সিরাজগঞ্জ : দাম ভালো পাওয়ায় সব ক্লান্তি ঝেড়ে সরিষা এনে মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
ভালো দাম পাওয়ায় সব ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে সরিষা ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের কৃষকরা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বাড়তি লাভের আশায় সরিষা চাষ করছেন জেলার কৃষকরা। সরিষা তুলেই চাষ করবেন বোরো ধানের আবাদ। কৃষক সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর জেলায় ৮৭ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। জেলর উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও তাড়াশে দেশের সবচেয়ে বেশি সরিষা আবাদ হয়েছে যা গতবছর ছিল ৮৫ হাজার ১৭০ হেক্টর।
জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লাপাড়ায় এবার সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার ৬৭০ হেক্টর আবাদ হয়েছে ২৪ হাজার ৫৭০ হেক্টর। এছাড়া তাড়াশ ও শাহজাদপুর উপজেলাতেও বিগত সময়ের চেয়ে সরিষার আবাদ বেড়েছে। জেলায় আবাদকৃত সরিষার মধ্যে বারি ১৪, ১৭, ১৮ বিনা ৪, ৯ এবং টরি ৭ জাতের সরিষা আবাদ করা হয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী গ্রামের কৃষক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এ বছর তিনি ১৫ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি মন সরিষা ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২শ টাকা বিক্রী হচ্ছে।
রায়গঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গারপাড়া গ্রামের আরেক কৃষক বলেন, সরিষার কারণে কিছুটা দেরি হলেও বোরো ধান চাষাবাদে তেমন সমস্যা নেই। জমি খালি না রেখে সরিষা চাষ করার পরেও বোরো ধান চাষ করা যাচ্ছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমি বলেন, এ বছর এই উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আরও জানান এই উপজেলায় এ বছর সরিষা চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ২৩৬১৫ হেক্টর জমিতে কিন্তু আবাদ হয়েছে ২৪৫৭০ হেক্টর।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে জন্য আমরা সরিষার চাষাবাদ বৃদ্ধি করতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি।
এ বছর জেলায় ৮৭ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের সরিষা চাষে সার, বীজ প্রণদনা প্রদান করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ : দাম ভালো পাওয়ায় সব ক্লান্তি ঝেড়ে সরিষা এনে মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ভালো দাম পাওয়ায় সব ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে সরিষা ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের কৃষকরা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বাড়তি লাভের আশায় সরিষা চাষ করছেন জেলার কৃষকরা। সরিষা তুলেই চাষ করবেন বোরো ধানের আবাদ। কৃষক সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর জেলায় ৮৭ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। জেলর উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও তাড়াশে দেশের সবচেয়ে বেশি সরিষা আবাদ হয়েছে যা গতবছর ছিল ৮৫ হাজার ১৭০ হেক্টর।
জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লাপাড়ায় এবার সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার ৬৭০ হেক্টর আবাদ হয়েছে ২৪ হাজার ৫৭০ হেক্টর। এছাড়া তাড়াশ ও শাহজাদপুর উপজেলাতেও বিগত সময়ের চেয়ে সরিষার আবাদ বেড়েছে। জেলায় আবাদকৃত সরিষার মধ্যে বারি ১৪, ১৭, ১৮ বিনা ৪, ৯ এবং টরি ৭ জাতের সরিষা আবাদ করা হয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী গ্রামের কৃষক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এ বছর তিনি ১৫ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি মন সরিষা ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২শ টাকা বিক্রী হচ্ছে।
রায়গঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গারপাড়া গ্রামের আরেক কৃষক বলেন, সরিষার কারণে কিছুটা দেরি হলেও বোরো ধান চাষাবাদে তেমন সমস্যা নেই। জমি খালি না রেখে সরিষা চাষ করার পরেও বোরো ধান চাষ করা যাচ্ছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমি বলেন, এ বছর এই উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আরও জানান এই উপজেলায় এ বছর সরিষা চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ২৩৬১৫ হেক্টর জমিতে কিন্তু আবাদ হয়েছে ২৪৫৭০ হেক্টর।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে জন্য আমরা সরিষার চাষাবাদ বৃদ্ধি করতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি।
এ বছর জেলায় ৮৭ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের সরিষা চাষে সার, বীজ প্রণদনা প্রদান করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।