বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা থানায় দায়ের করা এক মামলায় নারায়ণগঞ্জের এক বিএনপি নেতা ও আরেক নেতার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা। ভুক্তভোগীরা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে তারাব পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারেক বলেন, তার স্নাতকপড়–য়া ছেলে ইয়ামিন প্রধানকে ওই মামলায় ২৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে। বারেক নিজে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও ছেলে সরাসরি কোনো দলের সাথে ছিলেন না বলে দাবি করেন।
একই মামলার ৯ নম্বর আসামি ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুনের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তিনি রাজধানীর বনশ্রীতে থাকতেন। গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে আন্দোলনের সময় বনশ্রী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর রামপুরা থানায় ৩৯ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদও আসামি।
মামলার আসামি জাহাঙ্গীর আলম ও ইয়ামিনের পিতা আব্দুল বারেকের দাবি, তারা বাদীকে চেনেন না, তার নামও শোনেননি। মামলার পর পুলিশ তাদের খোঁজে বাড়িতে আসলে তারা বিষয়টি জানতে পারেন। পরে আদালতের মাধ্যমে মামলার কাগজপত্র সংগ্রহ করে বাদীর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে কোনো কথা বলেননি।
বারেক বলেন, ‘আমার ছেলে রূপগঞ্জের সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। সে কোনো রাজনীতি কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত নয়। আন্দোলনে আমি বা আমার পরিবারের কেউ পক্ষে বা বিপক্ষে কোনটাতেই ছিলেন না। মামলায় আসামি হওয়ার পর থেকে আতঙ্কে আমার ছেলে বাড়িছাড়া। আমরাও ভয়ে আছি। কী কারণে একজন অচেনা লোক আমার ছেলেকে আসামি করলো তা বুঝতে পারতেছি না।’
মামলায় আসামি হওয়ার পেছনে ‘অন্য কেউ ইন্ধন দিয়েছে কিনা’ সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নন বারেকের প্রতিবেশি জাহাঙ্গীর আলমও।
মামলার এজাহারে দেওয়া বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মুঠোফোনের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করে নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন। পরে এখন তিনি ব্যস্ত, পরে কথা বলবেন জানিয়ে কলটি কেটে দেন।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘সারাদেশেই অভিযোগ উঠেছে অনেককে মিথ্যা অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনাও আছে মামলাগুলোর সঠিকভাবে তদন্ত করা এবং নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানি না হয়, সে ব্যাপারে। আমরাও (পুলিশ) সেভাবেই কাজ করছি। মামলা যে কারও নামেই হতে পারে কিন্তু তার বিরুদ্ধে যদি তথ্য-প্রমাণ না মেলে সেক্ষেত্রে তার নাম অটোমেটিক চার্জশিটে থাকবে না। তাছাড়া, শুধু মামলায় নাম থাকার কারণে আমরা কাউকে হয়রানিও করছি না।’
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা থানায় দায়ের করা এক মামলায় নারায়ণগঞ্জের এক বিএনপি নেতা ও আরেক নেতার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা। ভুক্তভোগীরা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে তারাব পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারেক বলেন, তার স্নাতকপড়–য়া ছেলে ইয়ামিন প্রধানকে ওই মামলায় ২৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে। বারেক নিজে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও ছেলে সরাসরি কোনো দলের সাথে ছিলেন না বলে দাবি করেন।
একই মামলার ৯ নম্বর আসামি ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুনের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তিনি রাজধানীর বনশ্রীতে থাকতেন। গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে আন্দোলনের সময় বনশ্রী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর রামপুরা থানায় ৩৯ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদও আসামি।
মামলার আসামি জাহাঙ্গীর আলম ও ইয়ামিনের পিতা আব্দুল বারেকের দাবি, তারা বাদীকে চেনেন না, তার নামও শোনেননি। মামলার পর পুলিশ তাদের খোঁজে বাড়িতে আসলে তারা বিষয়টি জানতে পারেন। পরে আদালতের মাধ্যমে মামলার কাগজপত্র সংগ্রহ করে বাদীর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে কোনো কথা বলেননি।
বারেক বলেন, ‘আমার ছেলে রূপগঞ্জের সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। সে কোনো রাজনীতি কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত নয়। আন্দোলনে আমি বা আমার পরিবারের কেউ পক্ষে বা বিপক্ষে কোনটাতেই ছিলেন না। মামলায় আসামি হওয়ার পর থেকে আতঙ্কে আমার ছেলে বাড়িছাড়া। আমরাও ভয়ে আছি। কী কারণে একজন অচেনা লোক আমার ছেলেকে আসামি করলো তা বুঝতে পারতেছি না।’
মামলায় আসামি হওয়ার পেছনে ‘অন্য কেউ ইন্ধন দিয়েছে কিনা’ সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নন বারেকের প্রতিবেশি জাহাঙ্গীর আলমও।
মামলার এজাহারে দেওয়া বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মুঠোফোনের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করে নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন। পরে এখন তিনি ব্যস্ত, পরে কথা বলবেন জানিয়ে কলটি কেটে দেন।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘সারাদেশেই অভিযোগ উঠেছে অনেককে মিথ্যা অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনাও আছে মামলাগুলোর সঠিকভাবে তদন্ত করা এবং নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানি না হয়, সে ব্যাপারে। আমরাও (পুলিশ) সেভাবেই কাজ করছি। মামলা যে কারও নামেই হতে পারে কিন্তু তার বিরুদ্ধে যদি তথ্য-প্রমাণ না মেলে সেক্ষেত্রে তার নাম অটোমেটিক চার্জশিটে থাকবে না। তাছাড়া, শুধু মামলায় নাম থাকার কারণে আমরা কাউকে হয়রানিও করছি না।’