোকজন বলেন, অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদসহ অন্য নদীগুলো ভাঙনের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে বর্ষায় উক্ত এলাকা বন্যা ও নদীভাঙন দেখা দেয়। এমন কাঁকড়া গাড়ি চলাচলের ফলে রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে রাস্তায় চলাচলে কচিকাঁচা শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সব মানুষের চলাচলে বিঘœীত হচ্ছে। ধুলাবালি লেগে সর্দি কাশির মতো রোগ হচ্ছে। এ কাঁকড়া গাড়ির আঘাতে মাঝে মধ্যে মানুষ মৃত্যু ও আহতর মতো ঘটনাও ঘটছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করে দিলেও প্রভাবশালি মহল এগুলো বন্ধ রাখে না।
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ভেকু মালিক শফি আহমেদ বলেন, আমার একটা ভেকু চলমান রয়েছে। কাকড়া গাড়ির মাধ্যমে সায়দাবাদ বিভিন্ন ভাটায় মাটি দিচ্ছি।
ড্রেজার মালিক এমদাদুল হক ও আমিনুর রহমান মাস্টার বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন বাড়ির ভিটা মাটি উঁচু করার জন্য এ মাটি নিচ্ছে মানুষ। এতে তো ক্ষতি হচ্ছে না, বরং উন্নয়ন হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভির আহমেদ বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে বিষয়টি দেখছি।