পটুয়াখালীর কলাপাড়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. জেএইচ খান লেলিনের অপসারণের দাবিতে হাসপাতাল গেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কড়া নিরাপত্তায় শনিবার চিকিৎসা নিতে হয়েছে রোগীদের। এ সময় হাসপাতালের অন্যন্য কর্মচারীদের মধ্যেও দেখা গেছে আতঙ্ক। গত এক সপ্তাহ ধরে ডাক্তার লেলিনের অপসারণ ও তার শাস্তির দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে ছাত্র জনতা। তবে আন্দোলনের কারণে ছুটি নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন স্বাস্থ্য প্রশাসক। আন্দোলনকারীদের দাবি, জুলাই অভ্যুত্থানের বিতর্কিত ভূমিকা ছিল ডা. লেলিনের। তাই তাকে শাস্তির আওতায় আনতেই হবে। হাসপাতাল গেটে নিরাপত্তায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আন্দোলনের মধ্যেও রোগীরা যাতে নির্বিঘেœ চিকিৎসা সেবা পায় সে লক্ষে তারা কাজ করছেন।
দে দে মরন কামড় দে। আর দেরি করিস না। অস্তিত্বে শেখ হাসিনা। ২৪ সালের ২১ জুলাই পটুয়াখালীর কলাপাড়া হাসপাতালের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা, জেএইচ খান লেলিনের ফেসবুক স্টাটাস কে ঘিরে উত্তপ্ত কলাপাড়া। তাকে অপসারণের দাবিতে ছাত্র জনতা ও তার অপচিকিৎসার শিকার রোগীর স্বজনরা ফেব্রুয়ারি মাসজ জুড়ে আন্দোলন করে আসছে।
শনিবার সকাল থেকে ছাত্র জনতা একই দাবিতে কলাপাড়া হাসপাতাল সামনের গেটে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ না করলেও হাসপাতালের অন্য চিকিৎসা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিল অনেকটা ভীতসন্ত্রস্ত। যেখানে প্রতিদিন আউটডোরে শতশত রোগের চিকিৎসা নেয়, আন্দোলনের কারণে হাসপাতালে রোগীদের উপস্থিতি ছিল কম। আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান কর্মসূচী, মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কলাপাড়া পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভে শতশত মানুষ অংশ নিয়ে লেলিনের শাস্তির দাবি জানান। পরে আবার প্রেসক্লাবের সামনে দ্বিতীয়বার সমাবেশ করে। যদিও আন্দোলনের খবর টের পেয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি একদিনের ছুটি নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন সদ্য নিযুক্ত স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাক্তার লেলিন। তার নিজস্ব অফিস ও চেম্বার ছিল তালাবদ্ধ।
আন্দোলনকারীরা বলেন, গত ১৪ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদে কলাপড়াকে চিকিৎসা বাণিজ্যালয় বানিয়েছে ডাক্তার লেলিন। তার নিজের রয়েছে একাধিক ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের তার ক্লিনিক ও নির্দিষ্ট হাসপাতালে টেস্ট করাতে বাধ্য করে আসছেন। এমনকি তার হাতে একাধিক গর্ভবতী মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে আদালতে। তবুও অদৃশ্য শক্তির জোরে বহাল তবিয়তে ছিলেন ডাক্তার লেলিন। তাই আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে অবিলম্বে স্বাস্থ্য প্রশাসকের পর থেকে পদত্যাগ ও তার বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী চিহ্নিত করে মামলা দায়ের না হলে কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। ডা. লেলিনের অপচিকিৎসার শিকার রোগী ও রোগীর স্বজনরা বলেন, অপারেশন টেবিল থেকে চিকিৎসা। তার অপচিকিৎসায় তারা তাদের স্বজনদের হারিয়েছেন। তাই তার শাস্তির দাবি করেন।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আল ইমরান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী হিসেবে একজন চিহ্নিত স্বৈরাচার কলাপাড়া হাসপাতালে স্বাস্থ্য প্রশাসক পদে থাকতে পারে না। তাকে অবিলম্বে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে বিভাগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল বিভাগের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান রাফি বলেন, শুধু তাকে অপসারণ করলেই হবে না, তার হাতে নিহত রোগীর স্বজনদের ক্ষতিপূরণ ও তার সকল অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের দাবি করেন।
শনিবার সকাল থেকে আন্দোলনে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার রোগী ও হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় হাসপাতাল গেটে নিয়োজিত ছিল সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুটি টিম। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এ জন্য ছিল এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনটাই জানালেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট ও কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি)ইয়াসিন সাদেক। তবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে দুপুরের পর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক ছিল বলে জানান।
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পটুয়াখালীর কলাপাড়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. জেএইচ খান লেলিনের অপসারণের দাবিতে হাসপাতাল গেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কড়া নিরাপত্তায় শনিবার চিকিৎসা নিতে হয়েছে রোগীদের। এ সময় হাসপাতালের অন্যন্য কর্মচারীদের মধ্যেও দেখা গেছে আতঙ্ক। গত এক সপ্তাহ ধরে ডাক্তার লেলিনের অপসারণ ও তার শাস্তির দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে ছাত্র জনতা। তবে আন্দোলনের কারণে ছুটি নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন স্বাস্থ্য প্রশাসক। আন্দোলনকারীদের দাবি, জুলাই অভ্যুত্থানের বিতর্কিত ভূমিকা ছিল ডা. লেলিনের। তাই তাকে শাস্তির আওতায় আনতেই হবে। হাসপাতাল গেটে নিরাপত্তায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আন্দোলনের মধ্যেও রোগীরা যাতে নির্বিঘেœ চিকিৎসা সেবা পায় সে লক্ষে তারা কাজ করছেন।
দে দে মরন কামড় দে। আর দেরি করিস না। অস্তিত্বে শেখ হাসিনা। ২৪ সালের ২১ জুলাই পটুয়াখালীর কলাপাড়া হাসপাতালের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা, জেএইচ খান লেলিনের ফেসবুক স্টাটাস কে ঘিরে উত্তপ্ত কলাপাড়া। তাকে অপসারণের দাবিতে ছাত্র জনতা ও তার অপচিকিৎসার শিকার রোগীর স্বজনরা ফেব্রুয়ারি মাসজ জুড়ে আন্দোলন করে আসছে।
শনিবার সকাল থেকে ছাত্র জনতা একই দাবিতে কলাপাড়া হাসপাতাল সামনের গেটে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ না করলেও হাসপাতালের অন্য চিকিৎসা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিল অনেকটা ভীতসন্ত্রস্ত। যেখানে প্রতিদিন আউটডোরে শতশত রোগের চিকিৎসা নেয়, আন্দোলনের কারণে হাসপাতালে রোগীদের উপস্থিতি ছিল কম। আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান কর্মসূচী, মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কলাপাড়া পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভে শতশত মানুষ অংশ নিয়ে লেলিনের শাস্তির দাবি জানান। পরে আবার প্রেসক্লাবের সামনে দ্বিতীয়বার সমাবেশ করে। যদিও আন্দোলনের খবর টের পেয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি একদিনের ছুটি নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন সদ্য নিযুক্ত স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাক্তার লেলিন। তার নিজস্ব অফিস ও চেম্বার ছিল তালাবদ্ধ।
আন্দোলনকারীরা বলেন, গত ১৪ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদে কলাপড়াকে চিকিৎসা বাণিজ্যালয় বানিয়েছে ডাক্তার লেলিন। তার নিজের রয়েছে একাধিক ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের তার ক্লিনিক ও নির্দিষ্ট হাসপাতালে টেস্ট করাতে বাধ্য করে আসছেন। এমনকি তার হাতে একাধিক গর্ভবতী মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে আদালতে। তবুও অদৃশ্য শক্তির জোরে বহাল তবিয়তে ছিলেন ডাক্তার লেলিন। তাই আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে অবিলম্বে স্বাস্থ্য প্রশাসকের পর থেকে পদত্যাগ ও তার বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী চিহ্নিত করে মামলা দায়ের না হলে কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। ডা. লেলিনের অপচিকিৎসার শিকার রোগী ও রোগীর স্বজনরা বলেন, অপারেশন টেবিল থেকে চিকিৎসা। তার অপচিকিৎসায় তারা তাদের স্বজনদের হারিয়েছেন। তাই তার শাস্তির দাবি করেন।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আল ইমরান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী হিসেবে একজন চিহ্নিত স্বৈরাচার কলাপাড়া হাসপাতালে স্বাস্থ্য প্রশাসক পদে থাকতে পারে না। তাকে অবিলম্বে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে বিভাগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল বিভাগের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান রাফি বলেন, শুধু তাকে অপসারণ করলেই হবে না, তার হাতে নিহত রোগীর স্বজনদের ক্ষতিপূরণ ও তার সকল অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের দাবি করেন।
শনিবার সকাল থেকে আন্দোলনে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার রোগী ও হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় হাসপাতাল গেটে নিয়োজিত ছিল সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুটি টিম। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এ জন্য ছিল এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনটাই জানালেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট ও কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি)ইয়াসিন সাদেক। তবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে দুপুরের পর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক ছিল বলে জানান।