রংপুরের বদরগঞ্জে ভুট্টা ক্ষেত থেকে দগ্ধ ও হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শান্তনা বেগম (৩০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কারীরঘাট এলাকার ব্রহ্মণপাড়া সংলগ্ন একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার নাম পরিচয় জানা না গেলেও পরে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শান্তনা বেগমের বাবার বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচণ্ডী ইউনিয়নের কইফুলকি গ্রামে। তার বাবার নাম আলমগীর।
ক’বছর আগে তার বিয়ে হয় বদরগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের মৌয়াগাছ এলাকার স্কুলপাড়ার আবুজারের ছেলে মোহাম্মদ আলীর সাথে।
তাদের দু’বছরের একটি সন্তান রয়েছে। পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ আলী আরেকটি বিয়ে করে ওই স্ত্রী নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে থাকেন। আর শান্তনা বেগম সন্তানকে সাথে নিয়ে রংপুরের তারাগঞ্জে এক বান্ধবীসহ বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। বুধবার শান্তনা সকালে সন্তানকে বান্ধবীর কাছে রেখে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তার লাশ মেলে ভুট্টা ক্ষেতে।
কিন্তু কি কারণে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হল সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারেননি।
এলাকার লোকজন ও পুলিশের ধারণা- তাকে হত্যার পর তার পরিচয় গোপণ করতে মরদেহ দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এরপর লাশ ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে দেয়া হলে রাতে তার একটি হাত ক্ষুধার্ত শেয়ালে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায়।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় বদরগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি একেএম আতিকুর রহমান বলেন, শান্তনার অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা ঢাকা থেকে আসছেন। তারা আসলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, লাশ থানা হেফাজতেই রয়েছে।
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রংপুরের বদরগঞ্জে ভুট্টা ক্ষেত থেকে দগ্ধ ও হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শান্তনা বেগম (৩০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কারীরঘাট এলাকার ব্রহ্মণপাড়া সংলগ্ন একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার নাম পরিচয় জানা না গেলেও পরে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শান্তনা বেগমের বাবার বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচণ্ডী ইউনিয়নের কইফুলকি গ্রামে। তার বাবার নাম আলমগীর।
ক’বছর আগে তার বিয়ে হয় বদরগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের মৌয়াগাছ এলাকার স্কুলপাড়ার আবুজারের ছেলে মোহাম্মদ আলীর সাথে।
তাদের দু’বছরের একটি সন্তান রয়েছে। পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ আলী আরেকটি বিয়ে করে ওই স্ত্রী নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে থাকেন। আর শান্তনা বেগম সন্তানকে সাথে নিয়ে রংপুরের তারাগঞ্জে এক বান্ধবীসহ বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। বুধবার শান্তনা সকালে সন্তানকে বান্ধবীর কাছে রেখে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তার লাশ মেলে ভুট্টা ক্ষেতে।
কিন্তু কি কারণে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হল সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারেননি।
এলাকার লোকজন ও পুলিশের ধারণা- তাকে হত্যার পর তার পরিচয় গোপণ করতে মরদেহ দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এরপর লাশ ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে দেয়া হলে রাতে তার একটি হাত ক্ষুধার্ত শেয়ালে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায়।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় বদরগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি একেএম আতিকুর রহমান বলেন, শান্তনার অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা ঢাকা থেকে আসছেন। তারা আসলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, লাশ থানা হেফাজতেই রয়েছে।