দশমিনা (পটুয়াখালী) : নিষিদ্ধ জালে ধরা মাছের পোনা -সংবাদ
পটুয়াখালীর উপকূলীয় দশমিনা উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ইলিশের পোনাসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ নির্বিচারে মারা পড়ছে।
অসাধু জেলেরা নিষিদ্ধ জাল দিয়ে নির্বিচারে চাপিলা ইলিশের পোনা নিধন করছে। এই সব অসাধু জেলেরা ইলিশের পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন ও হাট বাজারে এমনকি পাড়া মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। পাড়া মহল্লায় এমনকি হাট-বাজারে এই পোনাগুলো চাপিলা মাছ বলে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। এভাবে ইলিশের পোনা নিধন হতে থাকলে আসামি মৌসুমে নদীতে ইলিশ মাছের চরম সঙ্কট দেখা দিবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর এলাকাজুড়ে বাধা ও বেহুন্দী নামে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জেলেরা মাছের পোনা শিকার করছে। এইসব জালের ফাঁস আধা ইঞ্চি থেকে পৌনে এক ইঞ্চি। এমন ফাঁসের জাল দিয়ে জেলেরা অবাধে ইলিশ, পোয়া ও চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ শিকার করছে যা হাট বাজার এমনকি পাড়া মহল্লায় ভ্যানগাড়িতে করে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার সত্যে বাঁশবাড়িয়া ও কাটাখালী গ্রামের একাধিক জেলে অভিযোগ করে বলেন, জাটকা বিক্রি ও ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও মৎস্য বিভাগের নজরদারি বা অভিযান না থাকায় ইলিশের পোনাসহ নানা জাতের মাছের পোনা নিধন ও বাজারজাত করছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারে নিয়েও তারা বিক্রি করছে জাটকা নামের পরিচিত ইলিশের এই পোনা।
যদিও বিক্রি করার সময় জেলেরা এই পোনাকে চাপিলা নামে বিক্রি করছে। এই জাটকা পরবর্তীতে শুঁটকি বানিয়েও বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন কী পরিমাণ পোনা মাছ নিধন হচ্ছে তা নিজের চোখে না দেখলে কল্পনার করা কঠিন। প্রশাসন যদি ভালো করে নজরদারি না করে তাহলে আগামীতে ইলিশ মাছ রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট বাজারের মাছের আড়তদার মো. মিরাজ খান বলেন, অসাধু কিছু জেলে তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে চাপিলা নামে পরিচিত ইলিশের পোনা নিধন করছে।
নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করে কর্তব্য শেষ করছে মৎস্য বিভাগ। যে কারণে প্রজননকালীন ইলিশ রক্ষায় সরকারের নেয়া উদ্যোগ ভেস্তে যেতে চলছে।
এই উপজেলায় কিছু অসাধু জেলে রয়েছে যারা অবৈধ জাল দিয়ে ছোট মাছগুলো ধ্বংস করছে। নদীতে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযান চলমান থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। আর গত কয়েক দিনে অবৈধ ১৪টি বেহেন্দী জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
দশমিনা (পটুয়াখালী) : নিষিদ্ধ জালে ধরা মাছের পোনা -সংবাদ
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পটুয়াখালীর উপকূলীয় দশমিনা উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ইলিশের পোনাসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ নির্বিচারে মারা পড়ছে।
অসাধু জেলেরা নিষিদ্ধ জাল দিয়ে নির্বিচারে চাপিলা ইলিশের পোনা নিধন করছে। এই সব অসাধু জেলেরা ইলিশের পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন ও হাট বাজারে এমনকি পাড়া মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। পাড়া মহল্লায় এমনকি হাট-বাজারে এই পোনাগুলো চাপিলা মাছ বলে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। এভাবে ইলিশের পোনা নিধন হতে থাকলে আসামি মৌসুমে নদীতে ইলিশ মাছের চরম সঙ্কট দেখা দিবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর এলাকাজুড়ে বাধা ও বেহুন্দী নামে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জেলেরা মাছের পোনা শিকার করছে। এইসব জালের ফাঁস আধা ইঞ্চি থেকে পৌনে এক ইঞ্চি। এমন ফাঁসের জাল দিয়ে জেলেরা অবাধে ইলিশ, পোয়া ও চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ শিকার করছে যা হাট বাজার এমনকি পাড়া মহল্লায় ভ্যানগাড়িতে করে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার সত্যে বাঁশবাড়িয়া ও কাটাখালী গ্রামের একাধিক জেলে অভিযোগ করে বলেন, জাটকা বিক্রি ও ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও মৎস্য বিভাগের নজরদারি বা অভিযান না থাকায় ইলিশের পোনাসহ নানা জাতের মাছের পোনা নিধন ও বাজারজাত করছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারে নিয়েও তারা বিক্রি করছে জাটকা নামের পরিচিত ইলিশের এই পোনা।
যদিও বিক্রি করার সময় জেলেরা এই পোনাকে চাপিলা নামে বিক্রি করছে। এই জাটকা পরবর্তীতে শুঁটকি বানিয়েও বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন কী পরিমাণ পোনা মাছ নিধন হচ্ছে তা নিজের চোখে না দেখলে কল্পনার করা কঠিন। প্রশাসন যদি ভালো করে নজরদারি না করে তাহলে আগামীতে ইলিশ মাছ রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট বাজারের মাছের আড়তদার মো. মিরাজ খান বলেন, অসাধু কিছু জেলে তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে চাপিলা নামে পরিচিত ইলিশের পোনা নিধন করছে।
নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করে কর্তব্য শেষ করছে মৎস্য বিভাগ। যে কারণে প্রজননকালীন ইলিশ রক্ষায় সরকারের নেয়া উদ্যোগ ভেস্তে যেতে চলছে।
এই উপজেলায় কিছু অসাধু জেলে রয়েছে যারা অবৈধ জাল দিয়ে ছোট মাছগুলো ধ্বংস করছে। নদীতে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযান চলমান থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। আর গত কয়েক দিনে অবৈধ ১৪টি বেহেন্দী জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।