লালমাই (কুমিল্লা) : রাস্তার কাজ শেষ করার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজের বাগমারা ও আলিশ্বর অংশের কোন অগ্রগতি নেই। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে এমতাবস্থায় ঝুলে রয়েছে সড়কের কাজ। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছেন পথযাত্রী।
রবিবার সকালে সচেতন নাগরিক মহলের ব্যনারে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়ন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। এ সময় বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়, আল ইসরা মাদ্রাসা, ছাত্র সমন্বয়ক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজী ইয়াকুব আলী নিমেইল বলেন, ২০২০ সালে এই রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিগ্রহণকৃত জমির ন্যায্য মূল্য পরিশোধ করে রাস্তার কাজ বাস্তবতা চাই।
স্থানীয় শিক্ষানুরাগী সোলেমান মেহেদী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের এই রাস্তার কাজ শেষ করা না হলে প্রয়োজনে ঢাকা-নোয়াখলিগামী সকল গাড়ি কিংবা রাস্তা বন্ধ করে দেব।
উপজেলা জামায়েত ইসলামীর সেক্রেটারি ইমাম হোসেন বলেন, এখানে যানজট নিরসন করতে গিয়ে আমাদের একজন ভাই নিহত হয়েছেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা বাস্তবায়ন চাই।
উল্লেখ্য, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিনও শেষ হয়নি কুমিল্লা- নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ। তিন তিন বার বাড়ানো হয়েছিল প্রকল্পের মেয়াদ তবুও, কাজ শেষ করতে পারেনি কতৃপক্ষে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়েছিল সড়কটির ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৬ বছর ১ মাসেও কাজ শেষ করতে পারেনি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তারমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। এবং এখনো প্রকল্পে নতুন মেয়াদ বাড়বে বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
নানান সংকট নিরসন করে কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি, কুমিল্লার টমছমব্রিজ থেকে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কি. মি. সড়কের প্রায় ৯৭% শতাংশ শেষ হলেও ঝুলে রয়েছে লালমাই উপজেলার বাগমারা, শানিচোঁ ও লাকসামের কিছু অংশের কাজ দীর্ঘ সময় ধরেও সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তির কবলে পড়তে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। ধুলোবালিতে নাকাল মানুষের জনজীবন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৬ সালে বাগমারা বাজার এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিয়ে আদালতে একটি রিট করা হয়েছে যা জানতো না সড়ক বিভাগ।
তাছাড়া, লালমাই উপজেলার ১.৮ কি.মি শানিচোঁ অ্যাড. আবদুল বাসেত মজুমদারের বাড়ির পাশে ১.৬ কি.মি এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা রয়েছে। জানা যায়, মামলা সংক্রান্ত জটিলতা শেষ হয়েছে আরও আগে তবুও অধিগ্রহণ জটিলতা যেন অদৃশ্য শক্তি। যতবারই অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে ততবারই পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে।
লালমাই (কুমিল্লা) : রাস্তার কাজ শেষ করার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজের বাগমারা ও আলিশ্বর অংশের কোন অগ্রগতি নেই। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে এমতাবস্থায় ঝুলে রয়েছে সড়কের কাজ। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছেন পথযাত্রী।
রবিবার সকালে সচেতন নাগরিক মহলের ব্যনারে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়ন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। এ সময় বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়, আল ইসরা মাদ্রাসা, ছাত্র সমন্বয়ক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজী ইয়াকুব আলী নিমেইল বলেন, ২০২০ সালে এই রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিগ্রহণকৃত জমির ন্যায্য মূল্য পরিশোধ করে রাস্তার কাজ বাস্তবতা চাই।
স্থানীয় শিক্ষানুরাগী সোলেমান মেহেদী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের এই রাস্তার কাজ শেষ করা না হলে প্রয়োজনে ঢাকা-নোয়াখলিগামী সকল গাড়ি কিংবা রাস্তা বন্ধ করে দেব।
উপজেলা জামায়েত ইসলামীর সেক্রেটারি ইমাম হোসেন বলেন, এখানে যানজট নিরসন করতে গিয়ে আমাদের একজন ভাই নিহত হয়েছেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা বাস্তবায়ন চাই।
উল্লেখ্য, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিনও শেষ হয়নি কুমিল্লা- নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ। তিন তিন বার বাড়ানো হয়েছিল প্রকল্পের মেয়াদ তবুও, কাজ শেষ করতে পারেনি কতৃপক্ষে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়েছিল সড়কটির ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৬ বছর ১ মাসেও কাজ শেষ করতে পারেনি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তারমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। এবং এখনো প্রকল্পে নতুন মেয়াদ বাড়বে বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
নানান সংকট নিরসন করে কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি, কুমিল্লার টমছমব্রিজ থেকে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কি. মি. সড়কের প্রায় ৯৭% শতাংশ শেষ হলেও ঝুলে রয়েছে লালমাই উপজেলার বাগমারা, শানিচোঁ ও লাকসামের কিছু অংশের কাজ দীর্ঘ সময় ধরেও সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তির কবলে পড়তে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। ধুলোবালিতে নাকাল মানুষের জনজীবন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৬ সালে বাগমারা বাজার এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিয়ে আদালতে একটি রিট করা হয়েছে যা জানতো না সড়ক বিভাগ।
তাছাড়া, লালমাই উপজেলার ১.৮ কি.মি শানিচোঁ অ্যাড. আবদুল বাসেত মজুমদারের বাড়ির পাশে ১.৬ কি.মি এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা রয়েছে। জানা যায়, মামলা সংক্রান্ত জটিলতা শেষ হয়েছে আরও আগে তবুও অধিগ্রহণ জটিলতা যেন অদৃশ্য শক্তি। যতবারই অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে ততবারই পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে।